‘গসপেল অব বার্নাবাস’ কি প্রকৃত ইঞ্জিল ছিল না?

বাংলাদেশে ইদানিং কিছু কট্টরপন্থী টেলিভিশন প্রচারক দাবি করছে যে “গসপেল অব বার্নাবাস” নামক একটি রচনা হচ্ছে আসল ইঞ্জিল, যেটা খ্রিষ্টান চার্চ ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণের কাছ থেকে শত শত বছর ধরে লুকিয়ে রেখেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা একমত যে এই তথাকথিত ‘গসপেল’ রচিত হয়েছে মধ্যযুগেই, অর্থাৎ মসীহের দেড় হাজার বছর পরে। সেটা স্পেনে লেখা হয়েছে নাকি ইতালীতে লেখা হয়েছে, শুধু এই নিয়ে বিশেষজ্ঞদের কোন দ্বিমত রয়েছে। একজন বিশিষ্ট মুসলিম লেখক ও ইসলামি চিন্তাবিদ এইভাবে লিখেছেন:

As regards the “Gospel of Barnabas” itself, there is no question that it is a medieval forgery … It contains anachronisms which can date only from the Middle Ages and not before, and shows a garbled comprehension of Islamic doctrines, calling the Prophet the “Messiah”, which Islam does not claim for him. Besides its farcical notion of sacred history, stylistically it is a mediocre parody of the Gospels, as the writings of Baha Allah are of the Koran.

[“বার্নাবাসের গসপেল” প্রসঙ্গে, কোন প্রশ্নই নেই যে সেটা একটা মধ্যযুগীয় জাল…তার মধ্যে এমন কালাতিক্রমণ ভুল আছে যার কারণে মধ্যযুগের আগে লেখার তারিখ বসানো অসম্ভব, এবং ইসলামী শিক্ষা সম্পর্কে আবোলতাবোল ধারণা দেখা যায় (যেমন নবীজীকে “মসীহ্‌” বলা হয় যেটা ইসলাম তার জন্য দাবি করে না)। ধর্মীয় ইতিহাস সম্পর্কে হাস্যকর ধারণা রাখার পাশেও, শৈলীগতভাবে সেটা ইঞ্জিলের একটা দুর্বল অনুকরণ, যেমন কোরআনের তুলনায় বাহা-উল্লাহ্‌র লেখাগুলো যেরকম।]

আরেকজন বিশিষ্ট মুসলমান লেখেন:

“এটা সম্ভবত অনেক পরের একটি রচনা, ইসলামে প্রভাবে লেখা।”

ইঞ্জিল শরীফের চারটি স্বীকৃত গসপেল বা গসপেলের জন্যে শত শত প্রাচীন পান্ডুলিপি রয়েছে এবং সর্বপ্রথম ঈসায়ী জামাত নেতাদের চিঠির মধ্যে সেগুলোর অনেক উদ্ধৃতি পাওয়া যায়, তবে এই তথাকথিত ‘গসপেল অফ বার্নাবাস’ এর জন্যে খ্রীষ্টাব্দ ১৬শ শতাব্দীর আগে থেকে একটাও পান্ডুলিপি, দলিল বা উল্লেখ নাই। বিশ্লেষণে জানা গেছে যে ১৫০০-১৫৯০ সালে ‘গসপেল অফ বার্নাবাস’ লিখেছেন একজন দক্ষিণ ইউরোপীয় জালসাজ। বাইবেল এবং প্রাচীন প্যালেষ্টাইনের সম্বন্ধে লেখকের অজ্ঞতা দিয়ে সহজে চেনা যায় তার আসল পরিচয়।

১৬শ শতাব্দীর উৎপত্তির বিভিন্ন প্রমাণ

তথাকথিত বার্নাবাসের গসপেলের মধ্যে কিছু সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে যাতে করে সুনিশ্চিতভাবে বুঝা যায় যে এই গসপেল ষোলশ শতাব্দীতে লেখা হয়েছে। যেমন—

 

জুবিলী কত বছর? –

তৌরাত শরীফে ইহুদীদের শরীয়ত মোতাবেক, ৫০ বছর পর পর বিশ্রাম ও ঋণ-ক্ষমার জন্যে একটি বিশেষ ‘জুবিলী” বছরকে পালন করতে বলা হয়। কিন্তু এই ‘বার্নাবাস গসপেল’-এর ৮২ অধ্যায়ে উল্লেখ আছে যে জুবিলী ১০০ বছর পর পর হয়। ঈসা মসীহের যুগে কোন প্যালেষ্টাইনবাসী এই ধরনের ভুল করতেন না। তাহলে লেখকটি কোথা থেকে এই ১০০ সংখ্যাটি পেয়েছেন? ইতিহাসে আছে যে ১৩০০ খ্রীষ্টাব্দে, পোপ বনিফেইস্‌ এই শতবছর অবহেলিত ‘জুবিলী’ প্রথা পুনর্বহাল করেন, কিন্তু আসল তৌরাতের ৫০ বছর ব্যবধানের পরিবর্তে তিনি ঘোষণা দেন যেন ক্যাথলিক চার্চ ১০০ বছর পর পর এই জুবিলী পালন করে। এর পরের পোপেরা জুবিলীকে আবার ৫০ বছর ফাঁকে নিয়ে আনেন। লেখকটি অবশ্য পোপ বনিফেইসের ঘোষণা শুনে ভুল করে মনে করতেন যে হযরত ঈসা-ই এই ১০০ বছর জুবিলীটি চালু করলেন।

দান্তের উদ্ধৃতি – ‘বার্নাবাসের গসপেল’ রচনার মধ্যে কিছু উদ্ধৃতি ও তথ্য আছে যেগুলো বাইবেল বা কোরআনের মধ্যে কোথাও নেই বরং মধ্যযুগীয় কবি দান্তে থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। দান্তে ছিলেন একজন ১৩শ শতাব্দীর বিখ্যাত ইতালীয় কবি যিনি স্বর্গ-দোজখ নিয়ে ডিভাইন কমেডি গ্রন্থের রচয়িতা। দান্তে থেকে কিছু উদ্ধৃতি ‘বার্নাবাসের গসপেল’ ব্যবহার করে যেগুলো বাইবেল বা কোরআনে নেই, যেমন “dei falsi e lugiadi” (“ভণ্ড ও মিথ্যুক দেবতাগণ”) ( ইন্‌ফের্নো ১:৭২, গসপেল অব বার্নাবাস ২৩ অধ্যায়)।

 

 

লেখকের ইউরোপীয় দৃষ্টিকোণ

কাঠের পাত্র? – তথাকথিত গসপেল অব বার্নাবাসে কাঠের পাত্রে আঙ্গুর রস মজুত রাখার কথা বলা আছে (১৫২ অধ্যায়)। যদিও মধ্যযুগীয় ইউরোপে আঙ্গুর রস এইভাবে রাখা হত, প্রাচীন প্যালেষ্টাইনে কাঠের পাত্রে কখনও আঙ্গুর রস রাখা হত না, বরং সবসময় চামড়ার পাত্রে রাখা হত।গ্রীষ্মকালীন সবুজ সৌন্দর্য? – আবার বার্নাবাস গসপেলে আরেক জায়গায় উল্লেখ আছে যে ঈসা মসীহ গ্রীষ্মকালের সবুজ সৌন্দর্যের কথা বলেছিলেন, যখন ফসল কাটা হয় এবং ফল পাকে (১৬৯ অধ্যায়)। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো যে এই বর্ণনা লেখকের দেশ ইতালীর জন্য প্রযোজ্য হলেও প্যালেষ্টাইন দেশের জন্য একেবারে বেমানান, কারণ গ্রীষ্মকালে প্যালেষ্টাইন দেশে ফসল হয় না বরং ফসল হয় শীতকালে, এবং গ্রীষ্মকালে সেখানে সবুজ-সুন্দর নয় বরং সবকিছু শুকনা। বোঝা যায় যে লেখকটি কোনদিন নিজেই প্যালেষ্টাইনে যাননি।

প্যালেষ্টাইন সম্বন্ধে লেখকের অজ্ঞতা

এই ভুয়া গসপেল পড়লে বোঝা যায় যে লেখক প্যালেষ্টাইন দেশের ভৌগলিক অবস্থানের বিষয়েও ভালভাবে জানতেন না। যেমন—

 

সাগরের তীরে?

– এই সুসমচারের ২০ অধ্যায়ের বর্ণনা অনুযায়ী ঈসার বাসস্থান নাসরত গ্রাম হলো গালীল সাগরের তীরে, কিন্তু বাস্তবে নাসরত গ্রাম হলো গালীল সাগর থেকে ৮০০গজ উচু এবং ২০কি.মি. দূরে।

টায়ার শহর জর্দান নদীর কাছে? – আবার ৯৯ অধ্যায়ের বর্ণনায়, টায়ার শহর হল জর্দান নদীর পারে। বাস্তবে, প্রত্যেক প্যালেষ্টাইনবাসী লোক যেমন জানে, টায়ার শহর হচ্ছে লেবানন দেশে, জর্দান নদী থেকে ৫০ কি.মি. দূরে অবস্থিত।

এবাদতখানার চূড়ায় প্রচার? – ‘বার্নাবাসের গসপেল’ অনুযায়ী (১২৭ অধ্যায়), ঈসা মসীহ্‌ জেরুজালেমের বাইতুল মোকাদ্দসের চূড়া থেকে প্রচার করেছিলেন। কিন্তু লেখক যদি কোনদিন নিজ চোখে বাইতুল মোকাদ্দস দেখে থাকতেন তাহলে জানতে পারতেন যে বাইতুল মোকাদ্দসের ছাদ মাটি থেকে ১৫০ ফুট উচু ছিল যেখান থেকে লোকদের উদ্দেশ্যে প্রচার করা অসম্ভব।

৬ লক্ষ সৈন্যের যুদ্ধ? – এই গসপেলের ৯১ অধ্যায় অনুযায়ী, দুই লক্ষ সৈন্য বিশিষ্ট তিনটি আলাদা সৈন্যদল ঈসা মসীহের পরিচয় নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ করতে জমায়েত হয়েছিল (মোট ৬ লক্ষ্য অস্ত্রধারী সৈন্য)। কিন্তু এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার তথ্য থেকে জানা যায় যে, সেই সময়ে গোটা রোমীয় সাম্রাজ্যের বাহিনীতে কেবলমাত্র ৩ লক্ষ সৈন্য ছিল, যার মধ্যে অর্ধেক ছিল রিজার্ভ সৈন্য। আবার প্যালেষ্টাইনে ৭০ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত মাত্র ছোট একটি রক্ষীসেনাদল ছিল।

 

এই রকম আরও অনেক তথ্য ও মজবুত প্রমাণ আছে যে এই “বার্নাবাসের গসপেল” রচনা হয়েছে দক্ষিণ ইউরোপে ঈসা মসীহের জীবনকালের ১৫০০-১৫৯০ বছর পরে।

‘গসপেল অব বার্নাবাসের’ সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

১৯০৭ সালের দিকে Lonsdale এবং Laura Ragg এই “গসপেল অব বার্নাবাসের” প্রথম ইংরেজী অনুবাদ প্রকাশ করেন। তাদের এই অনুবাদের ভূমিকায় লেখাটির জাল হওয়ার ৭০ পৃষ্ঠার প্রমাণ দিয়েছে। পরে জামাত-ই-ইসলাম এদের এই অনুবাদ উর্দু ভাষায় অনুবাদ করে গোটা পাকিস্তানে ছড়িয়ে দিয়েছিল, কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে সেই ৭০ পৃষ্ঠার ভূমিকা বাদ দেওয়া হয়েছিল।

‘গসপেল অব বার্নাবাস’ প্রচারকদের মিথ্যাচার

এই গসপেলটি ভুয়া ও জাল প্রমাণিত হওয়ার পরেও যারা এইভাবে ‘গসপেল অব বার্নাবাস’কে আসল ইঞ্জিল বলে জনগণের কাছে প্রচার করে থাকেন, এদের সততা সম্পর্কে সন্দেহ জাগে। উদাহরণস্বরূপ, আতাউর রহিম নামক এক পাকিস্তানি, যিনি অনেক কষ্ট করে এই ‘গসপেল’টি পাকিস্তানে প্রচার করেছিলেন, তিনি এইভাবে লেখেন:

The Gospel of Barnabas is the only known surviving Gospel written by a disciple of Jesus, that is by a man who spent most of his time in the actual company of Jesus during the three years in which he was delivering his message. Therefore he had direct experience and knowledge of Jesus’ teaching, unlike all the authors of the four accepted Gospels.

[বার্নাবাসের গসপেল হলো বর্তমান পর্যন্ত টিকে থাকা একমাত্র গসপেল যা ঈসা মসীহের একজন প্রকৃত সাহাবী লিখেছেন, যিনি ঈসা মসীহের ৩ বছরের বাণী প্রচার কাজে তার সাথে সাথে ছিলেন। এইভাবে ঈসার শিক্ষার সম্পর্কে বার্নাবাসের সরাসরি অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান ছিল যা অন্য চারটি স্বীকৃত গসপেল লেখকদের ছিল না।]

উপরের উদ্ধৃতির প্রত্যেকটি দাবি পুরোপুরি মিথ্যা এবং প্রতারণামূলক। স্বীকৃত ইঞ্জিলের দুজন লেখক ইউহোন্না ও মথি দুজনই ঈসা মসীহের ঘনিষ্ঠ বারোজন সাহাবী দলের সদস্য ছিলেন। বার্নাবাস কিন্তু সাইপ্রাস দ্বীপের একজন অধিবাসী ছিলেন যিনি ঈসা মসীহকে বেহেশতে তুলে নেবার পর ঈমান এনেছিলেন এবং সম্ভবত ঈসা মসীহকে কখনো নিজ চোখে দেখেননি। তার বইয়ের অন্য জায়গায়, মোঃ আতাউর রহিম আরও দাবি করেছেন যে, ৪৭৮ খ্রীষ্টাবে রোমীয় সম্রাট নেরোর শাসনামলে বার্নাবাসের কবর আবিষ্কৃত হয়, এবং এই বার্নাবাসের নিজ হাতে লেখা এই গসপেল তার বুকের উপর পাওয়া যায়। রহিমের কথা অনুযায়ী, এই ইতিহাস লেখা আছে Acta Sanctorium, Boland Junii, Tome 2, pages 422-450, published in Antwerp in 1698. কিন্তু সেই বই পড়লে দেখা যায় যে, সেখানে লেখা রয়েছে বার্নাবাসের বুকের মধ্যে তার নিজ হাতে লেখা মথির গসপেলটি ছিল। এইসব ভুল তথ্য প্রমাণাদি সাধারণ জনগণের কাছে তুলে ধরে রহিম যে কেবল প্রতারণামূলক কাজই করছেন তা পরিষ্কার। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তার বইতে “বার্নাবাসের লেখা মথি রচিত গসপেল” না লিখে “বার্নাবাস রচিত গসপেল” লিখেছেন।

জনগণের মধ্যে ভুল ধারণা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে তাদের এই ভুয়া গসপেল প্রচার, প্রকাশ ও বিলি করা অতি লজ্জানক একটি কাজ। এই বিভ্রান্তি উদ্দেশ্যমূলকভাবে সৃষ্টি করা অতি লজ্জাজনক।

কোরআন শরীফের তথ্যের সঙ্গে
‘গসপেল অফ বার্নাবাস’-এর অমিল

বার্নাবাসের এই গসপেল কেবল বাইবেলের সাথে অসামঞ্জ্যস্যপূর্ণ নয় বরং কোরআন শরীফের সঙ্গেও এর অনেক বিষয়ে অমিল রয়েছে—

ঈসা নবী কি মসীহ্‌? – কোরআনে কেবল ঈসা নবীকেই “আল-মসীহ” উপাধি দেওয়া হয়েছে কিন্তু ‘গসপেল অব বার্নাবাস’-এ এই রকম লেখা আছে:

ঈসা বরং সত্য স্বীকার করে বলেন: “ আমি আল-মসীহ নই … আমাকে সত্যই পাঠানো হয়েছে বনি-ইসরাইলের কাছে একজন নাজাতের নবী হিসেবে।” (বার্নাবাসের গসপেল, অধ্যায় ৪২)

আরও অনেক দিক দিয়ে কোরআনের সাথে এই সুসমাচারের অমিল খুঁজে পাওয়া যায়।

ঈসার জন্মে ব্যথা? – যেমন এই সুসমাচারের তৃতীয় অধ্যায়ে লেখা আছে যে বিবি মরিয়ম অলৌকিকভাবে ঈসা নবীকে জন্ম দেবার সময় কোন ব্যাথা অনুভব করেননি। কিন্তু কোরআনের সূরা মরিয়মের ২৩ আয়াতে বলা হয়েছে যে বাচ্চা প্রসবের সময় মরিয়ম অনেক ব্যথা অনুভব করেছিলেন।

৭টি আসমান নাকি ৯টি? – কোরআনের সূরা বাকারার ২৯ আয়াত অনুযায়ী সাতটি আসমান আছে, কিন্তু বার্নাবাসের গসপেল অনুযায়ী নয়টি আসমানের কথা বলা হয়েছে।

এই রকম করে দোজখ, কেয়ামত, মদ, বহুবিবাহ, শয়তান, নবীগণ, কোরবানী ইত্যাদি অনেক বিষয় নিয়ে কোরআনের সাথে এই সুসমাচারের অনেক মতপার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায়।

  1. Cyril Glassé, The Concise Encyclopedia of Islam, San Francisco: Harper & Row, 1989, p. 65.
  2. Ayoub, Mahmoud M., “Towards an Islamic Christology II”, The Muslim World, Vol. LXX, April 1980, No. 2, p. 113.
  3. স্প্যানিশ ভাষায় টায়ার শহরের বানান হয় ‘Tiro’ (বার্নাবাস গসপেলের মূল পান্ডুলিপি হল স্প্যানিশ ভাষায়)
  4. The New Encyclopedia Britannica, Vol. 25, pp. 414-415 (ed. 15th, 1993).
  5. Md. Ataur Rahim, A prophet of Islam, p.3737.
  6. কোরআনে কেবলমাত্র ঈসা নবীকে মসীহ্‌ বলা হয়; ১১ বার তাঁর জন্যে এই উপাধিটা ব্যবহার করা হয় (যেমন দেখুন আলে-ইমরান ৪৫ আয়াতে)।

কোনো প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে আমরা শুনতে চাই! নিচের ফর্ম দিয়ে যোগাযোগ করুন:

Enable javascript in your browser if this form does not load.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *