আলাদা জলরাশি হলো কি করে?

“পরে ঈশ্বর বললেন, আকাশমন্ডলের নীচস্থ সমস্ত জল এক স্থানে একত্রিত হোক আর স্থল প্রকাশিত হোক। তাতে সেরূপ হলো। তখন স্থলের নাম ভূমি এবং জলরাশির নাম সমুদ্র রাখলেন।” (আদিপুস্তক ১:৯-১০)। যদি তা ই হয় – তাহলে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে আলাদা আলাদা জলরাশি হলো কি করে ?

ঘরে রক্ত ছিটানো

বাইবেলের বৈজ্ঞানিক
পারলে এমন বৈজ্ঞানিক প্রথা আল কোরআন থেকে দেখাক

“তখন বাড়ীটিকে পবিএ করার জন্য যাজক অবশ্যই দুটি পাখি- এক খণ্ড এরসকাঠ- এক টুকরো লাল কাপড় এবং একটি এসোব গাছ নেবে| (৫০) মাটির বড় পাত্রে জলের মধ্যে যাজক একটি পাখীকে হত্যা করবে| (৫১) তারপর যাজক এরসকাঠ- এসোব গাছ- লাল কাপড়ের খণ্ড ও জীবন্ত পাখীটিকে নেবে এবং জলের মধ্যে হত্যা করা পাখীর রক্তে যাজক ঐসব জিনিস ডোবাবে| এরপর যাজক সাতবার সেই রক্ত বাড়ীটির ওপর ছিটিয়ে দেবে| (৫২) যাজক ঐ সব জিনিস ব্যবহার করে বাড়ীটিকে এইভাবে পবিত্র করবে| (বাইবেল, লেবীয় ১৪:৪৯-৫২)

#Medical_Science নিয়ে যার বিন্দু পরিমান Common Sense আছে,সেও জানে এই ভাবে রক্ত ছিটালে,জীবাণু সৃষ্ট হবে।। কিন্তু বাইবেল ঈশ্বর এটা জানেন না।।।

একই ভাবে হাদিসের কিছু চিকিৎসার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা প্রশ্ন করা যেত:

“নবীজী বলেছেন, ‘যদি একটি মাছি কারও পেয়ালার মধ্যে পরে, সেটাকে ডুবে দেওয়া উচিত, কারণ মাছির একটি পাখার মধ্যে রোগ আছে এবং অন্য পাখার মধ্যে সেটার ঔষুধ আছে।'”(সহীহ বুখারি, ৪র্থ খণ্ড, বুক ৫৪, #৫৩৭)

“মদীনার আবহাওয়া কিছু লোকদের মানায় নি তাই নবীজী তাদের উটের প্রসাব পান করতে বলেছে ঔষুধ হিসেবে।”(সহীহ বুখারি,৭ম খণ্ড, বুক ৭১, #৫৯০)

“আমি আল্লাহর রাসূলকে বলতে শুনেছি, “কালোজিরার মধ্যে মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের জন্য সুস্থতা আছে।” (সহীহ বুখারি, ৭ম খণ্ড, বুক ৭১, #৫৯২)

লেবীয় ১৪:৪৯-৫৩ আয়াতে যে রীতির কথা বলা হয়, সেটা আসলে ঘর জীবাণুমুক্ত করার কোন পদ্ধতি নয় বরং সেটা জীবাণুমুক্ত করার পরবর্তী একটি অনুষ্ঠান, সেটা পরিস্কার হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার জন্য। তখন একটু রক্ত ছিটিয়ে গেলে সমস্যা কি?…

সর্বোচ্চ পাহাড় থেকে সকল রাজ্য দেখা?

প্রশ্ন:

সর্বোচ্চ পাহাড় থেকে সকল রাজ্য দেখা?

গসপেল অব ম্যাথিউ এর ৪র্থ অধ্যায়ের ৮ম ধারায় আছে-‘শয়তান তাকে (যীশু) একটি অতি উচ্চ পাহাড়ে নিয়ে গেল এবং পৃথিবীর সব রাজ্যসমূহ ও তাদের মহিমা দেখাল’

“শয়তান তাঁকে একটি উঁচু পাহাড়ে উঠাল এবং তাকে পৃথিবীর সব রাজ্য দেখাল।” (লূক ৪:৫)

আপনি যদি উচ্চতম পর্বত মাউন্ট এভারেস্টেও যান এবং আপনার দৃষ্টিশক্তি যদি খুব ভালও হয় তবুও আপনি পৃথিবীর সব রাজ্য দেখতে পাবেন না। কারণ পৃথিবী বর্তুলাকার। ফলে আপনি আপনার বিপরীত পাশে কি আছে তা দেখতে পাবেন না। বর্ণিত বক্তব্য সত্য হতো যদি পৃথিবী হতো চ্যাপ্টা।

উত্তর:

এর উত্তর এর মধ্যে লেখা হয়েছে, এখানে পাওয়া যাবে। নিচেও পেস্ট করছি:

মথি ৪:৮—“এখানে বলা হয়েছে যে পৃথিবী সমতল, কিন্তু পৃথিবী গোলাকার।”

সমালোচক যদি ভালভাবে পড়লেন, তিনি লক্ষ্য করতেন যে এটা আসলে এক মুহূর্তের মধ্যে একটি অলৌকিক দর্শন, যেমন লূক ৪:৫ আয়াতে স্পষ্ট আছে: “এর পরে ইবলিস তাঁকে একটা উঁচু জায়গায় নিয়ে গেল এবং মুহূর্তের মধ্যে দুনিয়ার সব রাজ্যগুলো দেখালো…”। লূক এবং মথি অবশ্যই মনে করেননি যে রোম শহর একটি উঁচু পাহাড় থেকে দেখা যাবে—এরা বরং একটি অলৌকিক দর্শনের কথা বলেছিলেন।

একই মাপকাঠিতে আমরা প্রশ্ন করতে পারি কেমন করে নবীজীর মি’রাজ হল, কেমন করে তিনি ‘বুরাক’ নামের এক স্বর্গীয় বাহন চড়ে জেরুজালেমে গেলেন। কোরআনেও কিছু আয়াত আছে যেগুলো আপাত দৃষ্টিতে সমতল পৃথিবীর কথা বলে—

“এবং আকাশের প্রতি লক্ষ্য করে না যে, তা কিভাবে উচ্চ করা হয়েছে?

খ্রিষ্টধর্মে হাসপাটাল হারাম?

প্রশ্ন:

খ্রিষ্টধর্মে হাসপাটাল হারাম?

কোনো খ্রিস্টিয়ান অসুস্থ হলে তারা হসপিটালে কেন যায়? ইয়াকুব ৫:১৪-১৬ এখানে উল্লেখ আছে যে কেউ অসুস্থ হলে গীর্জার পাদ্রীর কাছে যাবে। সুতারাং খ্রিস্টিয়ান হসপিটালে যাওয়া হারাম,প্রার্থনা দিয়ে কাজ চালান

উত্তর:

এই অভিযোগ সম্পূর্ণ যুক্তিহীন। ইসলামেও অসুস্থদের জন্য দু’য়া ও রুকইয়াহ করা হয়; হাদিস অনুযায়ী জিব্রাইল নবীজীর অসুখবিসুখের জন্য মোনাজাত করতেন, এবং নবীজী নিজেই সাহাবীদের অসুখের নিরাময়ের জন্য দু’য়া ও রুকইয়াহ করতেন। ইয়াকুব ৫:১৪-১৬ আয়াতে আছে:

“তোমাদের মধ্যে কেউ কি কষ্টভোগ করছে?

পয়দায়েশ ১–“তৌরাত শরীফের সৃষ্টিবর্ণনা বিজ্ঞানের তথ্যের সঙ্গে মিলে না, কারণ সৃষ্টি ছয় দিনে হয় নি।”

পয়দায়েশ ১–“তৌরাত শরীফের সৃষ্টিবর্ণনা বিজ্ঞানের তথ্যের সঙ্গে মিলে না, কারণ সৃষ্টি ছয় দিনে হয় নি।”

জাকির নায়েকের মতো সমালোচক প্রায়ই দাবি করে বলেন যে বাইবেল অনুযায়ী পৃথিবী ৬টি আক্ষরিক দিনে সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু কোরআন অনুযায়ী সৃষ্টি দিনগুলো আসলে ‘যুগ’। এ দাবিগুলো পরিষ্কাররূপে মিথ্যা—

পয়দায়েশ খণ্ডে তৌরাত শরীফের বর্ণনা দীর্ঘস্থায়ী পৃথিবীর অস্তিত্বের সঙ্গে মিলানোর দুটি ব্যাখ্যার পন্থা আছে। আধুনিক বিজ্ঞানের তথ্যের সঙ্গে মিলানোর প্রচেষ্টা এগুলো নয়, কারণ উভয় মতবাদের মূল থাকে প্রাচীনকাল লেখকদের লেখাতে, যারা আজকাল দীর্ঘস্থায়ী পৃথিবী তথ্য আবিষ্কারের বহুদিন আগে এই ধরনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

পয়দায়েশের প্রথম ব্যাখ্যা : দিন-যুগ ব্যাখ্যাটি

পয়দায়েশের প্রথম অধ্যায়ে “দিনের” মূল হিব্রু শব্দ হল ইয়ম (হিব্রু יום), যেমন করে কোরআনেও একই “দিন” শব্দ (يَوْم ইয়োম ) ব্যবহার হয়েছে। উভয় ভাষায়ই, এই ইয়ম শব্দ দিয়ে বোঝানো হয় ১২ ঘন্টা, ২৪ ঘন্টা, অথবা একটা অনির্দিষ্ট মেয়াদ বা যুগ। আবার কিতাবুল মোকাদ্দসে আমরা পরি যে “প্রভুর কাছে এক দিন এক হাজার বছরের সমান এবং এক হাজার বছর এক দিনের সমান” (ইঞ্জিল ২ পিতর ৩:৮ এবং জবুর শরীফ ৯০:৪)। আবারও তৌরাতে যে শব্দগুলো অনুবাদ হয় “সকাল” (בקר) ও “সন্ধ্যা” (ערב) দিয়ে, সেগুলোর আবার শুধু বোঝায় “ইয়মের শুরু” এবং “ইয়মের শেষ”, যেমন করে বলা হয় ‘the dawn of world history’ [বিশ্ব-ইতিহাসের ভোর] অথবা the sunset years of one’s life’ [একজনের জীবনের সূর্যাস্ত বছরগুলো]। লেখক যে আক্ষরিক সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত বুঝাতে চাননি তা অতি পরিষ্কার, কারণ চতুর্থ দিনে সূর্য দেখা দেওয়ার আগেও তিনি এই בקרערב শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন।

তৌরাতের সৃষ্টির এই দিন-যুগ ব্যাখ্যার সবচেয়ে মজবুত প্রমাণ হল যে ঈসায়ী ইতিহাসের প্রথম ৪০০ বছর ধরে অধিকাংশ তৌরাত-তাফসীরকারীগণ সুনির্দিষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতেন যে সৃষ্টির এই ‘দিন’ বা ‘ইয়ম’গুলো দীর্ঘ সময়ের মেয়াদ ছিল (যেমন প্রতি ইয়মের কাল ১০০০ বছর)। এসব দুই হাজার পৃষ্টার তাফসীর লেখা হয়েছে আধুনিক বিজ্ঞানের তথ্যের হাজার বছর আগে, যখন সৃষ্টিতে দিনের দীর্ঘতা বিশ্বাস করার কোনো দ্বিতীয় কারণ ছিল না।

কিন্তু সহীহ হাদিস অনুযায়ী, কোরআনের সৃষ্টি-দিনগুলোর সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ব্যাখ্যা ছিল আক্ষরিক- ‘শনিবার, রবিবার, সোমবার’, ইত্যাদি হিসেবে ধরে নিয়েছেন:

আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (ছ) আমার হাত ধরে বললেন, আল্লাহ্‌ তা’আলা শনিবার দিন মাটি সৃষ্টি করেন। রোববার দিন তিনি এতে পর্বত স্থাপন করেন। সোমবার দিন তিনি বৃক্ষরাজি পয়দা করেন। মঙ্গলবার দিন তিনি আপদ বিপদ সৃষ্টি করেন। বুধবার দিন তিনি নূর পয়দা করেন। বৃহস্পতিবার দিন তিনি যমীনে পশু-পাখি ছড়িয়ে দেন এবং জুম’আর দিন আসরের পর তিনি আদম (আ) কে সৃষ্টি করেন। অর্থাৎ জুম’আর দিনের সময়সমূহের শেষ মুহূর্তে সর্বশেষ মাখলুক আসর থেকে রাত পর্যন্ত সময়ের মধ্যবর্তী সময়ে তিনি সৃষ্টি করেছেন। (সহীহ মুসলিম #৬৮৮৭)

প্রথম তাফসীরকারীগণ একই ব্যাখ্যা দিলেন; আল-তাবারীতে ইবন আব্বাসের এই কথা আছে—

ইহুদীগণ নবীজীর কাছে এসে তাঁকে জিজ্ঞেস করেন আসমান ও জমীনের সৃষ্টির সম্পর্কে। তিনি বলেন, “রবিবার ও শোমবারে আল্লাহ্‌ তা’আলা দুনিয়া সৃষ্টি করেন। মঙ্গলবারে তিনি পাহাড়পর্বত এবং এদের ব্যবহার সৃষ্টি করেন। বুধবারে তিনি গাছ, পানি, শহর এবং চাষের অনুর্বর জমি সৃষ্টি করেন। এগুলো চার (দিন)। তিনি আবার বললেন (কোরআন উদ্ধৃতি করে): “বল, তোমরা কি তাঁকে অস্বীকার করবেই, যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দুই দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষে দাঁড় করাইতেছ?

দানিয়েল ৪:১০-১১ – পৃথিবী সমতল?

দানিয়েল ৪:১০-১১—“এই আয়াত অনুযায়ী পৃথিবী সমতল, কারণ গোলাকার পৃথিবী হলে কোন গাছে সব দিক থেকে দেখা যেত না।”

এখানে শুধু বর্ণনা করা হচ্ছে কীভাবে একজন পৌত্তলিক রাজা তার একটি অদ্ভুদ স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। হয়ত বাদশাহ্ বখতে-নাসার মনে করতেন যে পৃথিবী সমতল— তাতে কিতাবুল মোকাদ্দসের কী সমস্যা হয়?…

ইশাইয়া ৩৪:৭—“রূপকথার একশৃঙ্গী অশ্বের উল্লেখ?”

ইশাইয়া ৩৪:৭—“কিতাবুল মোকাদ্দস কেন রূপকথার একশৃঙ্গী অশ্বের উল্লেখ আছে?”

মধ্যযুগীয় ইংরেজি King James Version বাইবেল অনুবাদে হিব্রু “רֵים রেম ” শব্দ ভুলভাবে অনুবাদ হয়েছে ‘unicorn’ দিয়ে। কিন্তু অন্যান্য প্রায় সকল অনুবাদগুলোতে এই হিব্রু শব্দের সঠিক ভাবে অনুবাদ হয়েছে “wild oxen”, এবং বাংলায় ‘বুনো ষাঁড়’ দিয়ে।

কোরআন শরীফে আমরা পড়ি যে হযরত সোলায়মান একটি ‘ইফ্রিত’-এর সঙ্গে কথা বলছিলেন (সূরা নাম্‌ল ২৭:১৫-৪৪)। বিখ্যাত কোরআন অনুবাদক মুহাম্মদ হামিদুল্লাহ বলেন যে ‘ইফ্রিত’ হচ্ছে “একটি মন্দ শয়তান যেটা বিভিন্ন রূপকথায় পাওয়া যায়”। Encyclopedia Britannica এর সজ্ঞা অনুযায়ী, ‘ইফ্রিত’ হচ্ছে ধুমের তৈরী একটি বড় পাখাওয়ালা জন্তু যারা মাটির নিচে বাস করে। আবার মি’রাজে নবীজী ‘আল-বুরাক’ নামে একটি সাদা পাখাওয়ালা অশ্ব চড়েছিলেন। এই দুই জন্তুর অস্তিত্ব নিয়ে কোন সমস্যা না থাকলে কিতাবুল মোকাদ্দসের বুনো ষাঁড়ের ব্যাপারে প্রশ্ন থাকার কথা নয়।

ইশাইয়া ১১:১২ – পৃথিবীর ‘চার কোণ’?

ইশাইয়া ১১:১২—“এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পৃথিবী সমতল, নাহলে ‘চার কোণ’ থাকত না”

…আর তিনি জাতিগণের নিমিত্ত পতাকা তুলিবেন, ইস্রায়েলের তাড়িত লোকদিগকে একত্র করিবেন, ও পৃথিবীর চারি কোণ হইতে যিহূদার ছিন্নভিন্ন লোকদিগকে সংগ্রহ করিবেন।
(ইশাইয়া ১১:১২)

এখানে “চারি কোণ” দিয়ে যে শুধু “চারদিক থেকে” (উত্তর, দক্ষীণ, পূর্ব, পশ্চিম) বোঝানো হচ্ছে তা খুবই স্পষ্ট। “কোণ” এর মূল হিব্রু শব্দ হল כּנף কানাফ , কার অন্য অনুবাদ “প্রান্ত”, “পোয়া”, সীমা”, এমনকি “পাখা”। প্রাচীনকালে যারা মনে করতে যে পৃথিবী সমতল, তারা আবার মনে করত যে পৃথিবী থালার মত গোল, তাই আক্ষরিকভাবে “কোণ” ব্যাখ্যা করলেও সেটা প্রাচীন কালের সমতল ধারণার সঙ্গে মিলে না। “চারি কোণ থেকে” শুধু “চারদিক থেকে”-এর একটি চলতি কথা। এমনকি বাইবেল সমালোচক আহমেদ দীদাত নিজেই তার লেখায় এমন ভাষা ব্যবহার করেছেন – “to the four corners of the globe”.…

মেসাল ৬:৭ – পিপিলিকাদের নেতা বা মজুরসরদার আছে?

মেসাল ৬:৭—“এই আয়াত অনুযায়ী পিপিলিকাদের কোন নেতা বা মজুরসরদার নাই, কিন্তু তাদের রাণী ও মজুরসরদার আছে।”

পিঁপড়াদের “হুকুম দেবার কেউ নেই,
তার উপরে কোন পরিচালক বা শাসনকর্তা নেই” (মেসাল ৬:৭)

নায়েক বলেন যে সেটা বিজ্ঞান বিপরীত, কারণ পিঁপড়াদের মধ্যে একজন রানী থাকে এবং মজুরসরদার থাকে। পিঁপড়া সমাজের সম্পর্কে অল্প একটু গবেষণা করলে জানা যায়, পিঁপড়ার ‘রানী’ কোন রকম নেতা নয়। একটি উইকিপিডিয়া এইভাবে বর্ণনা করেছেন—

The term “queen” is often deceptive, as the queen ant has very little control over the colony as a whole.

পৃথিবী কি স্থায়ীভাবে স্থাপন করা হয়েছে?

জবুর ৯৩:১—“এখানে বলা হয়েছে যে পৃথিবী স্থায়ীভাবে স্থাপন করা হয়েছে, কিন্তু বিজ্ঞান অনুযায়ী পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।”

এখানে “পৃথিবী” শব্দের ভুলব্যাখ্যা হয়েছে, কারণ “পৃথিবী” (হিব্রু תּבל তেবেল এবং ארץ ‘এরেত্‌স ) দিয়ে সাধারণত আমাদের পুরো গ্রহ বোঝানো হয় না বরং “দেশ”, “মহাদেশ” বা “জমিন” বা “এলাকা” বোঝানো হয়। এই আয়াতে বলা হয়েছে যে আল্লাহ্‌র সার্বভৌম ক্ষমতায় জমিন মোটামুটি স্থিতিশীল ও স্থায়ী।