বাইবেলে জান্নাতি স্ত্রী

 

“বাইবেলে জান্নাতি হুর বা স্বর্গে স্ত্রী”

খ্রীষ্টানরা বলে মুসলিমরা জান্নাতে গেলে ৭২ হুর পাবে আর খ্রীষ্টানদের ক্ষেত্রে এমন নেই তার জন্য তারা বাইবেল থেকে প্রমাণ দেখায়।

যীশু বলেন “জেনে রাখো, পুনরুত্থানের পর লোকেরা বিয়ে করে না, বা তাদের বিয়েও দেওয়া হয় না, তারা বরং স্বর্গদূতদের মতো থাকে৷” রেফারেন্স- (মথি ২২:৩০)

এটা দেখিয়ে বলে তারা স্বর্গে বা জান্নাতে তাদের কোন বিবাহ হবে না অর্থাৎ কোন হুর নেই কিন্তু এই কথাটা যীশু কেন বলেছিল?…

বাইবেলে মানুষের মাংস খাওয়ার উপদেশ

বাইবেলে মানুষের মাংস খাওয়ার উপদেশ :
১। তোমরা এত বেশী ক্ষুধার্ত হবে যে তোমরা তোমাদের ছেলেদের এবং মেয়েদের ভক্ষণ করবে| (লেভটিকাস অধ্যায় ২৬ ভার্স ২৯:) পিতা তার সন্তানদের মাংস খাবে।

কত বোকা একটি সমালোচনা – এখানে কি “মানুষের মাংশ খাওয়ার উপদেশ” আছে?…

খ্রিষ্টানদের পবিত্র বাইবেল কি ধর্ষক তৈরি করে?

বাইবেল স্বামীহারা নারীকে তার দেবরের সাথে সেক্স করার অনুমতি দেয়
বাইবেল অনুযায়ী কারো ভাই মারা গেলে জীবিত ভাইয়ের দ্বায়িত্ব হচ্ছে ভাবির সাথে সহবাস করে তাকে সন্তান প্রদান করা। যাকোবের ছেলে এহুদার পরিবারে এরুপ ঘটনা ঘটেছিল। বড় ছেলে মারা গেলে মেজ ছেলে ওনানকে এহুদা আদেশ করেন ভাবির সাথে শয়ন করে দেবরের দ্বায়িত্ব পালন করা এবং তাকে সন্তান উপহার দেওয়া। বাইবেলের রিভাইজড স্ট্যান্ডার্ড ভার্সনে বলা হয়েছে:

“Go in to your brother’s wife and perform the duty of a brother in law to her and raise up offspring for your brother.”

পিতা নিজ কন্যাকে ধর্ষকের কাছে তুলে দেওয়া

প্রশ্ন:

একজন পিতা, নিজ কন্যাকে ধর্ষকের কাছে তুলে দিতে চায়

খ্রিষ্টানদের বাইবেলে, একজন পিতা, নিজ কন্যাকে ধর্ষকের কাছে তুলে দিতে চায় (বাইবেল, আদিপুস্তুক ১৯:১-৩৮) । “লোটের” এর বাড়িতে ২ জন মেহমান আসল। তখন সন্ধ্যায়,”সদোম শহরের” লোকেরা “লোটের” বাড়ি ঘিরে পেললো… এবং তারা বললো, তোমার মেহমানরা কোথায়?..তাদের

মথি ৭:৬ – ‘কুকুর’ এবং ‘শূকর’?

<h2 class=”objection”>মথি ৭:৬—“ইঞ্জিল শরীফ কেমন করে অ-ঈমানদারদের বলতে পারে ‘কুকুর’ এবং ‘শূকর’? কোন নবী মানুষকে এমন গালি দিতেন না।”</h2>
এখানে ঈসা মসীহ্ সরাসরি কাউকে ‘কুকুর’ বা ‘শূকর’ বলেন নি, তিনি শুধু একটি তুলনা দিয়ে বোঝাচ্ছে যে, যারা শুনতে চায় না তাদের সঙ্গে সময় নষ্ট করা উচিত না, বরং করে যারা শুনতে প্রস্তুত তাদের কাছে যাওয়া উচিত (দেখুন ১০:১৪)। কোরআন শরীফও বিভিন্ন খারাপ জাতি বা মানুষকে পশুর সঙ্গে তুলনা করা হয়—“কুকুর” (৭:১৭৫-১৭৭), “পশু” (৮:২২,২৫), এবং “গাধা” (৬২:৫), এমনকি “বাঁদর” ও “শূকর” (৫:৬০)।

ইহিষ্কেল ২৩ – অশ্লীলতা?

ইহিষ্কেল ২৩—“কিতাবুল মোকাদ্দসে ‘অশ্লীলতা’ রয়েছে”

এই অধ্যায়ে আল্লাহ্‌র প্রতি ইসরাইল ও সামারীয়ের অবিশ্বস্ততা দু’টি বেশ্যার অবিশ্বস্ততার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। আল্লাহ্‌র চোখে তাদের মূর্তিপূজা এবং অবিশ্বস্ততা যে কত জঘন্য, ভয়ংকর ও নোংরা, সেটা এই তুলনার মাধ্যমে আল্লাহ্‌ ইসরাইল ও সামারীয়দের বোঝাতে চাচ্ছেন। তাদের লজ্জা জাগানোর জন্য তিনি সবচেয়ে জঘন্য পাপের সঙ্গে মূর্তিপূজা তুলনা করেছে। কোরআন শরীফে এমন তুলনা ব্যবহার করা হয়েছে। সূরা আল হুজরাত ৪৯:১২ আয়াতে মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার সঙ্গে নিন্দা তুলনা করা হয়েছে। জেনা ও বেশ্যাগিরি যত জঘন্য, আপন ভাইয়ের মাংস খাওয়া একই রকম জঘন্য। দু’টি গ্রন্থের তুলনার উদ্দেশ্য একই— অসাড়-বিবেক লোকদের বিবেকে ধাক্কা দেওয়া। হেজকিলের এই অধ্যায়ের শেষে এইসব কথা মূল উদ্দেশ্য পাওয়া যায়—

“তোমাদের কুকাজের ফল তোমাদেরই ভোগ করতে হবে
এবং মূর্তিপূজার গুনাহের ফল বহন করতে হবে।
তখন তোমরা জানবে যে, আমিই আল্লাহ্ মালিক।”
(ইহিষ্কেল ২৩:৪৯)

সোলায়মান – আল্লাহ্‌র কালামে ‘অশ্লীল কথা’?

সোলায়মান—“আল্লাহ্‌র কালামে এমন ধরনের অশ্লীল কথা থাকতে পারে না”

আল্লাহ্‌র কালামে জীবনের সমস্ত বিষয়ের জন্য হেদায়েত আছে। সোলায়মান কিতাব হল স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে প্রেমের একটি কবিতা, এবং এর মধ্যেকার সমস্ত বর্ণনা বিবাহের মধ্যে উপযুক্ত। এই কিতাবের দুই ব্যক্তির ‘প্রিয়’ এবং ‘প্রিয়া’ নাম থেকে বোঝা যায় এরা স্বামী-স্ত্রী ছিলেন। কবিতা মধ্যে স্বামী তার স্ত্রীকে “স্ত্রী” বলেননি বরং তাকে “প্রিয়া” করে ডাকলেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক থাকলে সেটা কি খারাপ না ভাল?…

পিতার জন্য পুত্র দোষী?

হিজরত ২০:৫-৬—“পিতার গুনাহের জন্য সন্তানকে দায়ী করা অন্যায়”

শুরুতেই বলতে হয় যে তওরাতের শরিয়তের স্পষ্ট শিক্ষা হল যে রাষ্ট্রীয় আইনের ক্ষেত্রে এবং কেয়ামতের বিচারের ক্ষেত্রে কোন মানুষ তার পিতার গুনাহের জন্য দোষী করা হবে না:শ

রাস্ট্রীয় আইন:

“ছেলেমেয়েদের গুনাহের জন্য বাবাকে কিংবা বাবার গুনাহের জন্য ছেলেমেয়েদের হত্যা করা চলবে না। প্রত্যেককেই তার নিজের গুনাহের জন্য মরতে হবে।” (দ্বিতীয়বিবরণ ২৪:১৬)

কেয়ামতের বিচার: “যে গুনাহ্ করবে সে-ই মরবে। ছেলে বাবার দোষের জন্য শাস্তি পাবে না আর বাবাও ছেলের দোষের জন্য শাস্তি পাবে না। সৎ লোক তার সততার ফল পাবে এবং দুষ্ট লোক তার দুষ্টতার ফল পাবে।” (ইহিষ্কেল ১৮:২০)

প্রাচীন চীন এবং মধ্যপ্রাচ্যের নিয়ম অনুযায়ী, একজন পিতার পাপের জন্য পুত্রকে শাস্তি দেওয়া যেত, তাই সেই সময়ের জন্য এটি খুব অগ্রগামী নিয়ম ছিল।

তাহলে হিজরত ২০:৫-৬ আয়াত কীভাবে আমরা ব্যাখ্যা করব?…

রংধনুর সৃষ্টি

পয়দায়েশ ৯:১৩—“বৈজ্ঞানিক দিক থেকে সেটা সম্ভব না যে শুধুমাত্র মহাবন্যার পরে আল্লাহ্‌ রংধনু সৃষ্টি করেছেন”

কিতাবুল মোকাদ্দসে তো কিন্তু কোন ইঙ্গিত নাই যে বন্যার আগে রংধনু ছিল না; অবশ্যই তা আগে থেকেই ছিল। আল্লাহ্‌ হযরত নূহ্‌কে বরং বলেছিলেন যে সেটা তার কাছে আল্লাহ্‌র প্রতিজ্ঞা মনে রাখার জন্য একটি বিশেষ চিহ্ন হবে যে তিনি আবার দুনিয়া সেভাবে ধ্বংস করবে না। তেমনই ভাবে পয়দায়েশ ১৫ অধ্যায়ে আল্লাহ্‌ হযরত ইবরাহিমকে তারা দেখিয়ে বলল যে সেটা তার জন্য একটি চিহ্ন হবে কত বংশধর তাকে দেওয়া হবে। তাতে কি আমরা বুঝবো যে তারাগুলো শুধু তখনই সৃষ্টি হয়েছিল?…