মথি ৯:৯ – মথি কি সত্যই মথি কিতাবের লেখক ছিলেন?

মথি ৯:৯—“মথি কি সত্যই মথি কিতাবের লেখক ছিলেন?”

কিছু কিছু সমালোচক দাবী করেছেন যে, যেহেতু তৃতীয় ব্যক্তির মত মথির নামে উল্লেখ করা আছে, সেহেতু মথি এই লেখার লেখক হতে পারে না:

“ঈসা যখন সেখান থেকে চল যাচ্ছিলেন তখন পথে মথি নামে একজন লোককে খাজনা আদায় করবার ঘরে বসে থাকতে দেখলেন। ঈসা তাঁকে বললেন, “এস, আমার উম্মত হও।” মথি তখনই উঠে তাঁর সংগে গেলেন।” (মথি ৯:৯)

এটা অত্যন্ত দুর্বল একটি যুক্তি। একটা ঐতিহাসিক দলীল লিখতে গিয়ে, নিজেকে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করা অসাধারণ বিষয় নয়। একই দুর্বল যুক্তি অনুযায়ী, কোনআন শরীফ আল্লাহ্‌র বাণী হতে পারে না কারণ তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে তাঁর নাম লেখা হয়েছে:

هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ
হুয়াল্লাহুল-লাথী লা ইলাহা ইল্লাহুয়া
“তিনি আল্লাহ্‌, তাহাকে ছাড়া কোন ইলাহ্‌ নাই”
(সূরা ৫৯:২২)

প্রাচীন ঈসায়ী দলীলের সাক্ষ্য একবাক্যে বলেন যে ঈসার ১২জন সাহাবীর মধ্যে সাহাবী মথি এই “মথির সুখবর” লিখেছিলেন। এর বিপরীতে কোন সাক্ষ্য নেই। ইঞ্জিল শরীফের বিরুদ্ধে এই দুর্বল যুক্তির ভিত্তিতে রয়েছে কেবল অনুমান।

ঈসার কাছে একটি ইঞ্জিল, নাকি তার অনুসারীদের কাছে চারটি ইঞ্জিল?

“কোরআন শরীফে হযরত ঈসার কাছে নাজিলকৃত একটি ইঞ্জিলের কথা বলা হয়, কিন্তু বর্তমান ইঞ্জিল লিখেছেন তার সাহাবীরা”

এই অভিযোগের মধ্যে চারটি প্রশ্ন আছে:

কোরআন শরীফে যেমন বলা হয়, ঈসা মসীহ্‌ সত্যই “ইঞ্জিল” (অর্থাৎ সুসংবাদের বাণী) পেয়েছিলেন, কিন্তু সেটা ঈসার জীবনকালে একটি বই ছিল না বরং একটি বাণী বা শিক্ষা। সেই শিক্ষা “ইঞ্জিল” কিতাবের মধ্যে পাওয়া যায়।

হযরত ঈসা এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) উভয়ই নিজে কোন কিতাব লিখে রাখেননি, যদিও বর্তমান কাল অনেকে এমনভাবে কথা বলে থাকেন। তাদের মৃত্যুর পরে সাহাবীগণ তাদের কিতাব লিখে রেখেছেন।

হযরত ঈসার ইঞ্জিল শরীফ একটু ভিন্নভাবে নাজিল হয়েছে। অধিকাংশ নবীদের ক্ষেত্রে, যেমন হযরত ইশাইয়া (আঃ) এবং হযরত ইয়ারমিয়া (আঃ), আল্লাহ্‌ তাদের কাছে একটি বিশেষ বাণী নাজিল করেছেন “আল্লাহ্‌র কালাম” হিসাবে, এবং তাই সেই নবীর কিতাব হল সেই লিখিত আল্লাহ্‌র বিশেষ বাণী।

কিন্তু ইঞ্জিল কোরআন উভয় গ্রন্থে যেমন বলা হয়েছে, হযরত ঈসা হচ্ছেন নিজেই একক “আল্লাহ্‌র বাণী,” অর্থাৎ তিনি নিজেই ছিলেন প্রধান বাণী।

অন্যান্য নবীরা লিখিত বাণী (“আল্লাহ্‌র কালাম”) নিয়ে আসলেন, কিন্তু হযরত ঈসার ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল। তিনি নিজেই আল্লাহ্‌র জীবন্ত বাণী ছিলেন, এবং এইজন্য তার কিতাব (ইঞ্জিল) অপ্রধান, বরং হযরত ঈসাই প্রধান বাণী। ইঞ্জিল কিতাব হচ্ছে সেই জীবন্ত আল্লাহ্‌র বাণীর জীবন ও শিক্ষা সম্পর্কে পাক-রূহের পরিচালনায় লিখিত সাক্ষীদের পবিত্র লিখিত বর্ণনা। হযরত ঈসা নিজেই তার সাহাবীদের এমন দায়িত্ব দিয়ে গেলেন, যেন তারা দুনিয়ার কাছে তার জীবন ও সমস্ত শিক্ষা সম্পর্কে সাক্ষ্য দেয় (ইঞ্জিল, মথি ২৮:১৮-২০)। তিনি আবার প্রতিজ্ঞা করলেন যে পাক রূহ্‌ নিজেই তার শিক্ষা সম্বন্ধে সাহাবীদের মনে করিয়ে দেবেন (ইউহোন্না ১৪:২৬)। আল্লাহ্‌র জীবন্ত কালাম সম্পর্কে এই পবিত্র বাণী সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্যে, মসীহ্‌র বারজন উম্মত এবং তাদের সঙ্গীরা পাক-রূহের পরিচালনায় মসীহ্‌র জীবন-চরিত এবং শিক্ষা লিখে রাখলেন ইঞ্জিল কিতাব হিসাবে।

ইঞ্জিলের শব্দার্থ

তাহলে “ইঞ্জিল” সম্পর্কে আমরা কোরআনে কী ধারণা পাই?…

আল্লাহ্‌ কথা নাকি মানুষের কথা?

“কোরআন শরীফ পুরোপুরি আল্লাহ্‌র কথা, কিন্তু কিতাবুল মোকাদ্দসে মিশ্রিত আছে আল্লাহ্‌র কথা, নবীদের নিজেদের কথা, এবং ঐতিহাসিকদের কথা”

আল্লাহ্‌র কালাম (كلمةﷲ) সম্বন্ধে একটি ভুল ধারণার কারণেই এই অভিযোগ তুলা হয়। অনেকে মনে করে যে একবচন উত্তম পুরুষ বাক্য ছাড়া কোন কিছু আল্লাহ্ কালাম হতে পারে না, শুধুমাত্র আল্লাহ্‌র কণ্ঠের উক্তি হতে পারে। কিন্তু এই ক্ষুদ্র মাপকাঠি ব্যবহার করলে শুধু ইঞ্জিল নয় বরং কোরআন শরীফও অযোগ্য হয়ে পড়ে, কারণ এই ভুল মাপকাঠি অনুযায়ী কোরআনের মধ্যে আল্লাহ্‌র বাণী, মানুষের বাণী এমনকি ফেরেশতার বাণীও রয়েছে। কোরআন শরীফের অধিকাংশ আয়াত মানুষদের কাছে আল্লাহ্‌র কথা। কিন্তু সূরা ফাতিহা হচ্ছে বিপরীত; আল্লাহ্‌র কাছে মানুষদের কথা। আবার সূরা মরিয়মের মধ্যে বাহক ফেরেশতা জিবরাইলেরও একটি উক্তি আছে – “আমি আপনার পালনকর্তার আদেশ ব্যতীত অবতরণ করি না”।

তাই ‘আল্লাহ্‌র কালামের’ এই ভুল সংজ্ঞা চলবে না, যে আল্লাহ্‌র বাণী শুধু একবচন উত্তম পুরুষ উক্তি হতে পারে। ইঞ্জিল শরীফে বলা হয়েছে:

“এই কথা মনে রেখো যে, কিতাবের মধ্যেকার কোন কথা নবীদের মনগড়া নয়, কারণ নবীরা তাঁদের ইচ্ছামত কোন কথা বলেন নি; পাক-রূহের দ্বারা পরিচালিত হয়েই তাঁরা আল্লাহ্‌র দেওয়া কথা বলেছেন। (ইঞ্জিল শরীফ, ১ পিতর ১:২১)

যেহেতু আল্লাহ্‌ অনেক সময় ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে তার ইচ্ছা বিশেষভাবে প্রকাশ করেন, সেহেতু এই গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস সঠিকভাবে লিখে রাখার জন্য তিনি বিশেষ কিছু কিছু মানুষকে লিখতে পরিচালনা করেছেন, যেমন তৌরাত শরীফের ক্ষেত্রে তিনি হযরত মূসাকে লিখতে পরিচালনা করেছেন।

আল্লাহ্‌র কালামের একটি সুন্দর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তার পর্যাপ্ততা এবং পরিপূর্ণতা – আল্লাহ্‌র প্রতি ভয়পূর্ণ জীবন কাটাতে যা যা জানা দরকার সবকিছু আল্লাহ্‌র কালামের মধ্যে পাওয়া যায়, অন্য কোথাও যেতে হয় না। হেদায়েত, দিক-নির্দেশনা, শরিয়ত এবং ইতিহাস, যথেষ্ঠ পরিমানে আল্লাহ্‌র কালামে রয়েছে, মানব জাতির জন্য আল্লাহ্‌র পরিপূর্ণ উপদেশ। অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের ক্ষেত্রে সেগুলো অপর্যাপ্ত, যার কারণে মূল ধর্মগ্রন্থ বাদ দিয়ে অন্য ইতিহাস বইয়ের মধ্যে ব্যস্ত থাকতে হয়।

ইঞ্জিল শরীফের মধ্যে পাক-রূহ্‌-শাশ্বত ‘ঐতিহাসিকদের কথা’ থাকার আরেকটি কারণ হচ্ছে ঈসা মসীহ্‌র অনন্য ভূমিকা। আগের যুগে আল্লাহ্‌ বিভিন্ন নবীদের কাছে বিশেষ বাণী দিতেন, কিন্তু ঈসা মসীহ্‌ হচ্ছে আল্লাহ্‌র জীবিত কালাম, তার জীবনই ছিল মানুষের কাছে আল্লাহ্‌র শাশ্বত বাণী। এইজন্য ইঞ্জিল শরীফের ভূমিকা একটু আলাদা, সেটা হচ্ছে প্রধানত আল্লাহ্‌র এই জীবিত কালামের কথা এবং কাজের একটি পাক-রূহ-শাশ্বত লিখিত সাক্ষ্য।

    ১.

“ইঞ্জিল শরীফের চারটি জীবনী খণ্ড কি সাহাবীরাই লিখেছিলেন?”

“ইঞ্জিল শরীফের চারটি জীবনী খণ্ড (মথি, মার্ক, লূক, ইউহোন্না)ঈসা মসীহ্‌র প্রথম সাহাবীরা লেখেন নি”

সর্বপ্রথম ঈসায়ী জামাত যারা হযরত মথি, মার্ক, লূক এবং ইউহোন্না চিনতেন, তারা একবাক্যে সাক্ষ্য দিতেন যে এরা ইঞ্জিলের জীবনীগুলো লিখতেন। মথি এবং ইউহোন্না হযরত ঈসার ঘনিষ্ঠ বারজন সাহাবীদের মধ্যে ছিলেন, এই বারজনের মধ্যে হযরত পিতরের কাছে হযরত মার্ক তার জীবনী লিখে রেখেছেন, এবং হযরত লূক প্রথম ঈসায়ী জামাতের সদস্যও ছিলেন। ঐতিহাসিক দলিলগুলো প্রমাণ করে যে প্রথম জামাতে তাদের এই লেখাগুলো নিয়ে কোন দ্বিমত ছিল না। শুধুমাত্র এই গত দু’এক শতাব্দীতে কিছু নাস্তিকেরা ইতিহাসটা পরিবর্তন করতে চেষ্টা করছে। এদের নতুন ব্যাখ্যার পিছনে বিভিন্ন কারণ ও উদ্দেশ্য আছে:

১.…

‘গসপেল অব বার্নাবাস’ কি প্রকৃত ইঞ্জিল ছিল না?

বাংলাদেশে ইদানিং কিছু কট্টরপন্থী টেলিভিশন প্রচারক দাবি করছে যে “গসপেল অব বার্নাবাস” নামক একটি রচনা হচ্ছে আসল ইঞ্জিল, যেটা খ্রিষ্টান চার্চ ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণের কাছ থেকে শত শত বছর ধরে লুকিয়ে রেখেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা একমত যে এই তথাকথিত ‘গসপেল’ রচিত হয়েছে মধ্যযুগেই, অর্থাৎ মসীহের দেড় হাজার বছর পরে। সেটা স্পেনে লেখা হয়েছে নাকি ইতালীতে লেখা হয়েছে, শুধু এই নিয়ে বিশেষজ্ঞদের কোন দ্বিমত রয়েছে। একজন বিশিষ্ট মুসলিম লেখক ও ইসলামি চিন্তাবিদ এইভাবে লিখেছেন:

As regards the “Gospel of Barnabas” itself, there is no question that it is a medieval forgery … It contains anachronisms which can date only from the Middle Ages and not before, and shows a garbled comprehension of Islamic doctrines, calling the Prophet the “Messiah”, which Islam does not claim for him.

“ইঞ্জিলের খণ্ড ছাড়াও বেশ কিছু প্রাচীন ‘গসপেল’ ছিল ”

“ইঞ্জিলের খণ্ড ছাড়াও বেশ কিছু প্রাচীন ‘গসপেল’ ছিল যেগুলো নিউ টেস্টামেন্টে স্থান পায়নি কারণ সেগুলোতে ঈসা মসীহ্‌র সম্পর্কে অন্যরকম শিক্ষা দেয়—যেমন গসপেল অব থোমাস, এবিয়োনাইট গসপেল, গসপেল অব হিব্রুজ্‌, ও কপ্টিক গসপেল অব ডি ইজিপ্‌শান্স।”

ঠিক, এমন কিছু “গসপেল” রয়েছে যেগুলো মথি, মার্ক, লূক ও ইউহোন্নার অনেক অনেক পরে রচনা হয়েছে এবং যেগুলো প্রথম জামাত অগ্রাহ্য করেছেন। কিন্তু সেই প্রথম জামাত যে কারণে সেগুলো অগ্রাহ্য করেছেন, সেই একই কারণে প্রত্যেক মুসলমানেরও সেগুলো অগ্রাহ্য করা উচিত—

১। এই সব গ্রন্থগুলো লিখেছেন ‘নস্টিসিজ্‌ম’ (Gnosticism) নামক একটি ধর্মমতের সদস্যরা, যেটা মসীহ্‌র প্রথম সাহাবীরা অস্বীকার করেছেন। এই নস্টিসিজ্‌ম ধর্মমত মসীহ্‌র আগেও ছিল এবং আসলে একটি পৃথক ধর্মমত ছিল, যদিও এরা মসীহ্‌কে এদের নিজস্ব একজন শিক্ষক বানাতে চেষ্টা করেছেন। এই নস্টিসিজ্‌ম মতবাদের মূল শিক্ষা হচ্ছে যে ঈশ্বর দুনিয়া সৃষ্টি করেননি, কিন্তু একজন ত্রুটিযুক্ত মন্দ স্রষ্টা পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। নস্টিসিষ্টেরা Dualist ছিল, এরা বিশ্বাস করতেন যে প্রাকৃতিক সবকিছুই মন্দ এবং আত্মা-ই ভাল। এইজন্য এরা শিক্ষা দিতেন যে ঈসা মসীহ্‌র আসলে দেহ-মাংসের কোন শরীর ছিল না; তার কোন দেহ ছিল না, যার কারণে অনেকে চিন্তা করতেন যে মসীহ্‌র পক্ষে শারীরিকভাবে মারা যাওয়া অসম্ভব। এরা নিরামিষ ছিল এবং ‘ইবাদতে এদের বিভিন্ন জঘন্য যৌন রীতি ছিল। আবার এদের Acts of Paul, Gospel of Thomas, ও Gospel of the Egyptians অনুযায়ী যৌন মিলন সবক্ষেত্রেই নিষেধ, বিয়ের পরেও। এরা বিশ্বাস করতেন যে নাজাতের উপায় ঈমান ও ধার্মিক জীবনের মাধ্যমে আসে না বরং কিছু হিন্দুদের মত এরা বিশ্বাস করতেন যে সেটা গোপন জ্ঞানের মাধ্যমে আসে। ঈসা মসীহ্‌র অনুসারীদের তাদের পথে আনার জন্য এরা মাঝে মাঝে ঈসার সম্বন্ধে নতুন মনগড়া জীবনী রচনা করতেন। উদাহরণস্বরূপ, Gospel of Judas অনুযায়ী, ঈসা মসীহ্‌ আসলে প্রতারক এহুদা ইস্কারিয়তকে তাকে ধরিয়ে দিতে বললেন যেন তার শারীরিক দেহ থেকে তার আত্মা মুক্তি পেতে পারে। এইরকম ধারণা ব্যাপকভাবে পাওয়া যায় Gospel of Thomas, Gospel of Mary, Gospel of Judas,Coptic Gospel of the Egyptians-এ।

এর একটি ব্যতিক্রম হচ্ছে Gospel of the Hebrews, কারণ সেটি নস্টিক ছিল না—সেটি ছিল মথি সমাচারের অনেক পরের একটি ব্যাখা—যেমন প্রভুর মোনাজাতে “দৈনন্দিন রুটি”র বদলে আছে “আগামিকালের রুটি”। সাধারনত এমন ব্যাখ্যা থেকে বোঝা যায় যে সেটা মূল নয় বরং পরের একটি ব্যখ্যা, কারণ সাধারণত সবচেয়ে কঠিন ব্যাখ্যা মূল গ্রন্থে থাকে। ৪র্থ শতাব্দীর বাইবেল বিশেষজ্ঞ জেরোম্‌ এই লেখা নিয়ে অনেক লিখেছেন, এবং তিনি সেটাকে মনে করতেন শুধু মথি সমাচারের একটি হিব্রু অনুবাদ। জেরোম অনুযায়ী, মথি সুখবর থেকে সেটার মাত্র অল্প পার্থক্য ছিল, এবং এর মধ্যে একটি পার্থক্য হচ্ছে যে সেটায় পাক-রূহ্‌কে ঈসার মা বলা হয় (নাউজুবিল্লাহ!)।…