পৃথিবীতে কি এক জনও খাঁটি খৃষ্টান আছে?

#পৃথিবীতে কি এক জনও খাঁটি খৃষ্টান আছে?

যীশুর বর্ণনা অনুযায়ী পৃথিবীতে এক জনও খাঁটি খৃষ্টান নাই ৷ কারণ যীশু বলেছেন তিনি যা করতে পারবেন; তার অনুসারীরাও সেই সকল কাজ করতে পারবেন ৷

“আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যে আমার ওপর বিশ্বাস রাখে, আমি যে কাজই করি না কেন, সেও তা করবে, বলতে কি সে এর থেকেও মহান মহান কাজ করবে, কারণ আমি পিতার কাছে যাচ্ছি৷” যোহন ১৪:১২<

১. কোন খৃষ্টান কি মৃতকে জীবিত করতে পারবেন?২. কুষ্ঠ রোগিকে ভাল করতে পারবেন? এখন হয়তো কোন খৃষ্টান ত্যানা পেচাবেন যে, এটা সকলের জন্য না তাদের বলছি নিচের শ্লোকটি লক্ষ্য করুন যীশু বলছে “যে বিশ্বাস করে” আর এই বাক্যটি “যে বিশ্বাস” দ্বারা প্রত্যেককেই বুঝাচ্ছে আর প্রত্যেক এমন ব্যক্তিকে বুঝাচ্ছে যে বিশ্বাসী অতএব সকল কে বুঝাচ্ছে৷ অতএব এখানে ত্যানা পেচানোর সুযোগ নেই৷ উপরোক্ত আলোচনার আলোকে দাবী করতে পারি ৷ বর্তমানে পৃথিবীতে কোন খাঁটি খৃষ্টান নেই৷

একই ধরণের যুক্তিতে বলা যায় যে পৃথিবীতে কোন খাঁটি মুসলমান নাই, কারণ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ অর্থাৎ বাধ্যতামূলক এবং একজনও ব্যক্তি নেই যে ছোটবেলা থেকে সারাজীবন একটাও নামাজ বাদ দেয় নি। কিন্তু এই ধরণের পরীক্ষা অর্থহীন। যোহন ১৪:১২ আয়াতের সঠিক ব্যাখ্যা কি এই, যে প্রত্যেক ঈসায়ী ঈসার সকল কাজ করবে? সেই ব্যাখ্যা ঠিক হতে পারে না, কারণ:

  1. ১. সেই ক্ষেত্রে শুধু অলৌকিক কাজ নয়, প্রত্যেকে ঈসা মসীহ ২৪ ঘণ্টা যা কিছুই করেছে প্রত্যেকটি ‘কাজ’ করতে হতো।
  2. ২. ইঞ্জিলে বলা হয়েছে যে অলৌকিক কাজ প্রত্যেক ঈমানদার করবে না (“সকলেরই কি অলৌকিক কাজ করবার ক্ষমতা আছে? সকলেরই কি রোগ ভাল করবার ক্ষমতা আছে?” (১ করিন্থীয় ১২:২৯,৩০)

আসল ব্যাখ্যা হল যে ঈসা মসীহ যত ধরণের কাজ করেছে (যেমন অসুস্থদের সুস্থ করা, অন্ধদের দৃষ্টিশক্তি দেওয়া, প্রচার করা, সহানুভূতি দেখানো, ইত্যাদি) প্রত্যেকটি ধরণের কাজের উদাহরণ ঈসায়ী সমাজ ও ইতিহাসে বিভিন্ন মানুষের মধ্যে দেখা গেছে। ঈসা যে ধরণের “কাজ” বোঝাচ্ছেন সেটা আগের আয়াতে (১১ আয়াতে) বোঝানো হয়েছে – যেটা মানুষকে ঈসার অনুসারি হওয়ার জন্য আকৃষ্ট করে:

“…আমার এই সব কাজের জন্য আমাকে বিশ্বাস কর।” (ইউহোন্না ১৪:১১)

অর্থাৎ ১২ আয়াতের ভাবানুবাদ হল “যে আমার উপর ঈমান আনে সেও এমন কাজ করবে যেটা মানুষকে আমার উম্মত হওয়ার জন্য আকর্ষণ করে”। ঈসা মসীহের মৃত্যু ও পুনরুত্থানের শেষে তার প্রভাব কয়েক শো মানুষের মধ্যে – কিন্তু এখন তার চার্চ বা জামাতের মধ্য দিয়ে তার প্রভাব অনেক অনেক বেড়েছে – “এর থেকে মহান মহান কাজ”

এই কথার মানে কি তাহলে এটা কি পরীক্ষা?

“নিজেদের পরীক্ষা করে দেখ, তোমাদের বিশ্বাস আছে কি না; প্রমাণের জন্য নিজেদের যাচাই কর৷ তোমরা কি জান না যে খ্রীষ্ট যীশু তোমাদের মধ্যে আছেন? কিন্তু এ বিষয়ে যদি তোমাদের অন্তরে সেই প্রমাণ না পাও, তবে খ্রীষ্ট তোমাদের মধ্যে নেই৷ আশাকরি তোমরা একথা স্বীকার করবে যে আমরা সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি৷” (২ করিন্থীয় ১৩:৫-৬)

অবশ্যই নিজেকে নিয়মিত পরীক্ষা করতে হয় যে আমরা মসীহের অনুসারী হিসেবে চলছি কি না, সেটা ঈমানের একটি নিয়মিত অংশ। সেই পরীক্ষা হচ্ছে নিজের চিন্তা ও কাজ দেখে মূল্যায়ন করা যে সেগুলো আমরা কতটুকু আল্লাহর কাছে সমর্পণ করেছি, আল্লাহর ইচ্ছামতো হচ্ছে কি না।

এই কথার মানে কি তাহলে এটা কি পরীক্ষা?

২করন্থিয় ১৩/৫-৬

নিজেদের পরীক্ষা করে দেখ, তোমাদের বিশ্বাস আছে কি না; প্রমাণের জন্য নিজেদের যাচাই কর৷ তোমরা কি জান না যে খ্রীষ্ট যীশু তোমাদের মধ্যে আছেন? কিন্তু এ বিষয়ে যদি তোমাদের অন্তরে সেই প্রমাণ না পাও, তবে খ্রীষ্ট তোমাদের মধ্যে নেই৷ 6 আশাকরি তোমরা একথা স্বীকার করবে যে আমরা সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি৷

অবশ্যই নিজেকে নিয়মিত পরীক্ষা করতে হয় যে আমরা মসীহের অনুসারী হিসেবে চলছি কি না, সেটা ঈমানের একটি নিয়মিত অংশ। সেই পরীক্ষা হচ্ছে নিজের চিন্তা ও কাজ দেখে মূল্যায়ন করা যে সেগুলো আমরা কতটুকু আল্লাহ্‌র কাছে সমর্পণ করেছি, আল্লাহ্‌র ইচ্ছামতো হচ্ছে কি না।

কোনো প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে আমরা শুনতে চাই! নিচের ফর্ম দিয়ে যোগাযোগ করুন:

Enable javascript in your browser if this form does not load.

Comments are closed.