ঈশ্বরের আত্মা জলরাশির উপর ভেসে বেড়াচ্ছিল?

অন্ধকারে আবৃত ছিল জলরাশি আর ঈশ্বরের আত্মা সেই জলরাশির উপর দিয়ে ভেসে বেড়াচ্ছিল| আদিপুস্তক 1 :2➡ঈশ্বরের আত্মা জলরাশির উপর ভেসে বেড়াচ্ছিল মানে কি? এই জল কখন এল, কখন তৈরী করলো এই বিষয়ে তো কিছু বলা নাই এটা একটু ব্যাখ্যা করুন তো

অন্য অনুবাদে:

“দুনিয়ার উপরটা তখনও কোন বিশেষ আকার পায় নি, আর তার মধ্যে জীবন্ত কিছুই ছিল না; তার উপরে ছিল অন্ধকারে ঢাকা গভীর পানি। আল্লাহর রূহ্ সেই পানির উপরে চলাফেরা করছিলেন।”(পয়দায়েশ ১:২)

আপনার প্রশ্নের উত্তর হল আগের আয়াতে – “সৃষ্টির শুরুতেই আল্লাহ্ আসমান ও জমীন সৃষ্টি করলেন।” (পয়দায়েশ ১:১)। আল্লাহ কীভাবে সেই পানি তৈরি করলেন সেটা বলা নেই।

আলো দেখে ঈশ্বর বুঝলেন, আলো ভাল| তখন ঈশ্বর অন্ধকার থেকে আলোকে পৃথক করলেন| (আদিপুস্তক 1 :4)
➡আলো দেখে ঈশ্বর বুঝলেন আলো ভালো মানে কি? ঈশ্বর কি আগে জানতেননা আলো ভাল হবে।

অবশ্যই আল্লাহ সর্বোজ্ঞ; এর মানে হচ্ছে সেটা যে ভালো সেটা আল্লাহ স্বীকৃতি দিয়েছেন বা ঘোষণা করেছেন।

সর্বোপরি আদিপুস্তকের ভার্সগুলোর রশ্মি আকারে একটু ব্যাখ্যা করুন। এগুলোর বিরুদ্ধে বেশিরভাগ প্রচারণা দেখতে পাই। এগুলো বিজ্ঞান বিরোধী।

কিছু ব্যাখ্যা এখানে এবং এখানে পাওয়া যায়। বাইবেলের সৃষ্টিবর্ণনার মধ্যে যত বৈজ্ঞানিক জটিলতা পাওয়া যায়, কোরআন/হাদিসের সৃষ্টির বর্ণনার মধ্যে তত জটিলতাও পাওয়া যায়। মূল বিষয় হচ্ছে বাইবেল বা কোরআনের সৃষ্টিবর্ণনার মধ্যে বিজ্ঞানের তথ্য খোঁজ করা ঠিক না, কারণ বাইবেল বা কোরআনের সৃষ্টিবর্ণনার উদ্দেশ্য আলাদা, উদ্দেশ্য হচ্ছে সৃষ্টির জন্য আল্লাহ্‌ উদ্দেশ্য বা লক্ষ প্রকাশ করা। যেমন সৃষ্টির বর্ণনা থেকে আমরা জানতে পাই যে এক আল্লাহ সৃষ্টি করেছে নিজের কথা দিয়ে, নিষ্পাপ একটি সুন্দর দুনিয়া সৃষ্টি করেছে।

কোনো প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে আমরা শুনতে চাই! নিচের ফর্ম দিয়ে যোগাযোগ করুন:

Enable javascript in your browser if this form does not load.

Comments are closed.