সমালোনার যুক্তিখণ্ডনে নতুন লেখালেখি

পিতা নিজ কন্যাকে ধর্ষকের কাছে তুলে দেওয়া (পয়দায়েশ ১৯:৮)
যীশু কয়টায় মারা গেলেন? (ইউহোন্না ১৯:১৪)
খ্রিষ্টধর্মে হাসপাটাল হারাম? (ইয়াকুব ৫:১৩-১৬)
সর্বোচ্চ পাহাড় থেকে সকল রাজ্য দেখা? (লূক ৪:৫)
যীশু কি মনুষ্যপুত্র নাকি ঈশ্বরপুত্র? (মার্ক ১০:৪৫)
মাকে কে বেশি সন্মান দিয়েছে? (ইউহোন্না ২:৩-৪)

ঈসা কি শুধুমাত্র ইহুদিদের জন্য?

বাইবেলে মানুষের মাংস খাওয়ার উপদেশ

বাইবেলে মানুষের মাংস খাওয়ার উপদেশ :
১। তোমরা এত বেশী ক্ষুধার্ত হবে যে তোমরা তোমাদের ছেলেদের এবং মেয়েদের ভক্ষণ করবে| (লেভটিকাস অধ্যায় ২৬ ভার্স ২৯:) পিতা তার সন্তানদের মাংস খাবে।

কত বোকা একটি সমালোচনা – এখানে কি “মানুষের মাংশ খাওয়ার উপদেশ” আছে?…

ইয়াহিয়া ও ঈসা মসীহ

এখানে ইয়াহিয়ার বিষয়ে সেই দুই প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি:

প্রথম প্রশ্ন

ঈসা মসীহ বলেছেন মাতৃগর্ভ গর্ভ থেকে যতজন জন্মগ্রহণ করেছে ইয়াহিয়া সবচেয়ে মহান। তাহলে ইয়াহিয়া কি ঈসা মসীহের চেয়েও মহান?

এটা লেখা আছে মথি ১১:১১ আয়াতে:

“আমি আপনাদের সত্যিই বলছি, মানুষের মধ্যে তরিকাবন্দীদাতা ইয়াহিয়ার চেয়ে বড় আর কেউ নেই। কিন্তু বেহেশতী রাজ্যের মধ্যে যে সকলের চেয়ে ছোট সে-ও ইয়াহিয়ার চেয়ে মহান।” (মথি ১১:১১)

ঈসা মসীহ যে নতুন ব্যবস্থা (চুক্তি) চালু করেছিলেন তার মৃত্যু ও পুনরুত্থান দিয়ে, সেই নতুন ব্যবস্থার অপর নাম হল “আল্লাহর রাজ্য”। ঈসা মসীহ এখানে বলছে যে তরিকাবন্দীদাতা ইয়াহিয়া এতো মহান হলেও আল্লাহর রাজ্য যারা দেখতে পারবে তারা আরও ভাগ্যবান বা মহান। তরিকাবন্দীদাতা ইয়াহিয়া ঈসা মসীহের প্রচারকালে মারা গেলেন (মার্ক ৬:১৪-২৯) তাই তিনি আল্লাহর রাজ্যের পূর্ণতা দেখতে পায়নি। আল্লাহর রাজ্যে ঈসা মসীহ জনসাধারণদের মধ্যে গোনা হচ্ছে না (“মাতৃগর্ভ গর্ভ থেকে যতজন জন্মগ্রহণ করেছে”)। ইয়াহিয়া স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে ঈসা তার থেকে অনেক মহান:

“ইয়াহিয়া তাঁর বিষয়ে জোর গলায় সাসাক্ষ্য দিয়ে বললেন, “উনিই সেই লোক যাঁর বিষয়ে আমি বলেছিলাম, যিনি আমার পরে আসছেন তিনি আমার চেয়ে মহান, কারণ তিনি আমার অনেক আগে থেকেই আছেন।” (ইউহোন্না ১:১৫)

“এর জবাবে ইয়াহিয়া বললেন, “বেহেশত থেকে দেওয়া না হলে কারও পক্ষে কোন কিছুই পাওয়া সম্ভব নয়। 28 তোমরাই আমাকে বলতে শুনেছ যে, আমি মসীহ নই, কিন্তু আমাকে তাঁর আগে পাঠানো হয়েছে। 29 যার হাতে কন্যাকে দেওয়া হয়েছে, সে-ই বর। বরের বন্ধু দাঁড়িয়ে বরের কথা শোনে এবং তাঁর গলার আওয়াজ শুনে খুব খুশী হয়। ঠিক সেইভাবে আমার আনন্দও আজ পূর্ণ হল। তাঁকে বেড়ে উঠতে হবে আর আমাকে সরে যেতে হবে।যিনি উপর থেকে আসেন তিনি সকলের উপরে। যে দুনিয়া থেকে আসে সে দুনিয়ার, আর সে দুনিয়ার কথাই বলে। কিন্তু যিনি বেহেশত থেকে আসেন তিনিই সকলের উপরে। তিনি যা দেখেছেন আর শুনেছেন তারই সাক্ষ্য দেন, কিন্তু কেউ তাঁর সাক্ষ্য অগ্রাহ্য করে না। যে তাঁর সাক্ষ্য গ্রাহ্য করেছে সে তার দ্বারাই প্রমাণ করেছে যে, আল্লাহ্ যা বলেন তা সত্য। আল্লাহ যাঁকে পাঠিয়েছেন তিনি আল্লাহরই কথা বলেন, কারণ আল্লাহ্ তাঁকে পাক-রূহ্ মেপে দেন না। পিতা পুত্রকে মহব্বত করেন এবং তাঁর হাতে সমস্তই দিয়েছেন। যে কেউ পুত্রের উপর ঈমান আনে সে তখনই অনন্ত জীবন পায়, কিন্তু যে পুত্রকে অমান্য করে সে সেই জীবন কখনও পাবে না, বরং আল্লাহর গজব তার উপরে থাকবে। (ইউহোন্না ৩:২৭-৩৬)

তাই সংক্ষেপে:

  1. ১.

বাইবেলের নবীগণের “ব্যভিচার-ধর্ষণ ও হত্যা”?

জাগো খ্রীষ্টান জাগো!
বাইবেলে নবীগণ, ঈশ্বরের পুত্র ও মাসীহ-এর ব্যভিচার-ধর্ষণ ও হত্যা!

এই লেখার মধ্যে বেশির ভাগ হল অর্ধসত্য, ভুল ব্যাখ্যা, এবং কিছু প্রকাশ্য মিথ্যাও আছে। কিন্তু যেখানে যেখানে বাইবেলে খারাপ ব্যবহারের বর্ণনা আছে – ধর্ষণ, হত্যা, মদপান, মিথ্যা ইত্যাদি – আমরা সম্পূর্ণ একমত যে এগুলো খারাপ এবং আল্লাহর ইচ্ছার বিপরীত। সেটা কিতাবে লেখাও আছে এবং তাদেরকে সেইভাবে শাস্তিও দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু নবীদের ভূমিকা সম্বন্ধে কিছু আলোচনা করা দরকার। প্রচলিত ইসলামী ধারণা অনুযায়ী নবীগণ মূলত আদর্শ হিসেবে আল্লাহ পাঠিয়েছিলেন, যার জন্য সবাই মনে করে যে তারা প্রত্যেকে সম্পূর্ণ নিষ্পাপ ছিলেন। কিন্তু আল্লাহ কি সত্যি শুধু এই উদ্দেশ্যে নবীদের পাঠিয়েছিলেন?…

পয়দায়েশ ১–“তৌরাত শরীফের সৃষ্টিবর্ণনা বিজ্ঞানের তথ্যের সঙ্গে মিলে না, কারণ সৃষ্টি ছয় দিনে হয় নি।”

পয়দায়েশ ১–“তৌরাত শরীফের সৃষ্টিবর্ণনা বিজ্ঞানের তথ্যের সঙ্গে মিলে না, কারণ সৃষ্টি ছয় দিনে হয় নি।”

জাকির নায়েকের মতো সমালোচক প্রায়ই দাবি করে বলেন যে বাইবেল অনুযায়ী পৃথিবী ৬টি আক্ষরিক দিনে সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু কোরআন অনুযায়ী সৃষ্টি দিনগুলো আসলে ‘যুগ’। এ দাবিগুলো পরিষ্কাররূপে মিথ্যা—

পয়দায়েশ খণ্ডে তৌরাত শরীফের বর্ণনা দীর্ঘস্থায়ী পৃথিবীর অস্তিত্বের সঙ্গে মিলানোর দুটি ব্যাখ্যার পন্থা আছে। আধুনিক বিজ্ঞানের তথ্যের সঙ্গে মিলানোর প্রচেষ্টা এগুলো নয়, কারণ উভয় মতবাদের মূল থাকে প্রাচীনকাল লেখকদের লেখাতে, যারা আজকাল দীর্ঘস্থায়ী পৃথিবী তথ্য আবিষ্কারের বহুদিন আগে এই ধরনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

পয়দায়েশের প্রথম ব্যাখ্যা : দিন-যুগ ব্যাখ্যাটি

পয়দায়েশের প্রথম অধ্যায়ে “দিনের” মূল হিব্রু শব্দ হল ইয়ম (হিব্রু יום), যেমন করে কোরআনেও একই “দিন” শব্দ (يَوْم ইয়োম ) ব্যবহার হয়েছে। উভয় ভাষায়ই, এই ইয়ম শব্দ দিয়ে বোঝানো হয় ১২ ঘন্টা, ২৪ ঘন্টা, অথবা একটা অনির্দিষ্ট মেয়াদ বা যুগ। আবার কিতাবুল মোকাদ্দসে আমরা পরি যে “প্রভুর কাছে এক দিন এক হাজার বছরের সমান এবং এক হাজার বছর এক দিনের সমান” (ইঞ্জিল ২ পিতর ৩:৮ এবং জবুর শরীফ ৯০:৪)। আবারও তৌরাতে যে শব্দগুলো অনুবাদ হয় “সকাল” (בקר) ও “সন্ধ্যা” (ערב) দিয়ে, সেগুলোর আবার শুধু বোঝায় “ইয়মের শুরু” এবং “ইয়মের শেষ”, যেমন করে বলা হয় ‘the dawn of world history’ [বিশ্ব-ইতিহাসের ভোর] অথবা the sunset years of one’s life’ [একজনের জীবনের সূর্যাস্ত বছরগুলো]। লেখক যে আক্ষরিক সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত বুঝাতে চাননি তা অতি পরিষ্কার, কারণ চতুর্থ দিনে সূর্য দেখা দেওয়ার আগেও তিনি এই בקרערב শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন।

তৌরাতের সৃষ্টির এই দিন-যুগ ব্যাখ্যার সবচেয়ে মজবুত প্রমাণ হল যে ঈসায়ী ইতিহাসের প্রথম ৪০০ বছর ধরে অধিকাংশ তৌরাত-তাফসীরকারীগণ সুনির্দিষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতেন যে সৃষ্টির এই ‘দিন’ বা ‘ইয়ম’গুলো দীর্ঘ সময়ের মেয়াদ ছিল (যেমন প্রতি ইয়মের কাল ১০০০ বছর)। এসব দুই হাজার পৃষ্টার তাফসীর লেখা হয়েছে আধুনিক বিজ্ঞানের তথ্যের হাজার বছর আগে, যখন সৃষ্টিতে দিনের দীর্ঘতা বিশ্বাস করার কোনো দ্বিতীয় কারণ ছিল না।

কিন্তু সহীহ হাদিস অনুযায়ী, কোরআনের সৃষ্টি-দিনগুলোর সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ব্যাখ্যা ছিল আক্ষরিক- ‘শনিবার, রবিবার, সোমবার’, ইত্যাদি হিসেবে ধরে নিয়েছেন:

আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (ছ) আমার হাত ধরে বললেন, আল্লাহ্‌ তা’আলা শনিবার দিন মাটি সৃষ্টি করেন। রোববার দিন তিনি এতে পর্বত স্থাপন করেন। সোমবার দিন তিনি বৃক্ষরাজি পয়দা করেন। মঙ্গলবার দিন তিনি আপদ বিপদ সৃষ্টি করেন। বুধবার দিন তিনি নূর পয়দা করেন। বৃহস্পতিবার দিন তিনি যমীনে পশু-পাখি ছড়িয়ে দেন এবং জুম’আর দিন আসরের পর তিনি আদম (আ) কে সৃষ্টি করেন। অর্থাৎ জুম’আর দিনের সময়সমূহের শেষ মুহূর্তে সর্বশেষ মাখলুক আসর থেকে রাত পর্যন্ত সময়ের মধ্যবর্তী সময়ে তিনি সৃষ্টি করেছেন। (সহীহ মুসলিম #৬৮৮৭)

প্রথম তাফসীরকারীগণ একই ব্যাখ্যা দিলেন; আল-তাবারীতে ইবন আব্বাসের এই কথা আছে—

ইহুদীগণ নবীজীর কাছে এসে তাঁকে জিজ্ঞেস করেন আসমান ও জমীনের সৃষ্টির সম্পর্কে। তিনি বলেন, “রবিবার ও শোমবারে আল্লাহ্‌ তা’আলা দুনিয়া সৃষ্টি করেন। মঙ্গলবারে তিনি পাহাড়পর্বত এবং এদের ব্যবহার সৃষ্টি করেন। বুধবারে তিনি গাছ, পানি, শহর এবং চাষের অনুর্বর জমি সৃষ্টি করেন। এগুলো চার (দিন)। তিনি আবার বললেন (কোরআন উদ্ধৃতি করে): “বল, তোমরা কি তাঁকে অস্বীকার করবেই, যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দুই দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষে দাঁড় করাইতেছ?

নাবিল কুরেশির সাক্ষ্য

ছোটবেলায় আমি নিয়মিতভাবে কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করতাম, ধর্মের সম্পর্কে আমার বাবা-মা যা যা বলতেন আমি সবকিছু মনপ্রাণে বিশ্বাস করতাম, ইসলামের সম্পর্কে সবকিছু আমি বিশ্বাস করতাম, আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তাম, নিয়মিতভাবে মসজিদে যেতাম, এবং তারপর, আমি প্রশ্ন করতে শুরু করি, চিন্তা করতে লাগি যে, হযরত ঈসা সম্পর্কে যা যা শুনতাম, তা কতটুকু ঠিক এবং হয়ত এমন কিছু শিখেছি,

ফাওজি আর্জুনির সাক্ষ্য

আমি কীভাবে ঈসা আল-মাসীহ্‌র একজন অনুসারী হলাম? আমার সফর হচ্ছে মূলতঃ বাহ্যিক ধর্ম থেকে পুনরুদ্ধারের কাছে একটি সফর। ঈমানে ঈসা মসীহ্‌র অনুসারি হতে আমার এই সফরকে আমি বর্ণনা করতে পারি, বাহ্যিক রীতি থেকে পুনর্মিলনের একটি সফর। এবং এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমি ইসলাম ধর্মের সমস্ত বিধানের মধ্যে মানুষ হয়েছি। আমি বড় হয়ে ইসলামকে সমস্ত প্রাণ দিয়ে গ্রহন করেছি, যতদূর মুসলমান বাড়িতে তা করা সম্ভব।

হযরত ঈসা মসীহের পরিচয়

ঈসা মসীহ্‌ কে?

আহল-ই-কিতাব-বিশ্বাসীদের মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় হল মরিয়ম-তনয় ঈসা মসীহ্‌ (আঃ)-কে নিয়ে এবং তার সঠিক পরিচয়। যেমন ধরেন, জাকির নায়েক এবং আহ্‌মেদ দীদাতের মত কিছু মুসলমান সহজে ঈসাকে কুমারী-মেয়ে জন্মিত ‘মসীহ্‌’ হিসেবে গ্রহণ করে। কিন্তু খ্রীষ্টানদের ভুলপ্রমাণ করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে তারা প্রচুর চেষ্টা করে, কারণ তারা মনে করা যে খ্রীষ্টানরা ‘তিন আল্লাহ্‌ বিশ্বাস করে’ এবং যে ঈসা মসীহ্‌ ক্রুশে মারা যাননি। আবার ইহুদীগণ সহজে গ্রহণ করে যে মসীহ্‌ ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিল, কিন্তু তিনি যে কুমারী-মেয়ে জন্মিত ‘মাসীহ্‌’ ছিলেন তা এরা গ্রহণ করতে পারে না। এমনকি খ্রীষ্টানদের মধ্যেও ঈসার সঠিক পরিচয় নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক হয়েছিল।

এতো মতের অমিলের স্পষ্ট কারণ হল যে হযরত ঈসা অনন্য, তিনি পৃথিবীর অন্যান্য মানুষদের মত না। তার জন্ম, শিক্ষা, কাজ, অলৌকিক ঘটনা, এবং মৃত্যু—সবই অনন্য। তাই এতো বিস্ময়কর মানুষের পরিচয় নিয়ে বিতর্ক করা স্বাভাবিক।

এই আলোচনায় আমি দার্শনিকদের অর্থহীন তর্কযুদ্ধের ফাঁদ এড়াতে চাই। যেমন ‘ত্রিত্ববাদ’-এর মত শব্দ নিয়ে প্রচণ্ড তর্কাতর্কি হয়েছে, যদিও সেই শব্দ ইঞ্জিলে নাই। কিতাবে অনুপস্থিত শব্দ নিয়ে তর্ক না করে আমি বরং ঈসার বিষয়ে বিভিন্ন কিতাবে যা যা বলা হয় তার উপর লক্ষ্য করব। বিভিন্ন কিতাব থেকে, বিশেষ করে ইঞ্জিল থেকে, আমি ঈসা মসীহের পরিচয় এবং কাজ সম্বন্ধে একটি স্পষ্ট ছবি উপস্থাপন করতে চাই।

আল্লাহ্‌ এক

এই তদন্তের আরম্ভ বা ভিত্তি হল সকল আহলে-কিতাবীদের সেই স্বীকৃত মূল সত্য, আল্লাহ্‌র একতা। সকল কিতাবী লোক একমত যে মাত্র একজন আল্লাহ্‌ আছেন, যিনি সৃষ্টিকর্তা, চিরন্তন, অপরিবর্তনীয়, সর্বশক্তিমান এবং সর্বজ্ঞ। এই হল তৌরাত, জবুর, নবীদের কিতাব, ইঞ্জিল এবং কোরআনের স্পষ্ট সাক্ষ্য এবং আমাদের ঈমানের ভিত্তি।

উদাহরণস্বরূপ, যখন একজন ইহুদী আলেম হযরত ঈসাকে জিজ্ঞাসা করল কোন্‌ হুকুম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তিনি বলেছিলেন:

জবাবে ঈসা বললেন, “সবচেয়ে দরকারী হুকুম হল, ‘বনি-ইসরাইলরা, শোন, আমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌ এক। তোমরা প্রত্যেকে তোমাদের সমস্ত দিল, সমস্ত প্রাণ, সমস্ত মন এবং সমস্ত শক্তি দিয়ে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌কে মহব্বত করবে।’ (মার্ক ১২:২৯,৩০)

তাঁর স্পষ্ট সাক্ষ্য হল যে আল্লাহ্‌ এক। অথবা ইঞ্জিলের অন্য জায়গায় এই ভাবে লেখা আছে—

আল্লাহ্ মাত্র একজনই আছেন এবং আল্লাহ্ ও মানুষের মধ্যে মধ্যস্থও মাত্র একজন আছেন। সেই মধ্যস্থ হলেন মানুষ মসীহ্ ঈসা। (১ তীমথিয় ২:৫)

একজন অদ্বিতীয় নবী

তাহলে প্রশ্ন উঠে, যদি সকল কিতাবীগণ তাই বিশ্বাস করে, তাহলে হযরত ঈসা মসীহ্‌কে নিয়ে এতো বিতর্ক কেন হয়?…

কোর’আন শরীফে হযরত ঈসা মসীহের নাম ও উপাধী

কোর’আন শরীফে হযরত ঈসা মসীহের নাম ও উপাধী

কোর’আন শরীফ আরবীতে লেখা একটি বিশাল বড় বই, বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের জন্য বিদেশী ভাষায়। সেই কারণে খুব অল্প কিছু মানুষ এর বিভিন্ন বিষয়গুলো সিঠিকভাবে বুঝে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আল্লাহ্‌ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নবী ও রাসূলদের পৃথিবীতে পাঠানো সম্পর্কে। ঐ সব নবী ও রাসূলদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন বিবি মারইয়ামের পুত্র ঈসা নবী যাঁর কথা কোর’আনে অনেক কিছু বলা হয়েছে।
পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষ হযরত ঈসার নাম জানে এবং তাঁর জীবনী ও কর্ম সম্পর্ক অল্প কিছু কথাও শুনেছে। যাই হোক, কোরআনের বর্ণনা আনুযায়ী তাঁর অনেক ও বিভিন্ন পথের কথা খুব অল্প কিছু মানুষ সঠিকভাবে জানে। সেইজন্য এই পাঠের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছোট এই পাঠটির উদ্দেশ্য হল পাঠককে কোর’আন আনুসারে ঈসা নবী সম্পর্কে সঠিক ও পরিষ্কারভাবে ধারণা দেওয়া। নিচের উক্তিগুলো সরাসরি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ হতে প্রকাশিত আল-কুরআনুল করীম থেকে নেওয়া হয়েছে। একজন পাঠক এই বইটি পড়ে নিজে আরো সঠিক ও ভালভাবে জানতে সক্ষম হবে, কিভাবে কোরআন ঈসা নবীকে নবুয়তের মর্যাদা দিয়েছে।


’ঈসা (নাজাতদাতা)

’ঈসা (নাজাতদাতা)

فَلَمَّا أَحَسَّ عِيسَى مِنْهُمُ الْكُفْرَ قَالَ مَنْ أَنصَارِي إِلَى اللّهِ قَالَ الْحَوَارِيُّونَ نَحْنُ أَنصَارُ اللّهِ آمَنَّا بِاللّهِ وَاشْهَدْ بِأَنَّا مُسْلِمُونَ۝

“যখন ‘ঈসা তাহাদের অবিশ্বাস উপলব্ধি করিল তখন সে বলিল, ‘আল্লাহ্‌র পথে কাহারা আমার সাহায্যকারী?’

Contradictory standards for salvation?

Did Jesus Teach Contradictory Standards for Salvation?

One critic has attacked Jesus for having “contradictory” standards for salvation:

  1. “Love God and love neighbor” (Luke 10:25-28)
  2. “Sell all you have and follow me” (Luke 18:18-22)
  3. “Believe in Jesus” (John 3:16)
  4. ‘Born again” (John 3:3-8)
  5. “Eat Messiah’s flesh & drink his blood to get eternal life”  (John  6:53-58)
  6. “Become like little children” (Matthew 18:2-3)
  7. “Righteousness must exceed the Pharisees” (Matthew 5:20)

If you are familiar with the gospel message and these passages, all these requirements are simply different ways of saying the same thing.…