কিতাবুল মোকাদ্দস পরিচয়

আরবী ভাষায় ‘আল-কিতাবুল মোকাদ্দস’ (الكتاب المقدس)-এর অর্থ “পবিত্র গ্রন্থ” যেমন ল্যাটিন ভাষা থেকে “বাইবেল” শব্দের অর্থ শুধু “গ্রন্থ”। কিতাবুল মোকাদ্দসের মধ্যে রয়েছে চারটা খণ্ড:

১. তৌরাত শরীফ (হিব্রু ভাষায়: תורה, আরবীতে: التوراة)
অথবা ‘তওরাহ্‌’ হযরত মূসা (আঃ)-এর কিতাব২.

ঈসা মসীহ্‌ কি ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন?

 

মসীহ্‌ কি সত্যিই
ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন?

জাকির নায়েকের যুক্তিখণ্ডন

 

 


সূচিপত্র

কোরআন শরীফ ও ইসলাম কী বলে?
হযরত ঈসার মৃত্যু সম্পর্কে ইসলামী মতবাদগুলো
হযরত ঈসার মৃত্যু সম্পর্কে কোরআন শরীফ
অজ্ঞান মতবাদ (Swoon Theory)

ইঞ্জিল শরীফ কী বলে?
ইঞ্জিলে ঈসার ক্রুশীয় মৃত্যুর ১২টি অনস্বীকার্য উদ্ধৃতি
ইঞ্জিলে ঈসার ক্রুশীয় মৃত্যুর ১২টি অনস্বীকার্য উদ্ধৃতি

তৌরাত ও জবুর শরীফ কী বলে?

দা ভিঞ্চি কোড ও আসল ইতিহাস

দুঃখের ব্যাপার হল, অনেকে বুঝতে পারেনা যে, দা ভিঞ্চি কোড শুধুই একটি কাল্পনিক গল্প যা মানুষকে বিনোদন দিতে বই বিক্রি করতে লিখা হয়েছেএটি ইতিহাস নয়লেখক যাই দাবি করুক, এটি প্রচুর ঐতিহাসিক ভুল তথ্যে ভরাএমনকি ঈসায়ী বিশ্বাসের তীব্র প্রতিপক্ষ পযর্ন্ত লিখতে বাধ্য হন:

দা ভিঞ্চি কোড অবশ্যই প্রথম থেকে শেষ পযর্ন্ত বানানো, উদ্ভাবিত এবং নির্মিত কল্পসাহিত্য”।

যদি বইটি পড়ে থাকেন অথবা চলচ্চিত্রটি দেখা হয়ে থাকে তাহলে বইটির কোন অংশ বাস্তব আর কোন অংশ কাল্পনিক তা ভালোভাবে এখানে জানতে পারবেন

সূচিপত্র

ঈসা কি বিবাহিত ছিলেন?

বিসমিল্লাহ্‌র অর্থ এবং উৎস

This beautiful phrase declares God’s primary attribute– His great Mercy or Grace. God’s Mercy has been expressed in his provision of salvation by his own righteousness for mankind.

The above phrase is commonly known as the bismillah because in the Arabic it reads bismillah-ir-rahman-ir-rahim.…

সমালোচকদের দাবির মূল সমস্যা

সমালোচকদের দাবির মূল সমস্যা

ইদানিং জাকির নায়েক ও আহমেদ দিদাতের মত কিছু টেলিভিশন প্রচারকগণ প্রচার করে যাচ্ছে যে ইঞ্জিল শরীফ পুরোপুরি পরিবর্তন হয়েছে ও ঈসা মসীহ্‌ আসলে কখনও ক্রুশবিদ্ধ হননি। এই ধরনের শিক্ষা দিয়ে এরা কোরআন, কোরআনের শ্রেষ্ঠ তাফসীরকারী, ইতিহাস ও যুক্তির বিপরীত কথা বলে, যেমন করে এই বইতে প্রমাণ করা হয়। এদের ভুলব্যাখ্যার মূল সমস্যা হল যে তাতে সেই মহান নবী ঈসা মসীহের জীবন অর্থহীন ও নিষ্ফল হয়ে যায়, তাতে ঈসার প্রিয় সাহাবীগণকে অধার্মিক ও অসৎ বলতে হয়, এবং শেষে আল্লাহ্‌তা’লাকে দুর্বল ও বলহীন বলতে হয় কারণ তাঁর পাঠানো নবীর কাজ তিনি সফল করতে পারেননি।

সমস্যা #১: তাদের কথায় হযরত ঈসাকে অপমান করা হয়

সকল মুসলমান ও ঈসায়ী বলেন যে ঈসা মসীহ্‌ ছিলেন অন্যতম শ্রেষ্ঠ নবী, মানব ইতিহাসের একজন মহৎ ব্যক্তি। কিন্তু এইসব প্রচারক, যারা দাবী করেন যে তারা ঈসা মসীহ্‌কে বিশ্বাস করেন, তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী ঈসা নবীর জীবন ও কাজ সব দিক দিয়ে পুরোপুরি নিষ্ফল ছিল। মসীহ্‌ সম্পর্কে তাদের ধারণাকে “নিষ্ফল নবী মতবাদ” বলা যায়। অন্য আরো ছোট নবীরা, যেমন হযরত দাউদ (আঃ), হযরত ইশাইয়া (আঃ), হযরত ইউনুস (আঃ) ও হযরত ইয়াকুব (আঃ) সফল হল, কিন্তু এদের কথা বিশ্বাস করলে, হযরত ঈসা একটি স্থায়ী বিশ্বাসী দল প্রতিষ্ঠিত করতে ও স্থায়ী কিতাব রাখতে সফল হননি।

সমস্যা #২: তাদের কথায় হযরত ঈসার সাহাবীদের অপমান করা হয়

শোনা যায় যে হযরত মুহাম্মদ(সাঃ)-এর সাহাবা তাঁকে নিয়ে কোন মিথ্যা বলতে পারেনি যেহেটু এরা আল্লাহ্‌র একজন রাসূলের কাছে ছিল। কোরআন শরীফে ঈসা মসীহের এই সাহাবীদের ধার্মিক “আত্মসমর্পনকারী” বলা হয়। তাহলে কেমন করে বলা যায় যে এরা মসীহ্‌র বাণী বিকৃত করেছিলেন এবং হযরত ঈসার বিষয় মিথ্যা বলেছিলেন?…