ইঞ্জিল শরিফে সুসংবাদের কথা

ঈসা মসীহের আত্ম-কুরবানির মধ্যে দিয়ে আমরা যে পাপের শাস্তির ক্ষমা পেয়ে নাজাত পায় সেটা নিম্ন ১২৩টি আয়াতে লেখা আছে:

  1. “মনে রেখো, ইব্‌নে-আদম সেবা পেতে আসেন নি বরং সেবা করতে এসেছেন এবং অনেক লোকের মুক্তির মূল্য হিসাবে তাদের প্রাণের পরিবর্তে নিজের প্রাণ দিতে এসেছেন।” (মথি ২০:২৮)
  2. “মনে রেখো, ইব্‌নে-আদম সেবা পেতে আসেন নি বরং সেবা করতে এসেছেন এবং অনেক লোকের মুক্তির মূল্য হিসাবে তাদের প্রাণের পরিবর্তে নিজের প্রাণ দিতে এসেছেন।” (মার্ক ১০:৪৫)
  3. “পিতা যেমন মৃতদের জীবন দিয়ে উঠান ঠিক তেমনি পুত্রও যাকে ইচ্ছা করেন তাকে জীবন দেন।” (ইউহোন্না ৫:২১)
  4. “পিতা কারও বিচার করেন না, কিন্তু সমস্ত বিচারের ভার পুত্রকে দিয়েছেন,” (ইউহোন্না ৫:২২)
  5. “আমি আপনাদের সত্যিই বলছি, আমার কথা যে শোনে এবং আমাকে যিনি পাঠিয়েছেন তাঁর কথায় ঈমান আনে, তার অনন্ত জীবন আছে। তাকে দোষী বলে স্থির করা হবে না; সে তো মৃত্যু থেকে জীবনে পার হয়ে গেছে।” (ইউহোন্না ৫:২৭)
  6. “পিতা পুত্রকে মানুষের বিচার করবার অধিকার দিয়েছেন, কারণ তিনি ইব্‌নে-আদম।” (ইউহোন্না ১১:২৫)
  7. “ঈসা মার্থাকে বললেন, আমিই পুনরুত্থান ও জীবন। যে আমার উপর ঈমান আনে সে মরলেও জীবিত হবে।” (” ইউহোন্না ৫:২৪)
  8. “কাইয়াফা যে নিজে থেকে এই কথা বলেছিলেন তা নয় কিন্তু তিনি ছিলেন সেই বছরের মহা-ইমাম। সেইজন্য তিনি ভবিষ্যতের কথা বলেছিলেন যে, ইহুদী জাতির জন্য ঈসাই মরবেন।” (ইউহোন্না ১১:৫১)
  9. “আমাকে যখন মাটি থেকে উঁচুতে তোলা হবে তখন আমি সবাইকে আমার কাছে টেনে আনব।” (ইউহোন্না ১২:৩২)
  10. “এই কাইয়াফাই ইহুদী নেতাদের পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, গোটা জাতির বদলে বরং একজনের মৃত্যু হওয়াই ভাল।” (ইউহোন্না ১৮:১৪)
  11. “এঁরা খুবই বিরক্ত হয়েছিলেন, কারণ পিতর ও ইউহোন্না লোকদের শিক্ষা দিচ্ছিলেন এবং ঈসার মধ্য দিয়ে মৃতদের আবার জীবিত হয়ে উঠবার বিষয় তবলিগ করছিলেন।” (প্রেরিত ৪:২)
  12. “আল্লাহ্ মানুষকে এখন শরীয়ত ছাড়াই কেমন করে ধার্মিক বলে গ্রহণ করেন তা প্রকাশিত হয়েছে। তৌরাত শরীফ ও নবীদের কিতাব সেই বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন।” (রোমীয় ৩:২১)
  13. “যারা ঈসা মসীহের উপর ঈমান আনে তাদের সেই ঈমানের মধ্য দিয়েই আল্লাহ্ তাদের ধার্মিক বলে গ্রহণ করেন। ইহুদী ও অ-ইহুদী সবাই সমান,” (রোমীয় ৩:২২)
  14. “কিন্তু মসীহ্ ঈসা মানুষকে গুনাহের হাত থেকে মুক্ত করবার ব্যবস্থা করেছেন এবং সেই মুক্তির মধ্য দিয়েই রহমতের দান হিসাবে ঈমানদারদের ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হয়।” (রোমীয় ৩:২৪)
  15. “আল্লাহ্ প্রকাশ করেছিলেন যে, যারা ঈমান আনে তাদের জন্য ঈসা মসীহ্ তাঁর রক্তের দ্বারা, অর্থাৎ তাঁর জীবন-কোরবানীর দ্বারা তাঁকে সন্তুষ্ট করেছেন। এইভাবেই আল্লাহ্ দেখিয়েছেন, যদিও তিনি তাঁর স্যেগুণের জন্য মানুষের আগেকার গুনাহের শাস্তি দেন নি তবুও তিনি ন্যায়বান।” (রোমীয় ৩:২৫)
  16. “তিনি যে ন্যায়বান তা তিনি এখন দেখিয়েছেন যেন প্রমাণ হয় যে, তিনি নিজে ন্যায়বান এবং যে কেউ ঈসার উপর ঈমান আনে তাকেও তিনি ধার্মিক বলে গ্রহণ করেন।” (রোমীয় ৩:২৬)
  17. “আমাদেরও লক্ষ্য করে লেখা হয়েছে। আমাদের ঈমানের জন্য আল্লাহ্ আমাদেরও ধার্মিক বলে ধরবেন, কারণ যিনি আমাদের হযরত ঈসাকে মৃত্যু থেকে জীবিত করেছিলেন আমরা তাঁরই উপর ঈমান এনেছি।” (রোমীয় ৪:২৪)
  18. “আমাদের গুনাহের জন্য ঈসাকে মৃত্যের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল এবং আমাদের ধার্মিক বলে গ্রহণ করবার জন্য তাঁকে মৃত্যি থেকে জীবিত করা হয়েছিল।” (রোমীয় ৪:২৫)
  19. “আমাদের গুনাহের জন্য ঈসাকে মৃত্যের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল এবং আমাদের ধার্মিক বলে গ্রহণ করবার জন্য তাঁকে মৃত্যি থেকে জীবিত করা হয়েছিল।” (রোমীয় ৪:২৫)
  20. “যখন আমাদের কোন শক্তিই ছিল না তখন ঠিক সময়েই মসীহ্ আল্লাহ্‌র প্রতি ভয়হীন মানুষের জন্য, অর্থাৎ আমাদের জন্য প্রাণ দিলেন।” (রোমীয় ৫:৬)
  21. “কিন্তু আল্লাহ্ যে আমাদের মহব্বত করেন তার প্রমাণ এই যে, আমরা গুনাহ্ গার থাকতেই মসীহ্ আমাদের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন।” (রোমীয় ৫:৮)
  22. “আমরা যখন আল্লাহ্‌র শত্রু ছিলাম তখন তাঁরই পুত্রের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তাঁর সংগে আমাদের মিলন হয়েছে। এইভাবে মিলন হয়েছে বলে মসীহের জীবন দ্বারা আমরা নিশ্চয়ই নাজাত পাব।” (রোমীয় ৫:১০)
  23. “কিন্তু আদমের গুনাহ্ যে রকম, আল্লাহ্‌র বিনামূল্যের দান সেই রকম নয়। যখন একজন লোকের গুনাহের ফলে অনেকে মরল তখন আল্লাহ্‌র রহমতের এবং আর একজন মানুষের দয়ার মধ্য দিয়ে যে দান আসল, তা সেই অনেকের জন্য আরও কত না বেশী করে উপ্‌চে পড়ল! সেই আর একজন মানুষ হলেন ঈসা মসীহ্ ।” (রোমীয় ৫:১৫)
  24. “যেমন একজন মানুষের অবাধ্যতার মধ্য দিয়ে অনেককেই গুনাহ্ গার বলে ধরা হয়েছিল, তেমনি একজন মানুষের বাধ্যতার মধ্য দিয়ে অনেককেই ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হবে।” (রোমীয় ৫:১৯)
  25. “এই কথা কি জান না যে, আমরা যারা মসীহ্ ঈসার মধ্যে তরিকাবন্দী নিয়েছি, আমরা তাঁর মৃত্যুর মধ্যে অংশ গ্রহণ করেই তা নিয়েছি?” (রোমীয় ৬:৩)
  26. “আর সেইজন্য সেই তরিকাবন্দীর দ্বারা মসীহের সংগে মরে আমাদের দাফন করাও হয়েছে, যেন পিতা তাঁর মহাশক্তি দ্বারা যেমন মসীহ্‌কে মৃত্যু থেকে জীবিত করেছিলেন তেমনি আমরাও যেন নতুন জীবনের পথে চলতে পারি।” (রোমীয় ৬:৪)
  27. “মসীহের সংগে মরে যখন তাঁর সংগে আমরা যুক্ত হয়েছি তখন তিনি যেমন মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন, ঠিক তেমনি করে আমরা তাঁর সংগে জীবিতও হব।” (রোমীয় ৬:৫)
  28. “আমরা জানি যে, আমাদের গুনাহ্ -স্বভাবকে অকেজো করবার জন্যই আমাদের পুরানো ‘আমি’কে মসীহের সংগে ক্রুশের উপরে হত্যা করা হয়েছে যেন গুনাহের গোলাম হয়ে আর আমাদের থাকতে না হয়;” (রোমীয় ৬:৬)
  29. “আমরা যখন মসীহের সংগে মরেছি তখন ঈমান রাখি যে, তাঁর সংগে জীবিতও থাকব।” (রোমীয় ৬:৮)
  30. “তিনি যখন মরলেন তখন গুনাহের দাবি-দাওয়ার কাছেও মরলেন; তাঁর উপর গুনাহের আর কোন দাবি-দাওয়া রইল না। আর এখন তিনি জীবিত হয়ে আল্লাহ্‌র জন্য বেঁচে আছেন।” (রোমীয় ৬:১০)
  31. “গুনাহ্ যে বেতন দেয় তা মৃত্যু, কিন্তু আল্লাহ্ যা দান করেন তা আমাদের হযরত মসীহ্ ঈসার মধ্য দিয়ে অনন্ত জীবন।” (রোমীয় ৬:২৩)
  32. “ঠিক সেইভাবে আমার ভাইয়েরা, মসীহের শরীরের মধ্য দিয়ে মূসার শরীয়তের দাবি-দাওয়ার কাছে তোমরাও মরেছ। তার ফলে যাঁকে মৃত্যু থেকে জীবিত করা হয়েছে তোমরা সেই ঈসা মসীহেরই হয়েছ, যেন আল্লাহ্‌র জন্য তোমাদের জীবন ফলবান হয়ে ওঠে।” (রোমীয় ৭:৪)
  33. “আমার জীবনে শরীয়ত আসবার আগে আমি বেঁচেই ছিলাম, কিন্তু সেই হুকুম আসবার সংগে সংগে গুনাহ্ ও বেঁচে উঠল, আর আমারও মৃত্যু ঘটল।” (রোমীয় ৭:৯)
  34. “জীবনদাতা পাক-রূহের নিয়মই মসীহ্ ঈসার মধ্য দিয়ে আমাকে গুনাহ্ ও মৃত্যুর নিয়ম থেকে মুক্ত করেছে।” (রোমীয় ৮:২)
  35. “যিনি ঈসাকে মৃত্যু থেকে জীবিত করেছেন সেই আল্লাহ্‌র রূহ্ যদি তোমাদের দিলে বাস করেন, তবে আল্লাহ্ তাঁর সেই রূহের দ্বারা তোমাদের মৃত্যুর অধীন শরীরকেও জীবন দান করবেন।” (রোমীয় ৮:১১)
  36. “কে তাদের দোষী বলে স্থির করবে? যিনি মরেছিলেন এবং যাঁকে মৃত্যু থেকে জীবিত করাও হয়েছে সেই মসীহ্ ঈসা এখন আল্লাহ্‌র ডান পাশে আছেন এবং আমাদের জন্য অনুরোধ করছেন।” (রোমীয় ৮:৩৪)
  37. “সেই কথা হল, যদি তুমি ঈসাকে প্রভু বলে মুখে স্বীকার কর এবং দিলে ঈমান আন যে, আল্লাহ্ তাঁকে মৃত্যু থেকে জীবিত করে তুলেছেন তবেই তুমি নাজাত পাবে;” (রোমীয় ১০:৯)
  38. “মসীহ্ ঈসার সংগে তোমরা যে যুক্ত আছ তা আল্লাহ্ থেকেই হয়েছে। ঈসা মসীহ্ই আমাদের কাছে আল্লাহ্‌র দেওয়া জ্ঞান; তিনিই আমাদের ধার্মিকতা, পবিত্রতা ও মুক্তি।” (১ করিন্থীয় ১:৩০)
  39. “সেই দুর্বল লোক, সেই ভাই, যার জন্য মসীহ্ মরেছিলেন, তোমার জ্ঞানের দ্বারাই তার মহা ক্ষতি হয়।” (১ করিন্থীয় ৮:১১)
  40. “আমি নিজে যা পেয়েছি তা সব চেয়ে দরকারী বিষয় হিসাবে তোমাদেরও দিয়েছি। সেই বিষয় হল এই- পাক-কিতাবের কথামত মসীহ্ আমাদের গুনাহের জন্য মরেছিলেন,” (১ করিন্থীয় ১৫:৩)
  41. “একজন মানুষের মধ্য দিয়ে মৃত্যু এসেছে বলে মৃত্যি থেকে জীবিত হয়ে ওঠাও একজন মানুষেরই মধ্য দিয়ে এসেছে।” (১ করিন্থীয় ১৫:২১)
  42. “আদমের সংগে যুক্ত আছে বলে যেমন সমস্ত মানুষই মারা যায়, তেমনি মসীহের সংগে যারা যুক্ত আছে তাদের সবাইকে জীবিত করা হবে;” (১ করিন্থীয় ১৫:২২)
  43. “কারণ আমরা জানি, যিনি হযরত ঈসাকে জীবিত করেছিলেন তিনি তাঁর সংগে আমাদেরও জীবিত করবেন এবং তোমাদের সংগে আমাদেরও নিজের সামনে উপস্থিত করবেন।” (২ করিন্থীয় ৪:১৪)
  44. “মসীহের মহব্বতই আমাদের বশে রেখে চালাচ্ছে, কারণ আমরা নিশ্চয় করে বুঝেছি যে, সকলের হয়ে একজন মরলেন, আর সেইজন্য সকলেই মরল।” (২ করিন্থীয় ৫:১৪)
  45. “তিনি সবার হয়ে মরেছিলেন যেন যারা জীবিত আছে তারা আর নিজেদের জন্য বেঁচে না থাকে, বরং যিনি তাদের জন্য মরেছিলেন ও জীবিত হয়েছেন তাঁরই জন্য বেঁচে থাকে।” (২ করিন্থীয় ৫:১৫)
  46. “আল্লাহ্‌র এই রহমতকে আমি বাতিল করব না, কারণ মানুষ যদি শরীয়ত পালনের মধ্য দিয়েই আল্লাহ্‌র গ্রহণযোগ্য হতে পারে তবে মসীহ্ মিথ্যাই মরেছিলেন।” (গালাতীয় ২:২১)
  47. “আল্লাহ্‌র অশেষ রহমত অনুসারে মসীহের সংগে যুক্ত হয়ে তাঁর রক্তের দ্বারা আমরা মুক্ত হয়েছি, অর্থাৎ গুনাহের মাফ পেয়েছি।” (ইফিষীয় ১:৭)
  48. “এইজন্য অবাধ্যতার দরুন যখন আমরা মৃত অবস্থায় ছিলাম তখন মসীহের সংগে তিনি আমাদের জীবিত করলেন। আল্লাহ্‌র রহমতে তোমরা নাজাত পেয়েছ।” (ইফিষীয় ২:৫)
  49. “আল্লাহ্‌র রহমতে ঈমানের মধ্য দিয়ে তোমরা নাজাত পেয়েছ। এটা তোমাদের নিজেদের দ্বারা হয় নি, তা আল্লাহ্‌রই দান।” (ইফিষীয় ২:৮)
  50. “এটা কাজের ফল হিসাবে দেওয়া হয় নি, যেন কেউ গর্ব করতে না পারে।” (ইফিষীয় ২:৯)
  51. “তোমরা এক কালে দূরে ছিলে, কিন্তু মসীহ্ ঈসার সংগে যুক্ত হয়েছ বলে তোমাদের এখন তাঁর রক্তের দ্বারা কাছে আনা হয়েছে।” (ইফিষীয় ২:১৩)
  52. “তিনিই আমাদের শান্তি। ইহুদী ও অ-ইহুদী, এই দুইকে তিনিই এক করেছেন। তিনি তাঁর ক্রুশের উপরে হত্যা করা শরীরের মধ্য দিয়ে সমস্ত হুকুম ও নিয়ম সুদ্ধ মূসার শরীয়তের শক্তিকে বাতিল করেছেন।” (ইফিষীয় ২:১৪)
  53. “এইভাবেই যে শত্রুতার ভাব এই দু’য়ের মধ্যে দেওয়ালের মত হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল তা তিনি ভেংগে ফেলেছেন। তিনি এটা করেছিলেন যেন এই দু’টিকে দিয়ে তিনি নিজেই একটি নতুন মানুষ সৃষ্টি করতে পারেন, আর এইভাবেই যেন সেই দু’য়ের মধ্যে শান্তি হয়।” (ইফিষীয় ২:১৫)
  54. “এটাও তাঁর উদ্দেশ্য ছিল যে, তাঁর ক্রুশীয় মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সেই দু’টিকে তিনি এক শরীরে আল্লাহ্‌র সংগে আবার মিলিত করেন, কারণ এই দু’য়ের মধ্যে যে শত্রুতার ভাব ছিল তা তিনি তাঁর ক্রুশীয় মৃত্যুর দ্বারা ধ্বংস করেছেন।” (ইফিষীয় ২:১৬)
  55. “এই পুত্রের সংগে যুক্ত হয়ে আমরা মুক্ত হয়েছি, অর্থাৎ আমরা গুনাহের মাফ পেয়েছি।” (কলসীয় ১:১৪)
  56. “আমরা যখন বিশ্বাস করি ঈসা মরেছিলেন এবং আবার জীবিত হয়ে উঠেছেন তখন আমরা এও বিশ্বাস করি, যারা ঈসার সংগে যুক্ত হয়ে মারা গেছে আল্লাহ্ তাদেরও ঈসার সংগে নিয়ে যাবেন।” (১ থিষলনীকীয় ৪:১৪)
  57. “শাস্তি পাবার জন্য নয় বরং আমাদের হযরত ঈসা মসীহের মধ্য দিয়ে নাজাত পাবার জন্যই আল্লাহ্ আমাদের ঠিক করে রেখেছেন।” (১ থিষলনীকীয় ৫:৯)
  58. “মসীহ্ আমাদের জন্য মরেছিলেন, যাতে আমরা বাঁচি বা মরি, আমরা যেন তাঁরই সংগে জীবিত থাকতে পারি।” (১ থিষলনীকীয় ৫:১০)
  59. “এই কথা বিশ্বাসযোগ্য এবং সমপূর্ণ ভাবে গ্রহণেরও যোগ্য যে, গুনাহ্ গারদের নাজাত করবার জন্যই মসীহ্ ঈসা দুনিয়াতে এসেছিলেন। সেই গুনাহ্ গারদের মধ্যে আমিই প্রধান।” (১ তিমথীয় ১:১৫)
  60. “আর সেইজন্যই আল্লাহ্ আমাকে মমতা করেছেন, যেন প্রধান গুনাহ্ গার যে আমি, আমার মধ্য দিয়েই মসীহ্ ঈসা তাঁর অসীম ধৈর্য দেখাতে পারেন। তাঁর উপর ঈমানের ফলে যারা অনন্ত জীবন পাবে তারা যেন আমাকে দেখে শিখতে পারে সেইজন্যই তিনি আমার প্রতি এই রকম করেছেন।” (১ তিমথীয় ১:১৬)
  61. “আল্লাহ্ মাত্র একজনই আছেন এবং আল্লাহ্ ও মানুষের মধ্যে মধ্যস্থও মাত্র একজন আছেন। সেই মধ্যস্থ হলেন মানুষ মসীহ্ ঈসা।” (১ তিমথীয় ২:৫)
  62. “তিনি সব মানুষের মুক্তির মূল্য হিসাবে নিজের জীবন দিয়েছিলেন। আল্লাহ্‌র ঠিক করা সময়ে সেই বিষয়ে সাক্ষ্য দেওয়া হয়েছে,” (১ তিমথীয় ২:৬)
  63. “যে খেদমতকারী ভাল ভাবে কাজ করেন তিনি সম্মান লাভ করেন এবং মসীহ্ ঈসার উপর ঈমানের দরুন তাঁর দিল সাহসে পূর্ণ হয়।” (১ তিমথীয় ৩:১৩)
  64. “আল্লাহ্ আমাদের নাজাত করেছেন এবং পবিত্রভাবে জীবন কাটাবার জন্য ডেকেছেন। আমাদের কোন কাজের জন্য তিনি তা করেন নি, বরং তাঁর উদ্দেশ্য এবং রহমতের জন্যই করেছেন। দুনিয়া সৃষ্ট হবার আগে মসীহ্ ঈসার মধ্য দিয়ে তিনি তাঁর রহমত আমাদের দান করেছিলেন,” (২ তিমথীয় ১:৯)
  65. “কিন্তু এখন আমাদের নাজাতদাতা মসীহ্ ঈসার এই দুনিয়াতে আসবার মধ্য দিয়ে তিনি সেই রহমত প্রকাশ করেছেন। মসীহ্ মৃত্যুকে ধ্বংস করেছেন এবং সুসংবাদের মধ্য দিয়ে ধ্বংসহীন জীবনের কথা প্রকাশ করেছেন।” (২ তিমথীয় ১:১০)
  66. “তাই আল্লাহ্ যাদের বেছে নিয়েছেন তাদের জন্য আমি সব কিছু সহ্য করছি, যেন তারাও মসীহ্ ঈসার মধ্য দিয়ে নাজাত পায় এবং চিরকালের মহিমা লাভ করে।” (২ তিমথীয় ২:১০)
  67. “এই কথা বিশ্বাসযোগ্য যে, মসীহের সংগে যদি আমরা মরে থাকি, তবে তাঁরই সংগে আমরা জীবিতও থাকব।” (২ তিমথীয় ২:১১)
  68. “ছেলেবেলা থেকে তুমি পাক-কিতাব থেকে শিক্ষালাভ করেছ। আর এই পাক-কিতাবই তোমাকে মসীহ্ ঈসার উপর ঈমানের মধ্য দিয়ে নাজাত পাবার জ্ঞান দিতে পারে।” (২ তিমথীয় ৩:১৫)
  69. “ঈসা মসীহ্ আমাদের জন্য নিজের জীবন দিয়েছিলেন, যেন সমস্ত গুনাহ্ থেকে আমাদের মুক্ত করতে পারেন এবং তাতে এমন একদল লোককে পাক-সাফ করতে পারেন যারা কেবল তাঁরই হবে এবং যারা অন্যদের উপকার করতে আগ্রহী হবে।” (তীত ২:১৪)
  70. “তখন তিনি আমাদের নাজাত দিলেন। কোন সৎ কাজের জন্য তিনি আমাদের নাজাত দেন নি, তাঁর মমতার জন্যই তা দিলেন। পাক-রূহের দ্বারা নতুন জন্ম দান করে ও নতুন ভাবে সৃষ্টি করে তিনি আমাদের দিল ধুয়ে পরিষ্কার করলেন, আর এইভাবেই তিনি আমাদের নাজাত দিলেন।” (তীত ৩:৫)
  71. “আমাদের নাজাতদাতা ঈসা মসীহের মধ্য দিয়ে তিনি খোলা হাতে পাক-রূহ্‌কে আমাদের দিলেন,” (তীত ৩:৬)
  72. “যেন আমরা অনন্ত জীবনের আশ্বাস পেয়ে আল্লাহ্‌র সব কিছুর অধিকারী হই। এটা সম্ভব হয়েছে, কারণ আল্লাহ্‌র রহমতের মধ্য দিয়ে আমাদের ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হয়েছে।” (তীত ৩:৭)
  73. “কিন্তু ঈসাকে তো আমরা দেখতে পাচ্ছি। তাঁকে ফেরেশতাদের চেয়ে সামান্য নীচু করা হয়েছিল, যেন আল্লাহ্‌র রহমতে প্রত্যেকটি মানুষের হয়ে তিনি নিজেই মরতে পারেন। তিনি কষ্টভোগ করে মরেছিলেন বলে জয়ের মালা হিসাবে গৌরব ও সম্মান তাঁকে দান করা হয়েছে।” (ইবরানী ২:৯)
  74. “সব কিছু আল্লাহ্‌র জন্যই এবং সব কিছু তাঁরই দ্বারা হয়েছে। সেইজন্য অনেক সন্তানকে তাঁর মহিমার ভাগী করবার উদ্দেশ্যে নাজাতের ভিত্তি ঈসাকে কষ্টভোগের মধ্য দিয়ে পূর্ণ করে তোলা আল্লাহ্‌র পক্ষে ঠিক কাজই হয়েছে।” (ইবরানী ২:১০)
  75. “সেই সন্তানেরা হল রক্ত-মাংসের মানুষ। সেইজন্য ঈসা নিজেও রক্ত-মাংসের মানুষ হলেন, যাতে মৃত্যুর ক্ষমতা যার হাতে আছে সেই ইবলিসকে তিনি নিজের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শক্তিহীন করেন,” (ইবরানী ২:১৪)
  76. “আর মৃত্যুর ভয়ে যারা সারা জীবন গোলামের মত কাটিয়েছে তাদের মুক্ত করেন।” (ইবরানী ২:১৫)
  77. “সেইজন্য ঈসাকে সব দিক থেকে তাঁর ভাইদের মত হতে হল, যেন তিনি একজন দয়ালু ও বিশ্বস্ত মহা-ইমাম হিসাবে আল্লাহ্‌র এবাদত-কাজ করতে পারেন। এর উদ্দেশ্য হল, তিনি যেন নিজের মৃত্যুর দ্বারা মানুষের গুনাহ্ দূর করে আল্লাহ্‌কে সন্তুষ্ট করেন।” (ইবরানী ২:১৭)
  78. “এইভাবে যখন তিনি পূর্ণতা পেলেন তখন তাঁর বাধ্য সকলের জন্য তিনি অনন্ত নাজাতের পথ হলেন।” (ইবরানী ৫:৯)
  79. “এইজন্য যারা তাঁর মধ্য দিয়ে আল্লাহ্‌র কাছে আসে তাদের তিনি সমপূর্ণ ভাবে নাজাত করতে পারেন, কারণ তাদের পক্ষে অনুরোধ করবার জন্য তিনি সব সময় জীবিত আছেন।” (ইবরানী ৭:২৫)
  80. “অন্যান্য মহা-ইমামেরা যেমন প্রথমে নিজের ও পরে অন্যদের গুনাহের জন্য পশু কোরবানী দিতেন, সেইভাবে এই ইমামের তা করবার দরকার ছিল না, কারণ তিনি চিরকালের মত একবারই নিজের জীবন কোরবানী দিয়ে সেই কাজ শেষ করেছেন।” (ইবরানী ৭:২৭)
  81. “আমরা যা বলছি তার আসল কথা হল এই যে, আমাদের এমন একজন মহা-ইমাম আছেন যিনি বেহেশতে আল্লাহ্?u২৪৬৮?া’লার সিংহাসনের ডান দিকে বসেছেন।” (ইবরানী ৮:১)
  82. “কিন্তু এখন আমরা দেখছি, ঈসা যে ইমামের কাজ পেয়েছেন তা ঐ ইমামদের কাজের চেয়েও অনেক উপরে, যেমন করে যে ব্যবস্থার মধ্যস্থ তিনি হয়েছেন সেই ব্যবস্থা আগের ব্যবস্থার চেয়েও অনেক উপরে; কারণ এই ব্যবস্থা আরও ভাল ভাল ওয়াদার উপর ভরসা করছে।” (ইবরানী ৮:৬)
  83. “ছাগল ও বাছুরের রক্ত নিয়ে মসীহ্ সেই মহাপবিত্র স্থানে ঢোকেন নি। তিনি নিজের রক্ত নিয়ে একবারই সেখানে ঢুকেছিলেন। এইভাবে তিনি চিরকালের জন্য গুনাহ্ থেকে মুক্তির উপায় করলেন।” (ইবরানী ৯:১২)
  84. “কিন্তু যিনি অনন্ত পাক-রূহের মধ্য দিয়ে আল্লাহ্‌র কাছে নিজেকে নিখুঁত কোরবানী হিসাবে দান করলেন সেই ঈসার রক্ত আমাদের বিবেককে নিষ্ফল কাজকর্ম থেকে আরও কত না বেশী করে পাক-সাফ করবে, যাতে আমরা জীবন্ত আল্লাহ্‌র এবাদত করতে পারি!” (ইবরানী ৯:১৪)
  85. “আল্লাহ্ যাদের ডেকে চিরকালের অধিকার দেবার ওয়াদা করেছিলেন তারা যেন তা পায় সেইজন্যই মসীহ্ একটা নতুন ব্যবস্থার মধ্যস্থ হয়েছেন। এই অধিকার পাওয়া মানুষের পক্ষে সম্ভব হয়েছে, কারণ প্রথম ব্যবস্থা বহাল থাকবার সময়ে মানুষ যে সব গুনাহ্ করেছিল সেই সব গুনাহের হাত থেকে মানুষকে মুক্ত করবার মূল্য হিসাবে মসীহ্ প্রাণ দিয়েছিলেন।” (ইবরানী ৯:১৫)
  86. “তা-ই যদি করতে হত তবে দুনিয়া সৃষ্টির সময় থেকে শুরু করে তাঁকে অনেকবারই কষ্টভোগ করে মরতে হত; কিন্তু এখন সমস্ত যুগের শেষে তিনি একবারই প্রকাশিত হয়েছেন যেন নিজেকে কোরবানী দিয়ে তিনি গুনাহ্ দূর করতে পারেন।” (ইবরানী ৯:২৬)
  87. “ঠিক সেইভাবে অনেক লোকের গুনাহের বোঝা বইবার জন্য মসীহ্ কেও একবারই কোরবানী দেওয়া হয়েছে। তিনি দ্বিতীয় বার আসবেন, কিন্তু তখন গুনাহের জন্যৈ মরতে আসবেন না, বরং যারা তাঁর জন্য আগ্রহের সংগে অপেক্ষা করে আছে তাদের সম্পূর্ণ ভাবে নাজাত করবার জন্য আসবেন।” (ইবরানী ৯:২৮)
  88. “আল্লাহ্‌র সেই ইচ্ছামতই ঈসা মসীহের শরীর একবারই কোরবানী দেবার দ্বারা আল্লাহ্‌র উদ্দেশ্যে আমাদের পাক-পবিত্র করা হয়েছে।” (ইবরানী ১০:১০)
  89. “ঈসা কিন্তু গুনাহের জন্য চিরকালের মত একটি মাত্র কোরবানী দিয়ে আল্লাহ্‌র ডান দিকে বসলেন।” (ইবরানী ১০:১২)
  90. “কারণ যাদের পাক-পবিত্র করা হয়েছে ঐ একটি কোরবানীর দ্বারা তিনি চিরকালের জন্য তাদের পূর্ণতা দান করেছেন।” (ইবরানী ১০:১৪)
  91. “ভাইয়েরা, ঈসা মসীহের রক্তের গুণে সেই মহাপবিত্র স্থানে ঢুকবার সাহস আমাদের আছে।” (ইবরানী ১০:১৯)
  92. “মসীহ্ আমাদের জন্য একটা নতুন ও জীবন্ত পথ খুলে দিয়েছেন, যেন আমরা পর্দার মধ্য দিয়ে, অর্থাৎ তাঁর শরীরের মধ্য দিয়ে আল্লাহ্‌র সামনে উপস্থিত হতে পারি।” (ইবরানী ১০:২০)
  93. “তাহলে ইব্‌নুল্লাহ্‌কে যে ঘৃণা করেছে, যে রক্তে সে পাক-সাফ হয়েছে আল্লাহ্‌র সেই ব্যবস্থার রক্তকে যে অপবিত্র মনে করেছে এবং যিনি রহমত করেন সেই পাক-রূহ্‌কে যে অপমান করেছে, ভেবে দেখ, সে আরও কত বেশী শাস্তির যোগ্য!” (ইবরানী ১০:২৯)
  94. “আর এস, আমাদের চোখ ঈসার উপর স্থির রাখি যিনি ঈমানের ভিত্তি ও পূর্ণতা। তাঁর সামনে যে আনন্দ রাখা হয়েছিল তারই জন্য তিনি অসম্মানের দিকে না তাকিয়ে ক্রুশীয় মৃত্যু সহ্য করলেন এবং এখন আল্লাহ্‌র সিংহাসনের ডান দিকে বসে আছেন।” (ইবরানী ১২:২)
  95. “সেইভাবে ঈসাও জেরুজালেম শহরের বাইরে কষ্টভোগ করে মরেছিলেন, যেন তাঁর নিজের রক্তের দ্বারা মানুষকে গুনাহ্ থেকে পাক-সাফ করতে পারেন।” (ইবরানী ১৩:১২)
  96. “যে লোক সমস্ত শরীয়ত পালন করেও মাত্র একটা বিষয়ে গুনাহ্ করে সে সমস্ত শরীয়ত অমান্য করেছে বলতে হবে।” (ইয়াকুব ২:১০)
  97. “যে আইন মানুষকে স্বাধীনতা দান করে সেই আইন দ্বারা যাদের বিচার করা হবে, তাদের মতই কথা বল ও চলাফেরা কর;” (ইয়াকুব ২:১২)
  98. “আমাদের হযরত ঈসা মসীহের আল্লাহ্ এবং পিতার প্রশংসা হোক। ঈসা মসীহ্‌কে মৃত্যে থেকে জীবিত করে তুলে আল্লাহ্ তাঁর প্রচুর মমতায় আমাদের নতুন জন্ম দান করেছেন। তার ফলে আমরা একটা জীবন্ত আশ্বাস পেয়েছি,” (১ পিতর ১:৩)
  99. “তোমরা সম্পূর্ণভাবে নাজাত না পাওয়া পর্যন্ত আল্লাহ্‌র শক্তিতে ঈমানের মধ্য দিয়ে তোমাদের নিরাপদে রাখা হচ্ছে। শেষ সময়ে প্রকাশিত হবার জন্য সেই নাজাতের আয়োজন করে রাখা হয়েছে।” (১ পিতর ১:৫)
  100. “এইজন্য তোমাদের মনকে জাগিয়ে তোল ও নিজেদের দমনে রাখ। ঈসা মসীহ্ যখন প্রকাশিত হবেন তখন তোমরা যে দোয়া পাবে সেই দোয়া পাওয়ার পূর্ণ আশা নিয়ে অপেক্ষা কর।” (১ পিতর ১:১৩)
  101. “তোমাদের মুক্ত করা হয়েছে নির্দোষ ও নিখুঁত মেষ-শাবক ঈসা মসীহের অমূল্য রক্ত দিয়ে।” (১ পিতর ১:১৯)
  102. “এরই জন্য আল্লাহ্ তোমাদের ডেকেছেন, কারণ মসীহ্ তোমাদের জন্য কষ্ট ভোগ করে তোমাদের কাছে আদর্শ রেখে গেছেন, যেন তোমরাও তাঁরই মত চল,” (১ পিতর ২:২১)
  103. “তিনি ক্রূশের উপরে নিজের শরীরে আমাদের গুনাহের বোঝা বইলেন, যে আমরা গুনাহের দাবি-দাওয়ার কাছে মরে আল্লাহ্‌র ইচ্ছামত চলবার জন্য বেঁচে থাকি। তাঁর গায়ের ক্ষত তোমাদের সুস্থ করেছে।” (১ পিতর ২:২৪)
  104. “১৮-১৯মসীহ্ও গুনাহের জন্য একবারই মরেছিলেন। আল্লাহ্‌র কাছে আমাদের নিয়ে যাবার জন্য সেই নির্দোষ লোকটি গুনাহ্‌গারদের জন্য, অর্থাৎ আমাদের জন্য মরেছিলেন। শরীরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল, কিন্তু রূহে তাঁকে জীবিত করা হয়েছিল এবং তিনি বন্দী রূহ্‌দের কাছে গিয়ে প্রচার করেছিলেন।” (১ পিতর ৩:১৮)
  105. “এটা হল তরিকাবন্দীর একটা ছবি যা এখন তোমাদের নাজাত দেয়। তরিকাবন্দী যে তোমাদের শরীর থেকে ময়লা দূর করে তা নয়; আল্লাহ্‌র কাছে এটা একটা পরিষ্কার বিবেকের সাড়া। ঈসা মসীহের মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠবার মধ্য দিয়ে তোমাদের নাজাত দেওয়া হয়।” (১ পিতর ৩:২১)
  106. “তোমরা আমাদের প্রভু ও নাজাতদাতা ঈসা মসীহের রহমতে ও তাঁর সম্বন্ধে জ্ঞানে বেড়ে উঠতে থাক। এখন এবং অনন্ত কাল পর্যন্ত তাঁরই গৌরব হোক। আমিন।” (২ পিতর ৩:১৮)
  107. “কিন্তু আল্লাহ্ যেমন নূরে আছেন আমরাও যদি তেমনি নূরে চলি তবে আমাদের মধ্যে যোগাযোগ-সম্বন্ধ থাকে আর তাঁর পুত্র ঈসার রক্ত সমস্ত গুনাহ্ থেকে আমাদের পাক-সাফ করে।” (১ ইউহোন্না ১:৭)
  108. “যদি আমরা আমাদের গুনাহ্ স্বীকার করি তবে তিনি তখনই আমাদের গুনাহ্ মাফ করেন এবং সমস্ত অন্যায় থেকে আমাদের পাক-সাফ করেন, কারণ তিনি নির্ভরযোগ্য এবং কখনও অন্যায় করেন না।” (১ ইউহোন্না ১:৯)
  109. “আমার প্রিয় সন্তানেরা, তোমরা যাতে গুনাহ্ না কর সেইজন্যই আমি তোমাদের কাছে এই সব কথা লিখছি। তবে যদি কেউ গুনাহ্ করেই ফেলে তাহলে পিতার কাছে আমাদের পক্ষ হয়ে কথা বলবার জন্য একজন আছেন; তিনি ঈসা মসীহ্, যিনি নির্দোষ।” (১ ইউহোন্না ২:১)
  110. “আমাদের গুনাহ্ দূর করবার জন্য মসীহ্ তাঁর নিজের জীবন কোরবানী করে আল্লাহ্‌কে সন্তুষ্ট করেছেন। কেবল আমাদের গুনাহ্ নয়, কিন্তু সমস্ত মানুষের গুনাহ্ দূর করবার জন্য তিনি তা করেছেন।” (১ ইউহোন্না ২:২)
  111. “ছেলেমেয়েরা, মসীহের জন্য তোমাদের গুনাহ্ মাফ করা হয়েছে বলেই আমি তোমাদের কাছে লিখছি।” (১ ইউহোন্না ২:১২)
  112. “তোমরা তো জান যে, আমাদের গুনাহ্ দূর করবার জন্যই মসীহ্ প্রকাশিত হয়েছিলেন। তাঁর মধ্যে কোন গুনাহ্ নেই। যারা মসীহের মধ্যে থাকে তারা গুনাহে পড়ে থাকে না।” (১ ইউহোন্না ৩:৫)
  113. “যে গুনাহ্ করতেই থাকে সে ইবলিসের, কারণ ইবলিস প্রথম থেকেই গুনাহ্ করে চলেছে। ইবলিসের কাজকে ধ্বংস করবার জন্যই ইব্‌নুল্লাহ্ প্রকাশিত হয়েছিলেন।” (১ ইউহোন্না ৩:৮)
  114. “মসীহ্ আমাদের জন্য নিজের প্রাণ দিয়েছিলেন, তাই মহব্বত কি তা আমরা জানতে পেরেছি। তাহলে ভাইদের জন্য নিজের প্রাণ দেওয়া আমাদেরও উচিত।” (১ ইউহোন্না ৩:১৬)
  115. “আমাদের প্রতি আল্লাহ্‌র মহব্বত এইভাবে প্রকাশিত হয়েছে- তিনি তাঁর একমাত্র পুত্রকে এই দুনিয়াতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন যেন আমরা তাঁর মধ্য দিয়ে জীবন পাই।” (১ ইউহোন্না ৪:৯)
  116. “আমরা যে আল্লাহ্‌কে মহব্বত করেছিলাম তা নয়, কিন্তু তিনি আমাদের মহব্বত করে তাঁর পুত্রকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, যেন পুত্র তাঁর নিজের জীবন-কোরবানীর দ্বারা আমাদের গুনাহ্ দূর করে আল্লাহ্‌কে সন্তুষ্ট করেন। এটাই হল মহব্বত।” (১ ইউহোন্না ৪:১০)
  117. “সেই সাক্ষ্য এই যে, আল্লাহ্ আমাদের অনন্ত জীবন দিয়েছেন এবং সেই জীবন তাঁর পুত্রের মধ্যে আছে।” (১ ইউহোন্না ৫:১১)
  118. “তোমরা অবশ্য এই সব বিষয় ভাল করেই জান; তবুও আমি তোমাদের এই কথা মনে করিয়ে দিতে চাই যে, মিসর দেশ থেকে বনি-ইসরাইলদের উদ্ধার করে আনবার পরে যারা ঈমান আনে নি প্রভু তাদের ধ্বংস করেছিলেন।” (এহুদা ১:৫)
  119. “তোমরা অবশ্য এই সব বিষয় ভাল করেই জান; তবুও আমি তোমাদের এই কথা মনে করিয়ে দিতে চাই যে, মিসর দেশ থেকে বনি-ইসরাইলদের উদ্ধার করে আনবার পরে যারা ঈমান আনে নি প্রভু তাদের ধ্বংস করেছিলেন।” (এহুদা ১:৫)
  120. “আমাদের হযরত ঈসা মসীহের দয়া যেন তোমাদের অনন্ত জীবনে নিয়ে যায় তারই অপেক্ষায় তোমরা আল্লাহ্‌র মহব্বতের মধ্যে থাক।” (এহুদা ১:২১)
  121. “আমিই চিরজীবন্ত। আমি মরেছিলাম, আর দেখ, এখন আমি যুগ যুগ ধরে চিরকাল জীবিত আছি। আমার কাছে মৃত্যে ও কবরের চাবি আছে।” (প্রকাশিত কালাম ১:১৮)
  122. “তাঁরা এই নতুন কাওয়ালীটি গাইছিলেন: “তুমিই ঐ কিতাবটা নিয়ে তার সীলমোহরগুলো খুলবার যোগ্য, কারণ তোমাকে মেরে ফেলা হয়েছিল। তুমিই তোমার রক্ত দিয়ে প্রত্যেক বংশ, ভাষা, দেশ ও জাতির মধ্য থেকে আল্লাহ্‌র জন্য লোকদের কিনেছ।” (প্রকাশিত কালাম ৫:৯)
  123. “সেই চারজন প্রাণী বললেন, “আমিন।” তারপর সেই নেতারা উবুড় হয়ে সেজদা করলেন।” (প্রকাশিত কালাম ৫:১৪)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *