ইঞ্জিল শরিফে ঈসা মসীহের মৃত্যু

ঈসা মসীহ যে ক্রুশে মারা গেলেন এটা নিচের ১৩০টি আয়াতে পাওয়া যায়:

  1. “যখন তাঁরা সেই পাহাড় থেকে নেমে আসছিলেন তখন ঈসা তাঁদের এই হুকুম দিলেন, “তোমরা যা দেখলে, ইব্‌নে-আদম মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে না ওঠা পর্যন্ত তা কাউকে বোলো না।” (মথি ১৭:৯)
  2. “দেখ, আমরা জেরুজালেমে যাচ্ছি। সেখানে ইব্‌নে-আদমকে প্রধান ইমামদের ও আলেমদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে।” (মথি ২০:১৯)
  3. “তাঁরা তাঁর বিচার করে তাঁকে মৃত্যুর উপযুক্ত বলে স্থির করবেন। তাঁরা তাঁকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করবার জন্য এবং চাবুক মারবার ও ক্রুশের উপরে হত্যা করবার জন্য অ-ইহুদীদের হাতে দেবেন; পরে তৃতীয় দিনে তিনি মৃত্যে থেকে জীবিত হয়ে উঠবেন।” (মথি ২০:১৮)
  4. “মনে রেখো, ইব্‌নে-আদম সেবা পেতে আসেন নি বরং সেবা করতে এসেছেন এবং অনেক লোকের মুক্তির মূল্য হিসাবে তাদের প্রাণের পরিবর্তে নিজের প্রাণ দিতে এসেছেন।” (মথি ২০:২৮)
  5. “সেইজন্য হুকুম দিন যেন তিন দিন পর্যন্ত কবরটা পাহারা দেওয়া হয়। না হলে তাঁর সাহাবীরা হয়তো এসে তাঁর লাশটা চুরি করে নিয়ে গিয়ে লোকদের বলবে, ‘তিনি মৃত্যু থেকে বেঁচে উঠেছেন।’ তাহলে প্রথম ছলনার চেয়ে শেষ ছলনাটা আরও খারাপ হবে।” (মথি ২৭:৬৪)
  6. “ফেরেশতা স্ত্রীলোকদের বললেন, “তোমরা ভয় কোরো না, কারণ আমি জানি, যাঁকে ক্রুশের উপর হত্যা করা হয়েছিল তোমরা সেই ঈসাকে খুঁজছ।” (মথি ২৮:৫)
  7. “তোমরা তাড়াতাড়ি গিয়ে তাঁর সাহাবীদের বল তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন এবং তাদের আগে গালীলে যাচ্ছেন। তারা তাঁকে সেখানেই দেখতে পাবে। দেখ, কথাটা আমি তোমাদের জানিয়ে দিলাম।” (মথি ২৮:৭)
  8. “পরে পাহাড় থেকে নেমে আসবার সময় ঈসা তাঁদের হুকুম দিলেন, “তোমরা যা দেখলে তা ইব্‌নে-আদম মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে না ওঠা পর্যন্ত কাউকে বোলো না।” (মার্ক ৯:৯)
  9. “তিনি বললেন, “দেখ, আমরা জেরুজালেমে যাচ্ছি। সেখানে ইব্‌ন্তেআদমকে প্রধান ইমামদের ও আলেমদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে। তাঁরা তাঁর বিচার করে তাঁকে মৃত্যুর উপযুক্ত বলে স্থির করবেন এবং অ-ইহুদীদের হাতে দেবেন।” (মার্ক ১০:৩৩)
  10. “মনে রেখো, ইব্‌নে-আদম সেবা পেতে আসেন নি বরং সেবা করতে এসেছেন এবং অনেক লোকের মুক্তির মূল্য হিসাবে তাদের প্রাণের পরিবর্তে নিজের প্রাণ দিতে এসেছেন।” (মার্ক ১০:৪৫)
  11. “যে সেনাপতি ঈসার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল সে ঈসাকে এইভাবে মারা যেতে দেখে বলল, “সত্যিই ইনি ইব্‌নুল্লাহ্ ছিলেন।” (মার্ক ১৫:৩৯)
  12. “বেলা তিনটার সময় ঈসা জোরে চিত্কার করে বললেন, “এলোই, এলোই, লামা শবক্তানী,” অর্থাৎ “আল্লাহ্ আমার, আল্লাহ্ আমার, কেন তুমি আমাকে ত্যাগ করেছ?” (মার্ক ১৫:৩৪)
  13. “পীলাত আশ্চর্য হলেন যে, ঈসা এত তাড়াতাড়ি মারা গেছেন। সত্যি সত্যি ঈসার মৃত্যে হয়েছে কি না, তা সেনাপতিকে ডেকে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন।” (মার্ক ১৫:৪৪)
  14. “সেই যুবকটি বললেন, “অবাক হয়ো না। নাসরত গ্রামের ঈসা, যাঁকে ক্রুশের উপরে হত্যা করা হয়েছিল, তাঁকেই তোমরা খুঁজছো তো? তিনি এখানে নেই, তিনি জীবিত হয়ে উঠেছেন। যেখানে তারা তাঁকে রেখেছিল সেই জায়গা দেখ।” (মার্ক ১৬:৬)
  15. “আমাদের প্রধান ইমামেরা ও ধর্ম-নেতারা তাঁকে রোমীয়দের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলেন যাতে তারা তাঁর বিচার করে তাঁকে মৃত্যুর শাস্তি দেয়। পরে সেই ইহুদী নেতারা তাঁকে ক্রুশে দিয়েছিলেন।” (লূক ২৪:২০)
  16. “আমাদের প্রধান ইমামেরা ও ধর্ম-নেতারা তাঁকে রোমীয়দের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলেন যাতে তারা তাঁর বিচার করে তাঁকে মৃত্যুর শাস্তি দেয়। পরে সেই ইহুদী নেতারা তাঁকে ক্রুশে দিয়েছিলেন।” (লূক ২৪:৪৬)
  17. তাই ঈসা মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠলে পর তাঁর সাহাবীদের মনে পড়ল যে, তিনি ঐ কথাই বলেছিলেন। তখন সাহাবীরা পাক-কিতাবের কথায় এবং ঈসা যে কথা বলেছিলেন তাতে বিশ্বাস করলেন।(ইউহোন্না ২:২২)
  18. “তাই ঈসা মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠলে পর তাঁর সাহাবীদের মনে পড়ল যে, তিনি ঐ কথাই বলেছিলেন। তখন সাহাবীরা পাক-কিতাবের কথায় এবং ঈসা যে কথা বলেছিলেন তাতে বিশ্বাস করলেন।” (ইউহোন্না ১১:৫১)
  19. “কাইয়াফা যে নিজে থেকে এই কথা বলেছিলেন তা নয় কিন্তু তিনি ছিলেন সেই বছরের মহা-ইমাম। সেইজন্য তিনি ভবিষ্যতের কথা বলেছিলেন যে, ইহুদী জাতির জন্য ঈসাই মরবেন।” (ইউহোন্না ১২:৩৩)
  20. “তাঁর কি রকমের মৃত্যু হবে তা বুঝাবার জন্য তিনি এই কথা বললেন।” (ইউহোন্না ১৮:১৪)
  21. “এই কাইয়াফাই ইহুদী নেতাদের পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, গোটা জাতির বদলে বরং একজনের মৃত্যু হওয়াই ভাল।” (ইউহোন্না ১৮:৩২)
  22. “কিভাবে নিজের মৃত্যি হবে ঈসা আগেই তা বলেছিলেন। এটা ঘটল যাতে তাঁর সেই কথা পূর্ণ হয়।” (ইউহোন্না ১৮:৩৩)
  23. “তখন পীলাত আবার বাড়ীর মধ্যে ঢুকলেন এবং ঈসাকে ডেকে বললেন, তুমিই কি ইহুদীদের বাদশাহ্?” (মার্ক ১৬:৬)
  24. “ঈসা বললেন, “আপনি কি নিজে থেকেই এই কথা বলছেন, না অন্যেরা আমার বিষয়ে আপনাকে বলেছে?” (ইউহোন্না ১৮:৩৪)
  25. “পরে ঈসার কাছে এসে সৈন্যেরা তাঁকে মৃত দেখে তাঁর পা ভাংল না।” (ইউহোন্না ১৯:৩৩)
  26. “মৃত্যু থেকে ঈসার জীবিত হয়ে উঠবার যে দরকার আছে, পাক-কিতাবের সেই কথা তাঁরা আগে বুঝতে পারেন নি। মগ্‌দলীনী মরিয়মের সংগে হযরত ঈসা মসীহের সাক্ষাৎ” (ইউহোন্না ২০:৯)
  27. “মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠবার পর ঈসা এই তৃতীয় বার সাহাবীদের দেখা দিলেন।” (ইউহোন্না ২১:১৪)
  28. “আল্লাহ্? যিনি আগেই সব জানেন, তিনি আগেই ঠিক করেছিলেন যে, ঈসাকে আপনাদের হাতে দেওয়া হবে। আর আপনারাও দুষ্ট লোকদের দ্বারা তাঁকে ক্রুশের উপরে হত্যা করেছিলেন।” (প্রেরিত ২:২৩)
  29. “কিন্তু আল্লাহ্ মৃত্যুর যন্ত্রণা থেকে মুক্ত করে তাঁকে জীবিত করে তুলেছেন, কারণ তাঁকে ধরে রাখবার সাধ্য মৃত্যুর ছিল না।” (প্রেরিত ২:২৪)
  30. “এইজন্য সমস্ত ইসরাইল জাতি এই কথা নিশ্চিত ভাবে জানুন যে, যাঁকে আপনারা ক্রুশের উপরে হত্যা করেছিলেন আল্লাহ্ সেই ঈসাকেই প্রভু এবং মসীহ্ – এই দুই পদেই নিযুক্ত করেছেন।” (প্রেরিত ২:৩৬)
  31. “যিনি জীবনদাতা তাঁকেই আপনারা হত্যা করেছিলেন, কিন্তু আল্লাহ্ মৃত্যি থেকে তাঁকে জীবিত করে তুলেছেন; আর আমরা তার সাক্ষী।” (প্রেরিত ৩:১৫)
  32. “তাহলে আপনারা এবং সমস্ত বনি-ইসরাইল এই কথা জেনে রাখুন যে, নাসরতের সেই ঈসা মসীহ্? যাঁকে আপনারা ক্রুশের উপরে হত্যা করেছিলেন এবং যাঁকে আল্লাহ্ মৃত্যু থেকে জীবিত করে তুলেছেন, তাঁরই শক্তিতে এই লোকটি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।” (প্রেরিত ৪:১০)
  33. “যাঁকে আপনারা ক্রুশে টাংগিয়ে হত্যা করেছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্ সেই ঈসাকেই মৃত্যু থেকে জীবিত করে তুলেছেন।” (প্রেরিত ৫:৩০)
  34. “কিন্তু আল্লাহ্ তৃতীয় দিনে তাঁকে মৃত্যু থেকে জীবিত করে তুললেন এবং এমন করলেন যাতে লোকেরা তাঁকে দেখতে পায়।” (প্রেরিত ১০:৪০)
  35. “তবে সকলে তাঁকে দেখতে পায় নি, কিন্তু আল্লাহ্ যে সাক্ষীদের আগেই বেছে রেখেছিলেন তারাই তাঁকে দেখতে পেয়েছিল, অর্থাৎ তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠবার পরে আমরা যারা তাঁর সংগে খাওয়া-দাওয়া করেছি আমরাই তাঁকে দেখতে পেয়েছি।” (প্রেরিত ১০:৪১)
  36. “কিন্তু আল্লাহ্ মৃত্যি থেকে তাঁকে জীবিত করে তুলেছেন।” (প্রেরিত ১৩:৩০)
  37. “আল্লাহ্ যে তাঁকে মৃত্যু থেকে জীবিত করেছেন এবং তাঁর শরীর যে আর কখনও নষ্ট হবে না তা এই কথাগুলোতে আল্লাহ্ বলেছেন, ‘পবিত্র ও নিশ্চিত দোয়ার যে ওয়াদা আমি দাউদের কাছে করেছি তা আমি তোমাকে দেব।'” (প্রেরিত ১৩:৩৪)
  38. “কিন্তু আল্লা্যাঁকে মৃত্যে থেকে জীবিত করেছিলেন তাঁর শরীর নষ্ট হয় নি।” (প্রেরিত ১৩:৩৭)
  39. “তিনি লোকদের বুঝালেন এবং প্রমাণ করলেন যে, মসীহের কষ্টভোগ করবার এবং মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠবার দরকার ছিল। তিনি বললেন, “যে ঈসার কথা আমি আপনাদের কাছে তবলিগ করছি সেই ঈসাই হলেন মসীহ্ ।” (প্রেরিত ১৭:৩)
  40. “কারণ তিনি মন একটা দিন ঠিক করেছেন যে দিনে তাঁর নিযুক্ত লোকের দ্বারা তিনি ন্যায়ভাবে মানুষের বিচার করবেন। তিনি সেই লোককে মৃত্যে থেকে জীবিত করে তুলে সব মানুষের কাছে এর প্রমাণ দিয়েছেন।” (প্রেরিত ১৭:৩১)
  41. “বরং তাদের ধর্ম-মত এবং ঈসা বলে একজন মৃত লোক সম্বন্ধে তাকে দোষী করল। পৌল নামে সেই লোকটা দাবি করে যে, সেই ঈসা বেঁচে আছে।” (প্রেরিত ২৫:১৯)
  42. “আল্লাহ্ যে মৃতদের জীবিত করেন এই কথা বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে আপনারা কেন মনে করছেন?” (প্রেরিত ২৬:৮)
  43. “সেই কথা হল এই যে, মসীহ্‌কে কষ্টভোগ করতে হবে এবং তাঁকেই মৃত্যে থেকে প্রথমে জীবিত হয়ে উঠে তাঁর নিজের জাতির লোকদের ও অ-ইহুদীদের কাছে নূরের রাজ্যের বিষয়ে ঘোষণা করতে হবে।” (প্রেরিত ২৬:২৩)
  44. শরীরের দিক থেকে তিনি নবী দাউদের বংশধর ছিলেন, আর তাঁর নিষ্পাপ রূহের দিক থেকে তিনি মহা শক্তিতে মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে ইব্‌নুল্লাহ্‌ হিসাবে প্রকাশিত হয়েছিলেন।(রোমীয় ১:৪)
  45. “আল্লাহ্ প্রকাশ করেছিলেন যে, যারা ঈমান আনে তাদের জন্য ঈসা মসীহ্ তাঁর রক্তের দ্বারা, অর্থাৎ তাঁর জীবন-কোরবানীর দ্বারা তাঁকে সন্তুষ্ট করেছেন। এইভাবেই আল্লাহ্ দেখিয়েছেন, যদিও তিনি তাঁর স্যেগুণের জন্য মানুষের আগেকার গুনাহের শাস্তি দেন নি তবুও তিনি ন্যায়বান।” (রোমীয় ৩:২৫)
  46. “আমাদেরও লক্ষ্য করে লেখা হয়েছে। আমাদের ঈমানের জন্য আল্লাহ্ আমাদেরও ধার্মিক বলে ধরবেন, কারণ যিনি আমাদের হযরত ঈসাকে মৃত্যু থেকে জীবিত করেছিলেন আমরা তাঁরই উপর ঈমান এনেছি।” (রোমীয় ৪:২৪)
  47. “আমাদের গুনাহের জন্য ঈসাকে মৃত্যের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল এবং আমাদের ধার্মিক বলে গ্রহণ করবার জন্য তাঁকে মৃত্যি থেকে জীবিত করা হয়েছিল।” (রোমীয় ৪:২৫)
  48. “যখন আমাদের কোন শক্তিই ছিল না তখন ঠিক সময়েই মসীহ্ আল্লাহ্‌র প্রতি ভয়হীন মানুষের জন্য, অর্থাৎ আমাদের জন্য প্রাণ দিলেন।” (রোমীয় ৫:৬)
  49. “কিন্তু আল্লাহ্ যে আমাদের মহব্বত করেন তার প্রমাণ এই যে, আমরা গুনাহ্ গার থাকতেই মসীহ্ আমাদের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন।” (রোমীয় ৫:৮)
  50. “আমরা যখন আল্লাহ্‌র শত্রু ছিলাম তখন তাঁরই পুত্রের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তাঁর সংগে আমাদের মিলন হয়েছে। এইভাবে মিলন হয়েছে বলে মসীহের জীবন দ্বারা আমরা নিশ্চয়ই নাজাত পাব।” (রোমীয় ৫:১০)
  51. “আর সেইজন্য সেই তরিকাবন্দীর দ্বারা মসীহের সংগে মরে আমাদের দাফন করাও হয়েছে, যেন পিতা তাঁর মহাশক্তি দ্বারা যেমন মসীহ্‌কে মৃত্যু থেকে জীবিত করেছিলেন তেমনি আমরাও যেন নতুন জীবনের পথে চলতে পারি।” (রোমীয় ৬:৪)
  52. “মসীহের সংগে মরে যখন তাঁর সংগে আমরা যুক্ত হয়েছি তখন তিনি যেমন মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন, ঠিক তেমনি করে আমরা তাঁর সংগে জীবিতও হব।” (রোমীয় ৬:৫)
  53. “আমরা যখন মসীহের সংগে মরেছি তখন ঈমান রাখি যে, তাঁর সংগে জীবিতও থাকব।” (রোমীয় ৬:৮)
  54. “আমরা জানি মসীহ্‌কে মৃত্যু থেকে জীবিত করা হয়েছিল বলে তিনি আর কখনও মরবেন না, অর্থাৎ তাঁর উপরে মৃৃতু্যর আর কোন হাত নেই।” (রোমীয় ৬:৯)
  55. “তিনি যখন মরলেন তখন গুনাহের দাবি-দাওয়ার কাছেও মরলেন; তাঁর উপর গুনাহের আর কোন দাবি-দাওয়া রইল না। আর এখন তিনি জীবিত হয়ে আল্লাহ্‌র জন্য বেঁচে আছেন।” (রোমীয় ৬:১০)
  56. “ঠিক সেইভাবে আমার ভাইয়েরা, মসীহের শরীরের মধ্য দিয়ে মূসার শরীয়তের দাবি-দাওয়ার কাছে তোমরাও মরেছ। তার ফলে যাঁকে মৃত্যু থেকে জীবিত করা হয়েছে তোমরা সেই ঈসা মসীহেরই হয়েছ, যেন আল্লাহ্‌র জন্য তোমাদের জীবন ফলবান হয়ে ওঠে।” (রোমীয় ৭:৪)
  57. “যিনি ঈসাকে মৃত্যু থেকে জীবিত করেছেন সেই আল্লাহ্‌র রূহ্ যদি তোমাদের দিলে বাস করেন, তবে আল্লাহ্ তাঁর সেই রূহের দ্বারা তোমাদের মৃত্যুর অধীন শরীরকেও জীবন দান করবেন।” (রোমীয় ৮:১১)
  58. “কে তাদের দোষী বলে স্থির করবে? যিনি মরেছিলেন এবং যাঁকে মৃত্যু থেকে জীবিত করাও হয়েছে সেই মসীহ্ ঈসা এখন আল্লাহ্‌র ডান পাশে আছেন এবং আমাদের জন্য অনুরোধ করছেন।” (রোমীয় ৮:৩৪)
  59. “সেই কথা হল, যদি তুমি ঈসাকে প্রভু বলে মুখে স্বীকার কর এবং দিলে ঈমান আন যে, আল্লাহ্ তাঁকে মৃত্যু থেকে জীবিত করে তুলেছেন তবেই তুমি নাজাত পাবে;” (রোমীয় ১০:৯)
  60. “মসীহ্ মরেছিলেন এবং আবার জীবিতও হয়েছিলেন যেন তিনি জীবিত ও মৃত এই দু’য়েরই প্রভু হতে পারেন।” (রোমীয় ১৪:৯)
  61. “কিন্তু আমরা ক্রুশের উপরে হত্যা করা মসীহের কথা তবলিগ করি। সেই কথা ইহুদীদের কাছে একটা বাধা আর অ-ইহুদীদের কাছে মূর্খতা,” (১ করিন্থীয় ১:২৩)
  62. “আল্লাহ্ তাঁর শক্তির দ্বারা প্রভুকে মৃত্যু থেকে জীবিত করেছেন এবং তিনি আমাদেরও জীবিত করবেন।” (১ করিন্থীয় ৬:১৪)
  63. “সেই দুর্বল লোক, সেই ভাই, যার জন্য মসীহ্ মরেছিলেন, তোমার জ্ঞানের দ্বারাই তার মহা ক্ষতি হয়।” (১ করিন্থীয় ৮:১১)
  64. “সেইজন্য তিনি না আসা পর্যন্ত যতবার তোমরা এই রুটি খাবে আর এই পেয়ালা থেকে খাবে ততবারই প্রভুর মৃত্যুর কথা প্রচার করবে।” (১ করিন্থীয় ১১:২৬)
  65. “আমি নিজে যা পেয়েছি তা সব চেয়ে দরকারী বিষয় হিসাবে তোমাদেরও দিয়েছি। সেই বিষয় হল এই- পাক-কিতাবের কথামত মসীহ্ আমাদের গুনাহের জন্য মরেছিলেন,” (১ করিন্থীয় ১৫:৩)
  66. “কিন্তু যদি তবলিগ করা হয় যে, মসীহ্‌কে মৃত্যে থেকে জীবিত করা হয়েছে তবে তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ কেমন করে বলছে যে, মৃতদের জীবিত হয়ে ওঠা বলে কিছু নেই?” (১ করিন্থীয় ১৫:১২)
  67. “মৃতেরা যদি জীবিত হয়ে না-ই ওঠে তাহলে তো মসীহ্ কেও জীবিত করা হয় নি;” (১ করিন্থীয় ১৫:১৩)
  68. “এছাড়া তাতে এই কথাই প্রমাণ হচ্ছে যে, আল্লাহ্‌র বিষয়ে আমরা মিথ্যা সাক্ষ্য দিচ্ছি, কারণ আমাদের সাক্ষ্য এই যে, আল্লাহ্ মসীহ্‌কে মৃত্যু থেকে জীবিত করে তুলেছেন। কিন্তু যদি মৃতদের জীবিত করে তোলা না-ই হয় তবে তিনি মসীহ্ কেও জীবিত করে তোলেন নি,” (১ করিন্থীয় ১৫:১৫)
  69. “আমরা সব সময় হযরত ঈসার মৃত্যু আমাদের শরীরে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি, যেন আমাদের শরীরের মধ্যে ঈসার জীবনও প্রকাশিত হয়।” (২ করিন্থীয় ৪:১০)
  70. “কারণ আমরা জানি, যিনি হযরত ঈসাকে জীবিত করেছিলেন তিনি তাঁর সংগে আমাদেরও জীবিত করবেন এবং তোমাদের সংগে আমাদেরও নিজের সামনে উপস্থিত করবেন।” (২ করিন্থীয় ৪:১৪)
  71. “মসীহের মহব্বতই আমাদের বশে রেখে চালাচ্ছে, কারণ আমরা নিশ্চয় করে বুঝেছি যে, সকলের হয়ে একজন মরলেন, আর সেইজন্য সকলেই মরল।” (২ করিন্থীয় ৫:১৪)
  72. “তিনি সবার হয়ে মরেছিলেন যেন যারা জীবিত আছে তারা আর নিজেদের জন্য বেঁচে না থাকে, বরং যিনি তাদের জন্য মরেছিলেন ও জীবিত হয়েছেন তাঁরই জন্য বেঁচে থাকে।” (২ করিন্থীয় ৫:১৫)
  73. “আমি পৌল মসীহের একজন সাহাবী। এই সাহাবী-পদ কোন মানুষের কাছ থেকে বা কোন মানুষের মধ্য দিয়ে আমি পাই নি, বরং ঈসা মসীহ্ এবং পিতা আল্লাহ্, যিনি মসীহ্‌কে মৃত্যি থেকে জীবিত করে তুলেছিলেন, তাঁদের মধ্য দিয়েই আমি তা পেয়েছি।” (গালাতীয় ১:১)
  74. “আল্লাহ্‌র এই রহমতকে আমি বাতিল করব না, কারণ মানুষ যদি শরীয়ত পালনের মধ্য দিয়েই আল্লাহ্‌র গ্রহণযোগ্য হতে পারে তবে মসীহ্ মিথ্যাই মরেছিলেন।” (গালাতীয় ২:২১)
  75. “যার দ্বারা তিনি মৃত্যু থেকে মসীহ্‌কে জীবিত করে তুলেছেন এবং বেহেশতে তাঁর ডান দিকে বসিয়েছেন।” (ইফিষীয় ১:২০)
  76. “তোমরা এক কালে দূরে ছিলে, কিন্তু মসীহ্ ঈসার সংগে যুক্ত হয়েছ বলে তোমাদের এখন তাঁর রক্তের দ্বারা কাছে আনা হয়েছে।” (ইফিষীয় ২:১৩)
  77. “এটাও তাঁর উদ্দেশ্য ছিল যে, তাঁর ক্রুশীয় মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সেই দু’টিকে তিনি এক শরীরে আল্লাহ্‌র সংগে আবার মিলিত করেন, কারণ এই দু’য়ের মধ্যে যে শত্রুতার ভাব ছিল তা তিনি তাঁর ক্রুশীয় মৃত্যুর দ্বারা ধ্বংস করেছেন।” (ইফিষীয় ২:১৬)
  78. “এছাড়া চেহারায় মানুষ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত, এমন কি, ক্রুশের উপরে মৃত্যু পর্যন্ত বাধ্য থেকে তিনি নিজেকে নীচু করলেন।” (ফিলিপীয় ২:৮)
  79. “আমি মসীহ্‌কে জানতে চাই এবং যে শক্তির দ্বারা তাঁকে মৃত্যি থেকে জীবিত করা হয়েছিল সেই শক্তিকে জানতে চাই। আমি তাঁর দুঃখ-কষ্টের ভাগী হতে চাই। মোট কথা, যে মনোভাব নিয়ে তিনি মরেছিলেন আমিও সেই রকম মনোভাব পেতে চাই।” (ফিলিপীয় ৩:১০)
  80. “এছাড়া তিনিই তাঁর শরীরের, অর্থাৎ জামাতের মাথা। তিনিই প্রথম আর তিনিই মৃত্যু থেকে প্রথম জীবিত হয়েছিলেন, যেন সব কিছুতে তিনিই প্রধান হতে পারেন।” (কলসীয় ১:১৮)
  81. “তা ছাড়া দুনিয়াতে হোক বা বেহেশতে হোক, মসীহের মধ্য দিয়ে তাঁর নিজের সংগে সব কিছুর মিলনও তিনি চেয়েছিলেন। মসীহ্ ক্রুশের উপর তাঁর রক্ত দান করে শান্তি এনেছিলেন বলেই এই মিলন হতে পেরেছে।” (কলসীয় ১:২০)
  82. “কিন্তু মসীহের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তাঁর শরীরের দ্বারা আল্লাহ্ নিজের সংগে এখন তোমাদের মিলিত করেছেন, যেন তিনি তোমাদের পবিত্র, নিখুঁত ও নির্দোষ অবস্থায় নিজের সামনে উপস্থিত করতে পারেন।” (কলসীয় ১:২২)
  83. “তরিকাবন্দীর মধ্য দিয়ে মসীহের সংগে তোমাদের দাফন করা হয়েছে; শুধু তা-ই নয়, যিনি মৃত্যু থেকে মসীহ্‌কে জীবিত করে তুলেছেন সেই আল্লাহ্‌র শক্তির উপর ঈমানের মধ্য দিয়ে তোমাদের মসীহের সংগে জীবিত করে তোলাও হয়েছে।” (কলসীয় ২:১২)
  84. “আর আমাদের বিরুদ্ধে যে দলিল ছিল তার সমস্ত দাবি-দাওয়া সুদ্ধ তা বাতিল করে দিয়েছেন। সেই দলিল তিনি ক্রুশে পেরেক দিয়ে গেঁথে নাকচ করে ফেলেছেন।” (কলসীয় ২:১৪)
  85. “মসীহের সংগে মরে তোমরা যখন দুনিয়ার নানা রীতিনীতির কাছ থেকে দূরে সরে এসেছ তখন দুনিয়ার লোকদের মতই তোমরা েন আবার দুনিয়ার নিয়মের অধীন হচ্ছ?” (কলসীয় ২:২০)
  86. “তাহলে তোমরা যখন মসীহের সংগে মৃত্যু থেকে জীবিত হয়েছ তখন মসীহ্ বেহেশতে যেখানে আল্লাহ্‌র ডান দিকে বসে আছেন সেই বেহেশতী বিষয়গুলোর জন্য আগ্রহী হও।” (কলসীয় ৩:১)
  87. “আর বেহেশত থেকে তাঁর পুত্রের আসবার জন্য অপেক্ষা করতে পার। সেই পুত্রই হলেন ঈসা, যাঁকে তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত করে তুলেছিলেন। আল্লাহ্‌র যে গজব নেমে আসছে সেই গজব থেকে এই ঈসাই আমাদের রক্ষা করবেন।” (১ থিষলনীকীয় ১:১০)
  88. “আর বেহেশত থেকে তাঁর পুত্রের আসবার জন্য অপেক্ষা করতে পার। সেই পুত্রই হলেন ঈসা, যাঁকে তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত করে তুলেছিলেন। আল্লাহ্‌র যে গজব নেমে আসছে সেই গজব থেকে এই ঈসাই আমাদের রক্ষা করবেন।” (১ থিষলনীকীয় ১:১০)
  89. “আমরা যখন বিশ্বাস করি ঈসা মরেছিলেন এবং আবার জীবিত হয়ে উঠেছেন তখন আমরা এও বিশ্বাস করি, যারা ঈসার সংগে যুক্ত হয়ে মারা গেছে আল্লাহ্ তাদেরও ঈসার সংগে নিয়ে যাবেন।” (১ থিষলনীকীয় ৪:১৪)
  90. “মসীহ্ আমাদের জন্য মরেছিলেন, যাতে আমরা বাঁচি বা মরি, আমরা যেন তাঁরই সংগে জীবিত থাকতে পারি।” (১ থিষলনীকীয় ৫:১০)
  91. “এই কথা বিশ্বাসযোগ্য এবং সমপূর্ণ ভাবে গ্রহণেরও যোগ্য যে, গুনাহ্ গারদের নাজাত করবার জন্যই মসীহ্ ঈসা দুনিয়াতে এসেছিলেন। সেই গুনাহ্ গারদের মধ্যে আমিই প্রধান।” (১ তিমথীয় ১:১৫)
  92. “তিনি সব মানুষের মুক্তির মূল্য হিসাবে নিজের জীবন দিয়েছিলেন। আল্লাহ্‌র ঠিক করা সময়ে সেই বিষয়ে সাক্ষ্য দেওয়া হয়েছে,” (১ তিমথীয় ২:৬)
  93. “কিন্তু এখন আমাদের নাজাতদাতা মসীহ্ ঈসার এই দুনিয়াতে আসবার মধ্য দিয়ে তিনি সেই রহমত প্রকাশ করেছেন। মসীহ্ মৃত্যুকে ধ্বংস করেছেন এবং সুসংবাদের মধ্য দিয়ে ধ্বংসহীন জীবনের কথা প্রকাশ করেছেন।” (২ তিমথীয় ১:১০)
  94. “ঈসা মসীহ্ সম্বন্ধে এই কথা মনে রেখো যে, তাঁকে মৃত্যু থেকে জীবিত করে তোলা হয়েছিল এবং তিনি দাউদের বংশের লোক ছিলেন। যে সুসংবাদ আমি তবলিগ করি তার মধ্যে এই কথা আছে,” (২ তিমথীয় ২:৮)
  95. “সেই সন্তানেরা হল রক্ত-মাংসের মানুষ। সেইজন্য ঈসা নিজেও রক্ত-মাংসের মানুষ হলেন, যাতে মৃত্যুর ক্ষমতা যার হাতে আছে সেই ইবলিসকে তিনি নিজের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শক্তিহীন করেন,” (ইবরানী ২:১৪)
  96. “অন্যান্য মহা-ইমামেরা যেমন প্রথমে নিজের ও পরে অন্যদের গুনাহের জন্য পশু কোরবানী দিতেন, সেইভাবে এই ইমামের তা করবার দরকার ছিল না, কারণ তিনি চিরকালের মত একবারই নিজের জীবন কোরবানী দিয়ে সেই কাজ শেষ করেছেন।” (ইবরানী ৭:২৭)
  97. “ছাগল ও বাছুরের রক্ত নিয়ে মসীহ্ সেই মহাপবিত্র স্থানে ঢোকেন নি। তিনি নিজের রক্ত নিয়ে একবারই সেখানে ঢুকেছিলেন। এইভাবে তিনি চিরকালের জন্য গুনাহ্ থেকে মুক্তির উপায় করলেন।” (ইবরানী ৯:১২)
  98. “কিন্তু যিনি অনন্ত পাক-রূহের মধ্য দিয়ে আল্লাহ্‌র কাছে নিজেকে নিখুঁত কোরবানী হিসাবে দান করলেন সেই ঈসার রক্ত আমাদের বিবেককে নিষ্ফল কাজকর্ম থেকে আরও কত না বেশী করে পাক-সাফ করবে, যাতে আমরা জীবন্ত আল্লাহ্‌র এবাদত করতে পারি!” (ইবরানী ৯:১৪)
  99. “আল্লাহ্ যাদের ডেকে চিরকালের অধিকার দেবার ওয়াদা করেছিলেন তারা যেন তা পায় সেইজন্যই মসীহ্ একটা নতুন ব্যবস্থার মধ্যস্থ হয়েছেন। এই অধিকার পাওয়া মানুষের পক্ষে সম্ভব হয়েছে, কারণ প্রথম ব্যবস্থা বহাল থাকবার সময়ে মানুষ যে সব গুনাহ্ করেছিল সেই সব গুনাহের হাত থেকে মানুষকে মুক্ত করবার মূল্য হিসাবে মসীহ্ প্রাণ দিয়েছিলেন।” (ইবরানী ৯:১৫)
  100. “তা-ই যদি করতে হত তবে দুনিয়া সৃষ্টির সময় থেকে শুরু করে তাঁকে অনেকবারই কষ্টভোগ করে মরতে হত; কিন্তু এখন সমস্ত যুগের শেষে তিনি একবারই প্রকাশিত হয়েছেন যেন নিজেকে কোরবানী দিয়ে তিনি গুনাহ্ দূর করতে পারেন।” (ইবরানী ৯:২৬)
  101. “ঠিক সেইভাবে অনেক লোকের গুনাহের বোঝা বইবার জন্য মসীহ্ কেও একবারই কোরবানী দেওয়া হয়েছে। তিনি দ্বিতীয় বার আসবেন, কিন্তু তখন গুনাহের জন্যৈ মরতে আসবেন না, বরং যারা তাঁর জন্য আগ্রহের সংগে অপেক্ষা করে আছে তাদের সম্পূর্ণ ভাবে নাজাত করবার জন্য আসবেন।” (ইবরানী ৯:২৮)
  102. “আল্লাহ্‌র সেই ইচ্ছামতই ঈসা মসীহের শরীর একবারই কোরবানী দেবার দ্বারা আল্লাহ্‌র উদ্দেশ্যে আমাদের পাক-পবিত্র করা হয়েছে।” (ইবরানী ১০:১০)
  103. “ঈসা কিন্তু গুনাহের জন্য চিরকালের মত একটি মাত্র কোরবানী দিয়ে আল্লাহ্‌র ডান দিকে বসলেন।” (ইবরানী ১০:১২)
  104. “কারণ যাদের পাক-পবিত্র করা হয়েছে ঐ একটি কোরবানীর দ্বারা তিনি চিরকালের জন্য তাদের পূর্ণতা দান করেছেন।” (ইবরানী ১০:১৪)
  105. “ভাইয়েরা, ঈসা মসীহের রক্তের গুণে সেই মহাপবিত্র স্থানে ঢুকবার সাহস আমাদের আছে।” (ইবরানী ১০:১৯)
  106. “সেইভাবে ঈসাও জেরুজালেম শহরের বাইরে কষ্টভোগ করে মরেছিলেন, যেন তাঁর নিজের রক্তের দ্বারা মানুষকে গুনাহ্ থেকে পাক-সাফ করতে পারেন।” (ইবরানী ১৩:১২)
  107. “যে রক্তে শান্তিদাতা আল্লাহ্‌র চিরস্থায়ী ব্যবস্থা বহাল হয়েছে তার দ্বারা আল্লাহ্ আমাদের হযরত ঈসা মসীহ্ কে, অর্থাৎ মেষদের সেই মহান পালককে মৃত্যু থেকে জীবিত করে তুলেছেন।” (ইবরানী ১৩:২০)
  108. “আমাদের হযরত ঈসা মসীহের আল্লাহ্ এবং পিতার প্রশংসা হোক। ঈসা মসীহ্‌কে মৃত্যে থেকে জীবিত করে তুলে আল্লাহ্ তাঁর প্রচুর মমতায় আমাদের নতুন জন্ম দান করেছেন। তার ফলে আমরা একটা জীবন্ত আশ্বাস পেয়েছি,” (১ পিতর ১:৩)
  109. “তাঁদের দিলে মসীহের রূহ্ আগেই সাক্ষ্য দিয়ে বলেছিলেন যে, মসীহ্‌কে কষ্টভোগ করতে হবে ও তারপর তিনি মহিমা লাভ করবেন। নবীরা জানতে চেয়েছিলেন মসীহের সেই রূহ্ কোন্ সময় এবং কোন্ অবস্থার কথা তাঁদের জানাচ্ছিলেন।” (১ পিতর ১:১১)
  110. “তোমাদের মুক্ত করা হয়েছে নির্দোষ ও নিখুঁত মেষ-শাবক ঈসা মসীহের অমূল্য রক্ত দিয়ে।” (১ পিতর ১:১৯)
  111. “আল্লাহ্ তাঁকে মৃত্যু থেকে জীবিত করে তুলে মহিমা দান করেছেন এবং তাঁরই মধ্য দিয়ে তোমরা আল্লাহ্‌র উপরে ঈমান এনেছ; আর সেইজন্যই তোমাদের ঈমান ও আশা আল্লাহ্‌র উপরেই আছে।” (১ পিতর ১:২১)
  112. “এরই জন্য আল্লাহ্ তোমাদের ডেকেছেন, কারণ মসীহ্ তোমাদের জন্য কষ্ট ভোগ করে তোমাদের কাছে আদর্শ রেখে গেছেন, যেন তোমরাও তাঁরই মত চল,” (১ পিতর ২:২১)
  113. “তিনি ক্রূশের উপরে নিজের শরীরে আমাদের গুনাহের বোঝা বইলেন, যে আমরা গুনাহের দাবি-দাওয়ার কাছে মরে আল্লাহ্‌র ইচ্ছামত চলবার জন্য বেঁচে থাকি। তাঁর গায়ের ক্ষত তোমাদের সুস্থ করেছে।” (১ পিতর ২:২৪)
  114. “১৮-১৯মসীহ্ও গুনাহের জন্য একবারই মরেছিলেন। আল্লাহ্‌র কাছে আমাদের নিয়ে যাবার জন্য সেই নির্দোষ লোকটি গুনাহ্‌গারদের জন্য, অর্থাৎ আমাদের জন্য মরেছিলেন। শরীরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল, কিন্তু রূহে তাঁকে জীবিত করা হয়েছিল এবং তিনি বন্দী রূহ্‌দের কাছে গিয়ে প্রচার করেছিলেন।” (১ পিতর ৩:১৮)
  115. “এটা হল তরিকাবন্দীর একটা ছবি যা এখন তোমাদের নাজাত দেয়। তরিকাবন্দী যে তোমাদের শরীর থেকে ময়লা দূর করে তা নয়; আল্লাহ্‌র কাছে এটা একটা পরিষ্কার বিবেকের সাড়া। ঈসা মসীহের মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠবার মধ্য দিয়ে তোমাদের নাজাত দেওয়া হয়।” (১ পিতর ৩:২১)
  116. “সেইজন্য মসীহ্ শরীরে কষ্ট সহ্য করেছিলেন বলে তোমরাও নিজেদের দিলে সেই একই মনোভাব গড়ে তোল, কারণ শরীরে যে কষ্ট ভোগ করেছে সে গুনাহের অভ্যাস ছেড়ে দিয়েছে।” (১ পিতর ৪:১)
  117. “তার চেয়ে বরং তোমরা যে মসীহের দুঃখভোগের ভাগ নিচ্ছ তাতে আনন্দিত হও, যেন তাঁর মহিমা যখন প্রকাশিত হবে তখন তোমরা আনন্দে পূর্ণ হও।” (১ পিতর ৪:১৩)
  118. “আমি মসীহের দুঃখভোগের সাক্ষী এবং তাঁর যে মহিমা প্রকাশিত হবে তার ভাগী। সেইজন্য তোমাদের মধ্যে যারা জামাতের প্রধান নেতা তাদের আমি আর একজন প্রধান নেতা হিসাবে এই উপদেশ দিচ্ছি-” (১ পিতর ৫:১)
  119. “কিন্তু আল্লাহ্ যেমন নূরে আছেন আমরাও যদি তেমনি নূরে চলি তবে আমাদের মধ্যে যোগাযোগ-সম্বন্ধ থাকে আর তাঁর পুত্র ঈসার রক্ত সমস্ত গুনাহ্ থেকে আমাদের পাক-সাফ করে।” (১ ইউহোন্না ১:৭)
  120. “আমাদের গুনাহ্ দূর করবার জন্য মসীহ্ তাঁর নিজের জীবন কোরবানী করে আল্লাহ্‌কে সন্তুষ্ট করেছেন। কেবল আমাদের গুনাহ্ নয়, কিন্তু সমস্ত মানুষের গুনাহ্ দূর করবার জন্য তিনি তা করেছেন।” (১ ইউহোন্না ২:২)
  121. “মসীহ্ আমাদের জন্য নিজের প্রাণ দিয়েছিলেন, তাই মহব্বত কি তা আমরা জানতে পেরেছি। তাহলে ভাইদের জন্য নিজের প্রাণ দেওয়া আমাদেরও উচিত।” (১ ইউহোন্না ৩:১৬)
  122. “আমরা যে আল্লাহ্‌কে মহব্বত করেছিলাম তা নয়, কিন্তু তিনি আমাদের মহব্বত করে তাঁর পুত্রকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, যেন পুত্র তাঁর নিজের জীবন-কোরবানীর দ্বারা আমাদের গুনাহ্ দূর করে আল্লাহ্‌কে সন্তুষ্ট করেন। এটাই হল মহব্বত।” (১ ইউহোন্না ৪:১০)
  123. “ইনিই ঈসা মসীহ্, যিনি পানি ও রক্তের মধ্য দিয়ে এসেছিলেন। কেবল পানির মধ্য দিয়ে নয়, কিন্তু পানি ও রক্তের মধ্য দিয়ে এসেছিলেন। পাক-রূহ্ এই বিষয়ে সাক্ষ্য দেন, কারণ তিনি নিজেই সত্য।” (১ ইউহোন্না ৫:৬)
  124. ঈসা মসীহ্‌ই বিশ্বস্ত সাক্ষী এবং মৃত্যু থেকে তিনিই প্রথমে জীবিত হয়ে উঠেছিলেন, আর তিনিই দুনিয়ার বাদশাহ্‌দের শাসনকর্তা। তিনি আমাদের মহব্বত করেন এবং নিজের রক্ত দিয়ে গুনাহ্‌ থেকে আমাদের মুক্ত করেছেন।(প্রকাশিত কালাম ১:৫)
  125. “দেখ, তিনি মেঘের সংগে আসছেন। প্রত্যেকটি চোখ তাঁকে দেখবে; যারা তাঁকে বিঁধেছিল তারাও দেখবে এবং দুনিয়ার সমস্ত জাতি তাঁর জন্য জোরে জোরে কাঁদবে। তা-ই হোক, আমিন।” (প্রকাশিত কালাম ১:৭)
  126. “আমিই চিরজীবন্ত। আমি মরেছিলাম, আর দেখ, এখন আমি যুগ যুগ ধরে চিরকাল জীবিত আছি। আমার কাছে মৃত্যে ও কবরের চাবি আছে।” (প্রকাশিত কালাম ১:১৮)
  127. “তাঁরা এই নতুন কাওয়ালীটি গাইছিলেন: “তুমিই ঐ কিতাবটা নিয়ে তার সীলমোহরগুলো খুলবার যোগ্য, কারণ তোমাকে মেরে ফেলা হয়েছিল। তুমিই তোমার রক্ত দিয়ে প্রত্যেক বংশ, ভাষা, দেশ ও জাতির মধ্য থেকে আল্লাহ্‌র জন্য লোকদের কিনেছ।” (প্রকাশিত কালাম ৫:৯)
  128. “তাঁরা জোরে জোরে এই কথা বলছিলেন: “যে মেষ-শাবককে মেরে ফেলা হয়েছিল, তিনিই ক্ষমতা, ধন, জ্ঞান, শক্তি, সম্মান, গৌরব ও প্রশংসা পাবার যোগ্য।” (প্রকাশিত কালাম ৫:১২)
  129. “তাঁদের প্রভুকে যে শহরে ক্রুশের উপরে হত্যা করা হয়েছিল সেই মহা শহরের রাস্তায় তাঁদের লাশ পড়ে থাকবে। সেই শহরের নাম আসলে সাদুম ও মিসর নয়, তবুও একই রকম বলে সেই শহরকে সাদুম ও মিসর বলা হয়।” (প্রকাশিত কালাম ১১:৮)
  130. “যারা এই দুনিয়ার, অর্থাৎ যাদের নাম মেষ-শাবকের জীবন-কিতাবে লেখা নেই তারা সবাই সেই জন্তুটাকে সেজদা করবে। এই মেষ-শাবককে দুনিয়া সৃষ্টির আগেই হত্যা করবার জন্য ঠিক করা হয়েছিল।” (প্রকাশিত কালাম ১৩:৮)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *