জাগো খ্রীষ্টান জাগো-১১

মথি বলেন (১:১৭) এভাবে ইব্রাহিম থেকে দাউদ পর্যন্ত চৌদ্দ পুরুষ; দাউদ থেকে ব্যাবিলনে বন্দী করে নিয়ে যাবার সময় পর্যন্ত চৌদ্দ পুরুষ; ব্যাবিলনে বন্দী হবার পর থেকে মসীহ পর্যন্ত চৌদ্দ পুরুষ।

এখানে দুটি সুনিশ্চিত ও প্রমাণিত অসত্য তথ্য বিদ্যমান:

প্রথমত, এখানে বলা হলো: যীশুর বংশতালিকা তিন অংশে বিভক্ত, প্রত্যেক অংশে ১৪ পুরুষ, তাহলে মোট ৪২ পুরুষ। এ কথাটি সুস্পষ্ট ভুল। মথির ১:১-১৭-র বংশ তালিকায় যীশু থেকে আবরাহাম পর্যন্ত ৪২ পুরুষ নয়, বরং ৪১ পুরুষের উল্লেখ রয়েছে। যে কোনো পাঠক গণনা করলেই তা জানতে পারবেন।

বংশতালিকায় কোথাও ৪২ পুরুষ বলা হয়নি – যা বলা হয়েছে সেটা সত্য:

“এইভাবে ইব্রাহিম থেকে দাউদ পর্যন্ত চৌদ্দ পুরুষ…”( ১.

ঈশ্বরের আত্মা জলরাশির উপর ভেসে বেড়াচ্ছিল?

অন্ধকারে আবৃত ছিল জলরাশি আর ঈশ্বরের আত্মা সেই জলরাশির উপর দিয়ে ভেসে বেড়াচ্ছিল| আদিপুস্তক 1 :2➡ঈশ্বরের আত্মা জলরাশির উপর ভেসে বেড়াচ্ছিল মানে কি? এই জল কখন এল, কখন তৈরী করলো এই বিষয়ে তো কিছু বলা নাই এটা একটু ব্যাখ্যা করুন তো

অন্য অনুবাদে:

“দুনিয়ার উপরটা তখনও কোন বিশেষ আকার পায় নি, আর তার মধ্যে জীবন্ত কিছুই ছিল না; তার উপরে ছিল অন্ধকারে ঢাকা গভীর পানি। আল্লাহর রূহ্ সেই পানির উপরে চলাফেরা করছিলেন।”(পয়দায়েশ ১:২)

আপনার প্রশ্নের উত্তর হল আগের আয়াতে – “সৃষ্টির শুরুতেই আল্লাহ্ আসমান ও জমীন সৃষ্টি করলেন।” (পয়দায়েশ ১:১)। আল্লাহ কীভাবে সেই পানি তৈরি করলেন সেটা বলা নেই।

আলো দেখে ঈশ্বর বুঝলেন, আলো ভাল| তখন ঈশ্বর অন্ধকার থেকে আলোকে পৃথক করলেন| (আদিপুস্তক 1 :4)
➡আলো দেখে ঈশ্বর বুঝলেন আলো ভালো মানে কি?

করিন্থীয়দের কাছে হারানো চিঠি?

১ম ও ২য় করিন্থীয় হচ্ছে সাধু পলের ২টি চিঠি। এগুলোকে খ্রিষ্টান ভাইয়েরা ‘ঈশ্বরের বাণী’ বলে বিশ্বাস করেন। আজকে ১ম করিন্থীয় ৫ম অধ্যায়ে ১টা জিনিস দেখলাম, সাধু পল বলেছেন —

“আমার আগের চিঠিতে আমি তোমাদের লিখেছিলাম, যেন তোমরা যৌন পাপে লিপ্ত লোকেদের সঙ্গে মেলামেশা না কর৷” (বাইবেল, ১ করিন্থীয় ৫:৯)

এখানে সাধু পল আগের একটি চিঠির কথা বলেছেন। এই “আগের চিঠি” কোনটা?

ঘরে রক্ত ছিটানো

বাইবেলের বৈজ্ঞানিক
পারলে এমন বৈজ্ঞানিক প্রথা আল কোরআন থেকে দেখাক

“তখন বাড়ীটিকে পবিএ করার জন্য যাজক অবশ্যই দুটি পাখি- এক খণ্ড এরসকাঠ- এক টুকরো লাল কাপড় এবং একটি এসোব গাছ নেবে| (৫০) মাটির বড় পাত্রে জলের মধ্যে যাজক একটি পাখীকে হত্যা করবে| (৫১) তারপর যাজক এরসকাঠ- এসোব গাছ- লাল কাপড়ের খণ্ড ও জীবন্ত পাখীটিকে নেবে এবং জলের মধ্যে হত্যা করা পাখীর রক্তে যাজক ঐসব জিনিস ডোবাবে| এরপর যাজক সাতবার সেই রক্ত বাড়ীটির ওপর ছিটিয়ে দেবে| (৫২) যাজক ঐ সব জিনিস ব্যবহার করে বাড়ীটিকে এইভাবে পবিত্র করবে| (বাইবেল, লেবীয় ১৪:৪৯-৫২)

#Medical_Science নিয়ে যার বিন্দু পরিমান Common Sense আছে,সেও জানে এই ভাবে রক্ত ছিটালে,জীবাণু সৃষ্ট হবে।। কিন্তু বাইবেল ঈশ্বর এটা জানেন না।।।

একই ভাবে হাদিসের কিছু চিকিৎসার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা প্রশ্ন করা যেত:

“নবীজী বলেছেন, ‘যদি একটি মাছি কারও পেয়ালার মধ্যে পরে, সেটাকে ডুবে দেওয়া উচিত, কারণ মাছির একটি পাখার মধ্যে রোগ আছে এবং অন্য পাখার মধ্যে সেটার ঔষুধ আছে।'”(সহীহ বুখারি, ৪র্থ খণ্ড, বুক ৫৪, #৫৩৭)

“মদীনার আবহাওয়া কিছু লোকদের মানায় নি তাই নবীজী তাদের উটের প্রসাব পান করতে বলেছে ঔষুধ হিসেবে।”(সহীহ বুখারি,৭ম খণ্ড, বুক ৭১, #৫৯০)

“আমি আল্লাহর রাসূলকে বলতে শুনেছি, “কালোজিরার মধ্যে মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের জন্য সুস্থতা আছে।” (সহীহ বুখারি, ৭ম খণ্ড, বুক ৭১, #৫৯২)

লেবীয় ১৪:৪৯-৫৩ আয়াতে যে রীতির কথা বলা হয়, সেটা আসলে ঘর জীবাণুমুক্ত করার কোন পদ্ধতি নয় বরং সেটা জীবাণুমুক্ত করার পরবর্তী একটি অনুষ্ঠান, সেটা পরিস্কার হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার জন্য। তখন একটু রক্ত ছিটিয়ে গেলে সমস্যা কি?…

বাইবেল মতে যীশুর চরিত্র

বাইবেল মতে যীশুর চরিত্র
বাইবেল যীশু সম্পর্কে এমন আগজী কথা বলে? সেটা আসমানী গ্রন্থ হয় কি ভাবে?

১/ যীশুর অহেতুক নিরহ গাছকে অভিশাপ দিয়ে মেরে ফেলা (মথি ২১:১৮-২১)

মথি ২১:১৮-২১:

পরদিন সকালে শহরে ফিরে আসবার সময় ঈসার খিদে পেল। পথের পাশে একটা ডুমুর গাছ দেখে তিনি গাছটার কাছে গেলেন, কিন্তু তাতে পাতা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেলেন না। তখন তিনি গাছটাকে বললেন, “আর কখনও তোমার মধ্যে ফল না ধরুক।” আর তখনই ডুমুর গাছটা শুকিয়ে গেল। সাহাবীরা তা দেখে আশ্চর্য হয়ে বললেন, “ডুমুর গাছটা এত তাড়াতাড়ি কেমন করে শুকিয়ে গেল?”

বাইবেলে মানুষের মাংস খাওয়ার উপদেশ

বাইবেলে মানুষের মাংস খাওয়ার উপদেশ :
১। তোমরা এত বেশী ক্ষুধার্ত হবে যে তোমরা তোমাদের ছেলেদের এবং মেয়েদের ভক্ষণ করবে| (লেভটিকাস অধ্যায় ২৬ ভার্স ২৯:) পিতা তার সন্তানদের মাংস খাবে।

কত বোকা একটি সমালোচনা – এখানে কি “মানুষের মাংশ খাওয়ার উপদেশ” আছে?…

খ্রিষ্টানদের বাইবেল কোপাকুপি

খ্রিষ্টানদের বাইবেল কোপাকুপি
প্রশঙ্গ:
“অপরাধীর সন্তানদের জবাই করে হত্যা কর….”

“‘তোমরা তার ছেলেমেয়েদের জবাই করে হত্যার জন্য নিজেদের প্রস্তুত কর। তাদের হত্যা কর কারণ তাদের পিতা দোষী| যাতে, তার ছেলেমেয়েরা আর কখনোই দেশের শাসন কর্তৃত্ব হাতে নিতে না পারে|তার ছেলেমেয়েরা আবার কখনও পৃথিবীটাকে তাদের নিজেদের শহরে ভরিয়ে ফেলতে পারবেনা|”(বাইবেল, ইশাইয়া ১৪:২১)

প্রশ্ন: যে অপরাধ করবে, সে শাস্তি পাবে…কিন্তু নিরঅপরাধ সন্তানরাও কেন শাস্তি পাবে?….হাস্যকর

ইয়াহিয়া ও ঈসা মসীহ হওয়ার বিশষত্ব কী?

১। বাইবেলে আদমকে ঈশ্বরপুত্র বলা হয়েছে, দাউদকে ঈশ্বরপুত্র বলা হয়েছে, সুলায়মানকে ঈশ্বরপুত্র বলা হয়েছে তথাপি যারা ঈশ্বরের আত্মার সাহায্যে পরিচালিত হয় বা ঈশ্বরের ইচ্চা পূরণ করে তাদের কে ঈশ্বরপুত্র বলা হয়েছে। তাহলে ঈসা মসীহ ঈশ্বরপুত্র পরিচয়ের বিশেষ মাহাত্ম্য কী?

ভালো প্রশ্ন। সংক্ষিপ্ত উত্তর হল যে ঈসা মসীহের মাহাত্ম শুধু ‘আল্লাহর পুত্র’ হওয়ার উপর নির্ভর করে না, তার মাহাত্ম্যের আরও অনেক কিছু আছে। তাই নিচের আলোচনায় আমি কিছু প্রমাণ করার জন্য লিখছি না বরং কিতাবের সঠিক ব্যাখ্যা দেখানোর জন্য লিখছি।

তওরাত, জবুর ও নবীদের কিতাবে ‘আল্লাহর সন্তান’

প্রথমে ইঞ্জিলের আগেকার কিতাবে ‘আল্লাহর সন্তান’ কথাটার ব্যবহার একটু দেখি। প্রথমে আমরা দেখি যে এটা কোন সাধারণ উপাধি নয়; এটা শুধু ধার্মিক ও আল্লাহর আত্মায় পরিচালিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় না। শত শত ধার্মিক ব্যক্তি আছে ইঞ্জিলের আগেকার কিতাবে, কিন্তু শুধুমাত্র বিশেষ কয়েকজনের ক্ষেত্রে এটা ব্যবহার হয়েছে:

  1. ১.

জাগো খ্রীষ্টান জাগো-৩

জাগো খ্রীষ্টান জাগো -3)

নবীর কিতাবে তাঁরই মৃত্যু ও কবরের গল্প

আমরা জানি যে, তাওরাত মূসা (আ)-এর উপর অবতীর্ণ। অথচ প্রচলিত তাওরাতের দ্বিতীয় বিবরণের ৩৪ অধ্যায়ে মূসা (আ)-এর মৃত্যু, দাফন, কবর. তার উম্মাতের ত্রিশ দিন শোক পালন এবং যুগের আবর্তনের মূসার কবরটি হারিয়ে যাওয়ার বর্ণনা রয়েছে।

একটি কিতাব যে শুধু একজনকে দিয়েই আল্লাহকে পাঠাতেই হবে, আমরা কি আল্লাহকে সেইভাবে সীমাবদ্ধ করতে পারি?…

ইয়াহিয়া ও ঈসা মসীহ

এখানে ইয়াহিয়ার বিষয়ে সেই দুই প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি:

প্রথম প্রশ্ন

ঈসা মসীহ বলেছেন মাতৃগর্ভ গর্ভ থেকে যতজন জন্মগ্রহণ করেছে ইয়াহিয়া সবচেয়ে মহান। তাহলে ইয়াহিয়া কি ঈসা মসীহের চেয়েও মহান?

এটা লেখা আছে মথি ১১:১১ আয়াতে:

“আমি আপনাদের সত্যিই বলছি, মানুষের মধ্যে তরিকাবন্দীদাতা ইয়াহিয়ার চেয়ে বড় আর কেউ নেই। কিন্তু বেহেশতী রাজ্যের মধ্যে যে সকলের চেয়ে ছোট সে-ও ইয়াহিয়ার চেয়ে মহান।” (মথি ১১:১১)

ঈসা মসীহ যে নতুন ব্যবস্থা (চুক্তি) চালু করেছিলেন তার মৃত্যু ও পুনরুত্থান দিয়ে, সেই নতুন ব্যবস্থার অপর নাম হল “আল্লাহর রাজ্য”। ঈসা মসীহ এখানে বলছে যে তরিকাবন্দীদাতা ইয়াহিয়া এতো মহান হলেও আল্লাহর রাজ্য যারা দেখতে পারবে তারা আরও ভাগ্যবান বা মহান। তরিকাবন্দীদাতা ইয়াহিয়া ঈসা মসীহের প্রচারকালে মারা গেলেন (মার্ক ৬:১৪-২৯) তাই তিনি আল্লাহর রাজ্যের পূর্ণতা দেখতে পায়নি। আল্লাহর রাজ্যে ঈসা মসীহ জনসাধারণদের মধ্যে গোনা হচ্ছে না (“মাতৃগর্ভ গর্ভ থেকে যতজন জন্মগ্রহণ করেছে”)। ইয়াহিয়া স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে ঈসা তার থেকে অনেক মহান:

“ইয়াহিয়া তাঁর বিষয়ে জোর গলায় সাসাক্ষ্য দিয়ে বললেন, “উনিই সেই লোক যাঁর বিষয়ে আমি বলেছিলাম, যিনি আমার পরে আসছেন তিনি আমার চেয়ে মহান, কারণ তিনি আমার অনেক আগে থেকেই আছেন।” (ইউহোন্না ১:১৫)

“এর জবাবে ইয়াহিয়া বললেন, “বেহেশত থেকে দেওয়া না হলে কারও পক্ষে কোন কিছুই পাওয়া সম্ভব নয়। 28 তোমরাই আমাকে বলতে শুনেছ যে, আমি মসীহ নই, কিন্তু আমাকে তাঁর আগে পাঠানো হয়েছে। 29 যার হাতে কন্যাকে দেওয়া হয়েছে, সে-ই বর। বরের বন্ধু দাঁড়িয়ে বরের কথা শোনে এবং তাঁর গলার আওয়াজ শুনে খুব খুশী হয়। ঠিক সেইভাবে আমার আনন্দও আজ পূর্ণ হল। তাঁকে বেড়ে উঠতে হবে আর আমাকে সরে যেতে হবে।যিনি উপর থেকে আসেন তিনি সকলের উপরে। যে দুনিয়া থেকে আসে সে দুনিয়ার, আর সে দুনিয়ার কথাই বলে। কিন্তু যিনি বেহেশত থেকে আসেন তিনিই সকলের উপরে। তিনি যা দেখেছেন আর শুনেছেন তারই সাক্ষ্য দেন, কিন্তু কেউ তাঁর সাক্ষ্য অগ্রাহ্য করে না। যে তাঁর সাক্ষ্য গ্রাহ্য করেছে সে তার দ্বারাই প্রমাণ করেছে যে, আল্লাহ্ যা বলেন তা সত্য। আল্লাহ যাঁকে পাঠিয়েছেন তিনি আল্লাহরই কথা বলেন, কারণ আল্লাহ্ তাঁকে পাক-রূহ্ মেপে দেন না। পিতা পুত্রকে মহব্বত করেন এবং তাঁর হাতে সমস্তই দিয়েছেন। যে কেউ পুত্রের উপর ঈমান আনে সে তখনই অনন্ত জীবন পায়, কিন্তু যে পুত্রকে অমান্য করে সে সেই জীবন কখনও পাবে না, বরং আল্লাহর গজব তার উপরে থাকবে। (ইউহোন্না ৩:২৭-৩৬)

তাই সংক্ষেপে:

  1. ১.