খ্রিষ্টানদের পবিত্র বাইবেল কি ধর্ষক তৈরি করে?

বাইবেল স্বামীহারা নারীকে তার দেবরের সাথে সেক্স করার অনুমতি দেয়
বাইবেল অনুযায়ী কারো ভাই মারা গেলে জীবিত ভাইয়ের দ্বায়িত্ব হচ্ছে ভাবির সাথে সহবাস করে তাকে সন্তান প্রদান করা। যাকোবের ছেলে এহুদার পরিবারে এরুপ ঘটনা ঘটেছিল। বড় ছেলে মারা গেলে মেজ ছেলে ওনানকে এহুদা আদেশ করেন ভাবির সাথে শয়ন করে দেবরের দ্বায়িত্ব পালন করা এবং তাকে সন্তান উপহার দেওয়া। বাইবেলের রিভাইজড স্ট্যান্ডার্ড ভার্সনে বলা হয়েছে:

“Go in to your brother’s wife and perform the duty of a brother in law to her and raise up offspring for your brother.”

বাইবেলে খ্রিস্টানদের ঈশ্বর কাঁদে??

বাইবেলে খ্রিস্টানদের ঈশ্বর কাঁদে??

১৩ “প্রভু বলবান সৈন্যের মত চলে যাবেন! তিনি হবেন যুদ্ধ করতে প্রস্তুত মানুষের মত। তিনি প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে উঠবেন। তিনি কাঁদবেন, উচ্চস্বরে চিত্কার করবেন এবং তার শত্রুদের পরাজিত করবেন।
১৪ দীর্ঘদিন ধরে আমি কিছুই বলিনি। আমি নিজেকে সংযত করে রেখেছিলাম, বলিনি কোন কিছুই। কিন্তু এখন আমি প্রসব করতে যাচ্ছে এমন এক মহিলার মতো চিত্কার করে কাঁদব। আমি জোরে জোরে সশব্দে প্রশ্বাস নেব” (ইশাইয়া ৪২:১৩-১৪)

কোরআন ও বাইবেলে আল্লাহর বিভিন্ন আবেগের কথা বলা হয় – রাগ (مَغضُوب সূরা ফাতিহা ১:৭), প্রেম (وَدُودُ সূরা আল বুরূজ ৮৫:১৪), এবং সহানুভূতি (رحمة), তাই আল্লাহ্‌র দুঃখ থাকা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এখানে বলা হচ্ছে না যে আল্লাহ্‌ কাঁদে। প্রথম আয়াতে আল্লাহর কথা বলা হচ্ছে বটে, কিন্তু এখানে “কাঁদা” বলা হচ্ছে না। সমালোচক একটি অপ্রচলিত অনির্ভরযোগ্য অনুবাদ ব্যবহার করেছে; আমি এখানে মূল ভাষা ও ইংরেজি সহ দুটি প্রচলিত ও নির্ভরযোগ্য অনুবাদ দিচ্ছি ১৩ আয়াত:

১৩ “יְהוָה֙ כַּגִּבֹּ֣ור יֵצֵ֔א כְּאִ֥ישׁ מִלְחָמֹ֖ות יָעִ֣יר קִנְאָ֑ה יָרִ֙יעַ֙ אַף־יַצְרִ֔יחַ”(ইশাইয়া ৪২:১৩, মূল হিব্রু)

১৩ “The LORD will march out like a champion,
    like a warrior he will stir up his zeal;

with a shout he will raise the battle cry and will triumph over his enemies.”

প্রকৃত খ্রিস্টান কারা?

প্রশ্ন:

যখনই আমি কোন খ্রিস্টানকে ইসলামের দাওয়াত দিতে যাই তখনই একটা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়,,, তারা উলটো আমাকে খ্রিস্টান হওয়ার জন্য বলে!!! যীশু বা ইসা আঃ কে যে অনুসরন করে তাকে যদি খ্রিস্টান বলা হয় তাহলে আমি মনে করি আমি খ্রিস্টানদের থেকেও বড় খ্রিস্টান। কারন :-

  • যীশু শোকরের গোশত খেত না [দ্বিতীয় বিবরন ১৪:৮]( আমিও খাইনা)

ইঞ্জিলের সরাসরি উদ্ধৃতি দিয়ে সবচেয়ে ভালো উত্তর হয়:

ঈসা তাঁদের বললেন, “তোমরা কি এতই অবুঝ?

ইম্মানুয়েল ভবিষ্যদ্বাণী কি মিথ্যা?

প্রশ্ন:

জাতির কাছে এক কঠিন প্রশ্ন: বাইবেলের এই ভবিষ্যত বাণী কি মিথ্যা নয়? লজিকালি উত্তর দিবেন।

বাইবেলে ভবিষ্যত বাণী করা হয়েছিল যে, মরিয়মের ছেলের নাম রাখা হবে ইম্মানুয়েল। ইম্মানুয়েল অর্থ ” ঈশ্বর আমাদের সাথে”। আর যিশু অর্থ “অভিষিক্ত ত্রানকর্তা”। গস্পেল অফ মথি ১/২২,২৩ এ বলা হয়েছে,

“একজন অবিবাহিতা সতী মেয়ে গর্ভবতী হবে, আর তার একটি ছেলে হবে, তার নাম রাখা হবে ইম্মানুয়েল।”(মথি ১:২২,২৩)

বাইবেলে স্পষ্ট বলা হয়েছে তার নাম হবে ইম্মানুয়েল, যার অর্থ “ঈশ্বর আমাদের সাথে”। তাহলে মরিয়মের পুত্রের এমন এক নাম রাখা হবে যার নামের অর্থ হবে “ঈশ্বর আমাদের সাথে।” মরিয়মের পুত্রের নাম কি তাই রাখা হয়েছে যার অর্থ “ঈশ্বর আমাদের সাথে?”

ঈসা কি প্রত্যেকে ক্ষমা করেছেন?

প্রশ্ন:

খ্রিস্টানদের প্রতি কিছু প্রশ্ন:
১. যীশু (তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক) যদি সবার পাপ নিয়ে মারা যাই তাহলে

  • জাহান্নাম কেন সৃষ্টি করা হয়েছে
  • আর যিশু যখন পৃথিবীতে আসবে তখন কিসের বিচার করবেন?

আর যারা পাপি তারা যদি শাস্তি পায় তাহলে যীশু কাদের পাপ নিয়ে মারা গিয়েছেন?

যীশু শুধুমাত্র ইহুদিদের জন্য?

আপনি প্রমাণ করতে চেয়েছেন যিশুকে সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। আপনি অনেক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু তার ব্যাখ্যা কয়েকটা কারণে গ্রহণযোগ্য নয়: (১) তার ব্যাখ্যা গস্পেল অফ মথি ১৫/২৪ এর সাথে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। মথি ১৫/২৪ এ বলা হয়েছে,”I am not sent but unto the lost sheep of the house of Israel.”

মাকে কে বেশি সন্মান দিয়েছে?

প্রশ্ন:

মাকে কে বেশি সন্মান দিয়েছে? মোহাম্মদ সা: Vs খ্রিষ্টানের যীশু

মোহাম্মদ সঃ ও কোরআনের শিক্ষা……

“তোমার মা বৃ্দ্ধা হয়ে জালাতন করলেও “উহ” শব্দও বলো না” (কোরআন ১৭:২৩)

যীশু ও বাইবেলের শিক্ষা…..

“যখন সমস্ত মদ ফুরিয়ে গেল- তখন যীশুর মা তাঁর কাছে এসে বললেন- “এদের আর মদ নেই৷’ তখন যীশু বললেন, ‘হে নারী- তুমি আমায় কেন বলছ কি করা উচিত?”

যীশু কি মনুষ্যপুত্র নাকি ঈশ্বরপুত্র?

অভিযোগ:

যীশু কি মনুষ্যপুত্র নাকি ইশ্বরপুত্র???

যদি বলেন ইশ্বরেরপুত্র তাহলে বাইবেলে তাকে মনুষ্যপুত্র বলা হলো কেন? যেমন…

“মনে রেখো, মনুষ্যপুত্র সেবা পেতে আসেননি বরং সেবা করতে এসেছেন এবং অনেক লোকের মুক্তির মূল্য হিসাবে তাদের প্রাণের পরিবর্তে নিজের প্রাণ দিতে এসেছেন।”” (মার্ক ১০:৪৫)

যীশু খ্রীষ্টের এই নাম প্রথম বলা হয়েছে দানিয়েল ৭:১৩ পদে। এই নামটি যীশু খ্রীষ্ট নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেছেন। যদিও অন্যেরা এই নাম খুব কমই ব্যবহার করত। এই নাম যীশু খ্রীষ্টের মানব হওয়া প্রকাশ করে। আরো কিছু সূত্র: দানিয়েল ৭:১৩, মথি ১৬:২৭-২৮, ২৬:৬৪, লূক ২১:২৭

উত্তর:

ইঞ্জিল শরিফে ঈসাকে উভয়ই বার বার বলা হয়েছে, “মনুষ্যপুত্র” ও “ঈশ্বরপুত্র” – দুটোই ঠিক। “আল্লাহ্‌র পুত্র” রুপক বর্ণনা দিয়ে বোঝানো হচ্ছে যে পিতা ও পুত্রের যে বিশেষ ভালোবাসা ও বাধ্যতার সম্পর্ক থাকে সেটা আল্লাহ ও ঈসার মধ্যেও ছিল (সেটা শারীরিক কিছু বোঝায় না)। “মনুষ্যপুত্র” উপাধির দুটি অর্থ আছে:

  1. ১.

সর্বোচ্চ পাহাড় থেকে সকল রাজ্য দেখা?

প্রশ্ন:

সর্বোচ্চ পাহাড় থেকে সকল রাজ্য দেখা?

গসপেল অব ম্যাথিউ এর ৪র্থ অধ্যায়ের ৮ম ধারায় আছে-‘শয়তান তাকে (যীশু) একটি অতি উচ্চ পাহাড়ে নিয়ে গেল এবং পৃথিবীর সব রাজ্যসমূহ ও তাদের মহিমা দেখাল’

“শয়তান তাঁকে একটি উঁচু পাহাড়ে উঠাল এবং তাকে পৃথিবীর সব রাজ্য দেখাল।” (লূক ৪:৫)

আপনি যদি উচ্চতম পর্বত মাউন্ট এভারেস্টেও যান এবং আপনার দৃষ্টিশক্তি যদি খুব ভালও হয় তবুও আপনি পৃথিবীর সব রাজ্য দেখতে পাবেন না। কারণ পৃথিবী বর্তুলাকার। ফলে আপনি আপনার বিপরীত পাশে কি আছে তা দেখতে পাবেন না। বর্ণিত বক্তব্য সত্য হতো যদি পৃথিবী হতো চ্যাপ্টা।

উত্তর:

এর উত্তর এর মধ্যে লেখা হয়েছে, এখানে পাওয়া যাবে। নিচেও পেস্ট করছি:

মথি ৪:৮—“এখানে বলা হয়েছে যে পৃথিবী সমতল, কিন্তু পৃথিবী গোলাকার।”

সমালোচক যদি ভালভাবে পড়লেন, তিনি লক্ষ্য করতেন যে এটা আসলে এক মুহূর্তের মধ্যে একটি অলৌকিক দর্শন, যেমন লূক ৪:৫ আয়াতে স্পষ্ট আছে: “এর পরে ইবলিস তাঁকে একটা উঁচু জায়গায় নিয়ে গেল এবং মুহূর্তের মধ্যে দুনিয়ার সব রাজ্যগুলো দেখালো…”। লূক এবং মথি অবশ্যই মনে করেননি যে রোম শহর একটি উঁচু পাহাড় থেকে দেখা যাবে—এরা বরং একটি অলৌকিক দর্শনের কথা বলেছিলেন।

একই মাপকাঠিতে আমরা প্রশ্ন করতে পারি কেমন করে নবীজীর মি’রাজ হল, কেমন করে তিনি ‘বুরাক’ নামের এক স্বর্গীয় বাহন চড়ে জেরুজালেমে গেলেন। কোরআনেও কিছু আয়াত আছে যেগুলো আপাত দৃষ্টিতে সমতল পৃথিবীর কথা বলে—

“এবং আকাশের প্রতি লক্ষ্য করে না যে, তা কিভাবে উচ্চ করা হয়েছে?

খ্রিষ্টধর্মে হাসপাটাল হারাম?

প্রশ্ন:

খ্রিষ্টধর্মে হাসপাটাল হারাম?

কোনো খ্রিস্টিয়ান অসুস্থ হলে তারা হসপিটালে কেন যায়? ইয়াকুব ৫:১৪-১৬ এখানে উল্লেখ আছে যে কেউ অসুস্থ হলে গীর্জার পাদ্রীর কাছে যাবে। সুতারাং খ্রিস্টিয়ান হসপিটালে যাওয়া হারাম,প্রার্থনা দিয়ে কাজ চালান

উত্তর:

এই অভিযোগ সম্পূর্ণ যুক্তিহীন। ইসলামেও অসুস্থদের জন্য দু’য়া ও রুকইয়াহ করা হয়; হাদিস অনুযায়ী জিব্রাইল নবীজীর অসুখবিসুখের জন্য মোনাজাত করতেন, এবং নবীজী নিজেই সাহাবীদের অসুখের নিরাময়ের জন্য দু’য়া ও রুকইয়াহ করতেন। ইয়াকুব ৫:১৪-১৬ আয়াতে আছে:

“তোমাদের মধ্যে কেউ কি কষ্টভোগ করছে?