মথি ১৫:২৬ – বিদেশিনীকে ‘কুকুর’ বলা?

<h2 class=”objection”>মথি ১৫:২৬—“ঈসা মসীহ্‌ কেমন করে একজন বিদেশী মহিলাকে ‘কুকুর’ বলতে পারে?”</h2>
তখনকার সমাজে দুই ধরনের কুকুর ছিল—একটা খারাপ (বন্য ও নোংরা), আরেকটি ভাল যারা মেষ দেখাশোনা করতে খুব গুণী ছিল। ইহুদীরা প্রায়ই অ-ইহুদীদের গালি হিসেবে “κύων” (কুওন) বলতেন, যাকে দিয়ে বোঝানো হত রাস্তার নোংরা কুকুর। কিন্তু এখানে মসীহ্ সেই সব্দ ব্যবহার করেননি, তিনি বলেছিলেন “κυνάριον” (কুনারিওন) অর্থাৎ গৃহপালিত বাচ্চা-কুকুর যারা ঘরের মধ্যে থাকত, সম্ভবত মেষ-পালকদের বাসায়। বাংলায় যেমন “অমুক প্রাণীর-বাচ্চা” একটি গালি হিসেবে ব্যবহার করা হয়, গ্রীক ভাষায় কিন্তু সেরকম অর্থ নেই, “বাচ্চা-প্রাণী” একটি আদরের ডাক হিসেবে ব্যবহার করা হত। যদি এটা একটি গালি হত, তাহলে মহিলাটি অবশ্য রেগে যেত বা চলে যেত; কিন্তু এই কথা শুনবার পরেও তিনি ঈসার সাহায্য চেয়েছিলেন, এবং শেষ ঈসা মসীহ্ মহিলাটির ঈমান প্রশংসা করেছিলেন।<p>
এখানে ঈসার পুরো গল্প দেখতে হবে—তিনি বাড়ীর বিভিন্ন ভাগ (মালিক, সন্তান, গৃহপালিত পশু, ইত্যাদি) দিয়ে বোঝাচ্ছে যে তার তবলিগ কাজের ক্ষেত্রেও প্রথমত ইহুদীদের কাছে তার প্রচার করার দায়িত্ব ছিল। <p>
কোরআন শরীফও বিভিন্ন খারাপ জাতি বা মানুষকে পশুর সঙ্গে তুলনা করা হয়—“কুকুর” (৭:১৭৫-১৭৭), “পশু” (৮:২২,২৫), এবং “গাধা” (৬২:৫)।

কোনো প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে আমরা শুনতে চাই! নিচের ফর্ম দিয়ে যোগাযোগ করুন:

Enable javascript in your browser if this form does not load.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *