ঈসা কয়টায় মারা গেলেন?

প্রশ্ন:

যীশু কয়টায় মারা গেলেন?

কোন খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রশ্ন করলে তারা জোরালো ভাবে একটাই উত্তর দেয় অবশ্যই, মারা গেছেন। তারা তখন বাইবেল থেকে লুক ২৩:৪৬ উদ্ধৃতি দেয়,

“যীশু চিৎকার করে বললেন, ‘পিতা আমি তোমার হাতে আমার আত্মাকে সঁপে দিচ্ছি৷’ এই কথা বলে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ফেললেন৷” (লূক ২৩:৪৬)

আসুন আজকে এই বিষয়ে আলোচনা করি। যদি আমি ধরে নেই ঈসা আঃ ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মারা যান তাহলে সেটি কোন সময়? সঠিক সময় টা কোন সময়? তাই বাইবেল থেকে আলোকপাত করি। তো আমাকে আগে বাইবেল এর ভার্সনগুলো জানতে হবে। পাঠকদের সুবিধার্থে বাইবেল এর ভার্সনগুলো উল্লেখ করছি:

  1. The Message Bible (MSB)
  2. Amplified Version (AMV)
  3. New International Version (NIV)
  4. New living Translation (NLT)
  5. King James Version (KJV)
  6. New King James Version (NKJV)
  7. English Standard Version (ESV)
  8. বাংলা কেরি ভার্সন বাইবেল (ROVU)
  9. কিতাবুল মোকাদ্দাস ২০০৬ (কি.মো.-০৬)
  10. কিতাবুল মোকাদ্দাস ২০১৩ (কি.মো:-১৩)
  11. Youversion mobile software.

তো চলুন দেখা যাক কি লেখা আছে অর্থাৎ কয়টা সময় যীশু কে ক্রুশে বিদ্ধ হয়ে মারা যান?? প্রথমে আমরা, youversion (mobile software) এ যাই, সেখানে copy paste করি, আর বাকি গুলো screenshot দিব যাতে কোন খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীরা চালাকি না করে, শুরু করি মার্ক ১৫:৩৪:

“আর তিনটের সময় যীশু চিৎকার করে উঠলেন, ‘এলোই, এলোই, লামা শবক্তানী?’ যার অর্থ ‘ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, তুমি কেন আমায় ত্যাগ করেছ?’৷” (মার্ক ১৫:৩৪)

পাঠকগণ লক্ষ্য করুন তিনটের সময় এটা পেলাম mobile software you version। এখন বাকি ভার্সনগুলো উল্লেখ করি, মার্ক ১৫:৩৪ কি বলে ( KJV) version:

“And at the ninth hour Jesus cried with a loud voice, saying, Eloi, Eloi, lama sabachthani? which is, being interpreted, My God, my God, why hast thou forsaken me?” (Mark.15.34)

দেখুন বেলা ৯ টায় যীশু চিৎকার করে মারা যায়। আগে দেখালাম দুপুর ৩টা,(You version) আর এখানে সকাল ৯টায় (KJV Version), আমি কোনটা বিশ্বাস করবো? বাকি ভার্সনগুলো উল্লেখ করছি:

  • NIV : and at the ninth hour
  • NLT : then at the time (৯টায়)…
  • NKJV : and at the ninth hour
  • ESV : And at the ninth hour
  • AMP : and at the ninth hour
  • কি.মো. ২০১৩ : আর ৯ ঘটিকার সময় ঈসা আঃ উচ্চ স্বরে চিৎকার করলেন
  • জুবলি বাইবেল : And at the ninth hour
  • কেরি ভার্সন (ROVU) : আর ৯ ঘটিকার সময় যীশু উচ্চ স্বরে ডাকিয়া কহিলেন…

এখন আমি কোন সময় মেনে নিব যদি বিশ্বাস করতে হয় ঈসা আঃ মারা গেছেন। এখন আসুন লুক২৩:৪৪-৪৬ কি বলে:

(৪৪) তখন বেলা প্রায় বারোটা আর সেই সময় থেকে তিনটা পর্যন্ত সমস্ত দেশ অন্ধকারে ছেয়ে গেল৷ (৪৬) যীশু চিৎকার করে বললেন, ‘পিতা আমি তোমার হাতে আমার আত্মাকে সঁপে দিচ্ছি৷’ এই কথা বলে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ফেললেন৷” (লূক ২৩:৪৬)

পাঠকগণ সময় খেয়াল করুন লুক ২৩:৪৪ এ বারোটা থেকে তিনটা, অর্থাৎ তিনটের সময় পর তিনি চিৎকার করে কাঁদেন, এখন আমি কোন সময় বিশ্বাস করবো?? কোন বাইবেল মানবো?? কোন বাইবেল সঠিক না বিকৃত? কোন সময় ঈসা আঃ চিৎকার করে কাঁদেন?? সকাল ৯ টায় নাকি দুপুর ৩ টায়?? এখানে খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীরা কী জবাব দেবে, কি জবাব আছে তাদের, তারা নিজেরাই confuse, বাইবেল ও যীশুর মৃত্যুর সময় ঠিক নেই, তাও কিভাবে বলে বাইবেল বিকৃত নয়।

উত্তর:

এতো শব্দময় আলোচনার মধ্যে মূলত দুটি অভিযোগ আছে:

  1. #১. মার্ক ১৫:৩৪ আয়াতে লেখা আছে যে ঈসা “নবম ঘণ্টায়” মারা গেলেন কিন্তু লূক ২৩:৪৪-৪৬ অনুযায়ী “বেলা তিনটায়” ঈসা মসীহ প্রাণত্যাগ করলেন। অর্থাৎ এখানে অমিল আছে।
  2. #২. অধিকাংশ অনুবাদে মার্ক ১৫:৩৪ আয়াতে “নবম ঘণ্টা” আছে, কিন্তু একটি অনুবাদে “নবম ঘণ্টা” না দিয়ে “তিনটের সময়” দিয়েছে। অর্থাৎ খ্রীষ্টানরা চালাকি করে বাইবেল ইচ্ছেমত বিকৃত করে।

এই অভিযোগের উত্তর দেওয়া অনেক সহজ। আমরা বর্তমানকালে যেভাবে সময়ের হিসাব করি, (যেমন “সকাল ৬টায়” বা “বিকেল ৬টা”) এগুলি শুরু হয়েছে ঈসা মসীহের কমপক্ষে এক হাজার বছর পর থেকে। ঈসা মসীহের সময়ে দুটি সময় রাখার নিয়ম ছিল – রোমীয় নিয়ম ও ইহুদি নিয়ম। রোমীয় নিয়মে সময় মাপা হতো দিনের শুরু থেকে (ভোর ৬টা থেকে), তাই রোমীয় হিসাবের “তৃতীয় ঘণ্টায়” বোঝায় আধুনিক হিসাবের সকাল ৯টায়, এবং রোমীয় হিসাবের “নবম ঘণ্টায়” হলো আধুনিক হিসাবের বিকেল ৩টায়। কিছু অনুবাদে মূল শব্দগুলো আক্ষরিকভাবে অনুবাদ করেছে “নবম ঘণ্টা”, এবং কিছু অনুবাদ পাঠকের সুবিধার জন্য আধুনিক হিসাবে অনুবাদ করে “বেলা ৩টায়” দিয়েছে। এখানে কোনো অমিলও নেই, চালাকিও নেই।

প্রশ্ন:

ভাই গ্রীক ফর্মে যোহন ১৯:১৪ এ যীশু ৬ টার দিকে পিলাতের দরবারে, মূল গ্রীক থেকে পুরো ভাষা দেখাচ্ছি:

It was now the day of preparation of the Passover [the] hour was about ***sixth** And he says to the Jews behold the king of you, (John 19:14)

ভাই লক্ষ্য করুন the hour was sixth এখানে যীশু পীলাতের দরবারে, এখন ও ক্রুশে ঝোলানো হয় নি, এখন আসুন, লুক ২৩:৪৪ মূল গ্রীক ফর্মে কি বলে মনোযোগ দিয়ে দেখুন:

And it was now about the hour was ***sixth***and the darkness came over the Land, until the hour *ninth* the sun was darkened was torn then the veil of the temple in the middle and having called out in a voice Loud, Jesus said, into the hands you I commit the spirit of me, this is now having said, he breathed his last. (Luke 23:44)

কি বোঝালো ? যীশু বেলা ৬ টা দিকে ক্রুশে ঝোলানো অবস্থায় আছে, তাহলে কোনটা বিশ্বাস করবো?

উত্তর:

মথি, মার্ক ও লূক ও ইউহোন্না থেকে ঘটনাগুলোর ক্রম স্পষ্ট আছে:

ঘটনা বর্তমান হিসাবে গ্রিক বাংলা ঠিকানা
কাইয়াফা ও হেরোদের বিচার রাত ~২:০০ থেকে ভোর ~৬:০০ ἀλέκτωρ ἐφώνησεν “মোরগ ডেকে উঠল” মথি ২৬:৭৪, লূক ২২:৬০, মার্ক ১৪:৭২, ইউহোন্না ১৮:২৭
পিলাতের কাছে যাওয়া ভোর ~৬:০০ Πρωΐας δὲ γενομένης “খুব ভোরে” মথি ২৭:১
পিলাতের বিচার শুরু সকাল ৬:০০ Καὶ εὐθὺς πρωῒ / πρωΐ “ভোর বেলায়” মার্ক ১৫:১, ইউহোন্না ১৮:২৮
বিচার শেষ হয়, ক্রুশে দেওয়ার প্রস্তুতি সকাল ~৮:০০ ὥρα ἦν ὡς ἕκτη “কমবেশি ষষ্ঠ ঘণ্টায়” ইউহোন্না ১৯:১৪
ঈসাকে ক্রুশে দেওয়া সকাল ~৯:০০ – ~১২:০০ ὥρα Τρίτη তৃতীয় ঘণ্টা মার্ক ১৫:২৫
অন্ধকার সকাল ১২:০০ থেকে বিকেল ৩:০০ পর্যন্ত ὥρας ἕκτης…ἕως ὥρας ἐνάτης ষষ্ঠ ঘণ্টা থেকে নবম ঘণ্টা পর্যন্ত মথি ২৭:৪৫, মার্ক ১৫:৩৩; লূক ২৩:৪৪
ঈসা চিৎকার করে মারা যান বিকেল ৩:০০ ἐνάτῃ ὥρᾳ নবম ঘণ্টা মথি ২৭:৪৬; মার্ক ১৫:৩৪

এখন প্রশ্ন হলো, ইউহোন্না ১৯:১৪ আয়াতে কেন “ষষ্ঠ ঘণ্টা” লেখা আছে? তিনটি সাম্ভাব্য ব্যাখ্যা আছে; আমার মূল্যায়ণে যেটা সবচেয়ে ভালো সেটা প্রথমে দিচ্ছি:

  1. ব্যাখ্যা #১. ইউহোন্না বিচারের শুরু থেকে গুনেছেন – ঈসা মসীহকে গ্রেপ্তার করার পরে সকাল ২টা থেকে ৬টা পর্যন্ত ইহুদি নেতা, কাইয়াফা ও হেরোদের সামনে তার বিচার হচ্ছিল প্রায় ৬ ঘন্টা ধরে। ইউহোন্না ১৯:১৪ আয়াতে এই বিচার শেষ হয়েছে যখন সবকিছুর শেষ “বিচারের আসনে বসলেন” (১৩ আয়াতে) এবং তখন ইউহোন্না সময়ের হিসাব লিখেছেন “ষষ্ঠ ঘন্টায়”। অর্থাৎ পটভূমি থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে এখানে সময়ের হিসাব হচ্ছে বিচারের শুরু থেকেই। যদি বিচার শুরু হলো রাত ২টায়, তাহলে এটা সকাল ৮টা বোঝায়, যেটা মথি, মার্ক ও লূকের বর্ণনার সঙ্গে মিলে যায়।
  2. ব্যাখ্যা #২. ইউহোন্না মধ্যরাত থেকে গুনেছেন – তখনকার চলতি রোমীয় হিসাবে ভোর থেকে ঘণ্টার হিসাব রাখা হতো, কিন্তু প্রাচীন রোমীয় (ল্যাটিন) সিভিল হিসাবে মধ্যরাত থেকেই ঘন্টা রাখা হতো। এইজন্য আমাদের বর্তমান a.m. ও p.m. ল্যাটিন হিসাব থেকে এসেছে (ante meridiem ও post meridiem)। মথি, মার্ক ও লূক প্যালেষ্টাইনে লিখে সেখানকার চলতি ঘণ্টার হিসাব ব্যবহার করেছেন, কিন্তু ইউহোন্না এদের প্রায় বিশ বছর পরে অন্য দেশে (এশিয়া মাইনরের ইফিষ শহরে) লিখেছেন। সেইজন্য আমরা ধরে নিতে পারি যে তিনি যেখানকার লোকদের কাছে লিখছিলেন তাদের সময়ের হিসাব রাখা হতো মধ্যরাত থেকে। ক্ল্যাসিকাল ল্যাটিনের একজন ভাষাবিদ লিখেছেন:

    The Romans throughout the Empire considered the start of the day at different times. Some said the start was dawn, other claimed it was at was in later midnight. (উৎস)

    তিনি ক্ল্যাসিকাল ল্যাটিন থেকে দুটি উদাহরণ দিয়েছেন যেখানে মধ্যরাত থেকে দিনের হিসাব রাখা হতো – Aulus Gellius: Noctis Atticae 3.2 এবং Ammianus Marcellinus: Res Gestae, 26.1.9-10 লেখায়। ল্যাটিন ব্যাকরণবিদ Censorinus এই “সিভিল সময়” (মধ্যরাত থেকে) ও “প্রাকৃতিক সময়” (ভোর থেকে) এর আলোচনা করেছেন।

  3. ব্যাখ্যা #৩. ৩য়/৬ষ্ঠ ঘণ্টা বোঝায় “বেলা”, এবং পীলাতের রায় ~১০:৩০টায় দুই বেলার মাঝখানে হয়ে মার্ক ও ইউহোন্না দুজনই আনুমানিক হিসাব দিয়ে আলাদা বেলার সময় দিয়েছিলেন। তখনকার প্যালেষ্টাইনে দিনের বেলা তিনটি ভাগে ভাগ করা হতো –
  1. ১. “ভোর” বোঝায় “ভোর বেলা” (সকাল ৬:০০ – ৮:০০)
  2. ২. “তৃতীয় ঘন্টা” বোঝায় “সকাল বেলা” (সকাল ৮:০০ – ১০:৩০)
  3. ৩. “ষষ্ঠ ঘন্টা” বোঝায় “দুপুর বেলা” (সকাল ১০:৩০ – দুপুর ১:৩০)
  4. ৪. “নবম ঘন্টা” বোঝায় “বিকেল বেলা” (দুপুর ১:৩০ – সন্ধ্যায়)

আমরা খুব কম উদাহরণ দেখতে পারি যখন ৩য়, ৬ষ্ঠ বা ৯ম ছাড়া অন্য ঘণ্টার কথা বলা হতো – যেমন “প্রথম ঘণ্টা”, “দ্বিতীয় ঘণ্টা”, “চতুর্থ ঘণ্টা” বা “পঞ্চম ঘণ্টা” ইঞ্জিলে কোথাও উল্লেখ নেই। কিন্তু ৩য়, ৬ষ্ঠ ও ৯ম ঘণ্টার কথা অনেক জায়গায় পাওয়া যায়। প্রাচীনকালে সাধারণত সূর্য দেখেই সময়ের হিসাব রাখা হতো, তাই সেটা অনেকটাই আনুমানিক ছিল। তাই প্রাচীনকালে কোন ঘটনা ১০:৩০টায় হলে সেটা সাক্ষী সূর্য দেখে অনুমান করে বলতে পারে “সকাল বেলায়” (“তৃতীয় ঘণ্টায়”) ঘটেছে” এবং অন্য কেউ বলবে “ষষ্ঠ ঘণ্টায় (“দুপুর বেলায়”) ঘটেছে”। এই ব্যাখ্যা অনুযায়ী মার্ক ১৪:২৫ আয়াতে ক্রুশবিদ্ধ ঘোষণার সময় (~১০:৩০টায়) তিনি “সকাল বেলা” (“তৃতীয় ঘণ্টা”) অনুমান করেছেন, এবং ইউহোন্না ১৯:১৪ আয়াতে একই রায়ের ঘটনা “দুপুর বেলা” (“ষষ্ঠ ঘণ্টা”) অনুমান করেছেন।

এই ব্যাখ্যার পক্ষে তিনটি প্রমাণ আছে:

  1. ১. “ὡς কমবেশি” শব্দ – শুধুমাত্র এই সময়ের ক্ষেত্রে ইউহোন্না সময়ের সঙ্গে “ὡς” (হোস্‌) শব্দ দিয়েছে, যার মানে about, আনুমানিক, কমবেশি।
  2. ২. “পুরো ক্রুশবিদ্ধর একটিই সময়” – মথি, মার্ক ও লূকে বিভিন্ন ধাপে বিভিন্ন সময় দেওয়া আছে, কিন্তু ভোর থেকে ইউহোন্না মাত্র একটাই সময় দিয়েছে, তাই আমরা ধরে নিতে পারি যে তিনি “নবম ঘণ্টা” বলতে পুরো বিচার ও ক্রুশবিদ্ধের ঘটনার গড় সময় দিয়েছে।
  3. ৩. “উদ্ধার ঈদের মেষ কুরবানি” – ইউহোন্না বার বার ঈসাকে উদ্ধার-ঈদের মেষ-কুরবানির সঙ্গে তুলনা করছেন, যেটা উদ্ধার-ঈদের দিনের দুপুর ১২টায় কুরবানি করা হতো। এই ১৪ আয়াতে ইউহোন্না উদ্ধার-ঈদের দিন উল্লেখ করে দুপুর বারোটার আনুমানিক সময় দিয়েছেন যেন সেই উদ্ধার-ঈদের মেষ কুরবানির সঙ্গে স্পষ্ট লিংক থাকে।
  4. ৪. পীলাতের বিচারের সময় – ইউহোন্না উল্লেখ করেছেন যে পীলাতের বিচার শুরু হলো “ভোর বেলায়”, এবং এর পরের ঘটনাগুলো (তদন্ত, ঈসাকে চাবুক মারা, রায়) যোগ করলে মুটামুটি ২-৩ ঘণ্টা হবে, পুরো ছয় ঘন্টা লাগার কথা না।

কোনো প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে আমরা শুনতে চাই! নিচের ফর্ম দিয়ে যোগাযোগ করুন:

Enable javascript in your browser if this form does not load.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *