খ্রিষ্টধর্মে হাসপাটাল হারাম?

প্রশ্ন:

খ্রিষ্টধর্মে হাসপাটাল হারাম?

কোনো খ্রিস্টিয়ান অসুস্থ হলে তারা হসপিটালে কেন যায়? ইয়াকুব ৫:১৪-১৬ এখানে উল্লেখ আছে যে কেউ অসুস্থ হলে গীর্জার পাদ্রীর কাছে যাবে। সুতারাং খ্রিস্টিয়ান হসপিটালে যাওয়া হারাম,প্রার্থনা দিয়ে কাজ চালান

উত্তর:

এই অভিযোগ সম্পূর্ণ যুক্তিহীন। ইসলামেও অসুস্থদের জন্য দু’য়া ও রুকইয়াহ করা হয়; হাদিস অনুযায়ী জিব্রাইল নবীজীর অসুখবিসুখের জন্য মোনাজাত করতেন, এবং নবীজী নিজেই সাহাবীদের অসুখের নিরাময়ের জন্য দু’য়া ও রুকইয়াহ করতেন। ইয়াকুব ৫:১৪-১৬ আয়াতে আছে:

“তোমাদের মধ্যে কেউ কি কষ্টভোগ করছে?

ঈসা কয়টায় মারা গেলেন?

প্রশ্ন:

যীশু কয়টায় মারা গেলেন?

কোন খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রশ্ন করলে তারা জোরালো ভাবে একটাই উত্তর দেয় অবশ্যই, মারা গেছেন। তারা তখন বাইবেল থেকে লুক ২৩:৪৬ উদ্ধৃতি দেয়,

“যীশু চিৎকার করে বললেন, ‘পিতা আমি তোমার হাতে আমার আত্মাকে সঁপে দিচ্ছি৷’ এই কথা বলে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ফেললেন৷” (লূক ২৩:৪৬)

আসুন আজকে এই বিষয়ে আলোচনা করি। যদি আমি ধরে নেই ঈসা আঃ ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মারা যান তাহলে সেটি কোন সময়?

পিতা নিজ কন্যাকে ধর্ষকের কাছে তুলে দেওয়া

প্রশ্ন:

একজন পিতা, নিজ কন্যাকে ধর্ষকের কাছে তুলে দিতে চায়

খ্রিষ্টানদের বাইবেলে, একজন পিতা, নিজ কন্যাকে ধর্ষকের কাছে তুলে দিতে চায় (বাইবেল, আদিপুস্তুক ১৯:১-৩৮) । “লোটের” এর বাড়িতে ২ জন মেহমান আসল। তখন সন্ধ্যায়,”সদোম শহরের” লোকেরা “লোটের” বাড়ি ঘিরে পেললো… এবং তারা বললো, তোমার মেহমানরা কোথায়?..তাদের

হযরত পৌল এবং ইয়াকুব বিপরীত নয়?

ইয়াকুব—“নাজাতের ব্যাপারে হযরত পৌল এবং ইয়াকুব বিপরীত নয়?”

নাজাত আসে কাজের মাধ্যমে না ঈমানের মাধ্যমে? কিছু সমালোচক হযরত পৌল এবং ইয়াকুবের বিশেষ কিছু আয়াত নিয়ে দাবী করেন যে প্রথম ঈসায়ী নেতাদের মধ্যে এই ব্যাপারে অনেক অমিল ছিল। কিন্তু ইঞ্জিল শরীফ ভালভাবে জানলে এই যুক্তি ভেঙ্গে যায়। হযরত পৌল এবং ইয়াকুবের সুসংবাদ বাণী এক ছিল, যদিও এরা শ্রোতাদের প্রয়োজন অনুসারে সুসংবাদের আলাদা অংশের উপর জোর দিতেন। তারা উভয় এই মূল বাণী বিশ্বাস করতেন:

শরিয়ত ভাল, কিন্তু তার মাধ্যমে কখনও নাজাত অর্জন করা সম্ভব না, যেহেতু মানুষ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তা পালন করতে পারে না। কিন্তু আল্লাহ্‌ তার নাজাত এবং প্রায়শ্চিত্তের ব্যবস্থা প্রকাশ করেছেন—ঈসা মসীহ্‌। এই বিনামূল্য দান আল্লাহ্‌র কাছে গ্রহণ করতে হবে ঈমান দিয়ে, তওবা দিয়ে এবং তার উম্মত হওয়ার মধ্য দিয়ে। ভাল কাজ (শরিয়ত পালন) হচ্ছে প্রকৃত ঈমানের চিহ্ন বা ফলাফল। একজনের “ঈমান”-এর ফলে যদি ভাল কাজ না আসে তাহলে বোঝা যায় এটি সত্যিকারের ঈমান ছিল না (এবং সেই ব্যক্তির নাজাত হবে না)। তাই ঈমান এবং কাজ দু’টোই প্রয়োজন, কিন্তু ঈমান হচ্ছে ভিত্তি।

পৌল এবং ইয়াকুব দু’জনেরই লেখাগুলি উপরোক্ত বাণীর সঙ্গে মিলে যায়। হযরত পৌল কি সত্যি শরিয়তকে “ঘৃণা” করেছিলেন যেমন করে সমালোচকরা দাবী করেন?…

পয়দায়েশ ১–“তৌরাত শরীফের সৃষ্টিবর্ণনা বিজ্ঞানের তথ্যের সঙ্গে মিলে না, কারণ সৃষ্টি ছয় দিনে হয় নি।”

পয়দায়েশ ১–“তৌরাত শরীফের সৃষ্টিবর্ণনা বিজ্ঞানের তথ্যের সঙ্গে মিলে না, কারণ সৃষ্টি ছয় দিনে হয় নি।”

জাকির নায়েকের মতো সমালোচক প্রায়ই দাবি করে বলেন যে বাইবেল অনুযায়ী পৃথিবী ৬টি আক্ষরিক দিনে সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু কোরআন অনুযায়ী সৃষ্টি দিনগুলো আসলে ‘যুগ’। এ দাবিগুলো পরিষ্কাররূপে মিথ্যা—

পয়দায়েশ খণ্ডে তৌরাত শরীফের বর্ণনা দীর্ঘস্থায়ী পৃথিবীর অস্তিত্বের সঙ্গে মিলানোর দুটি ব্যাখ্যার পন্থা আছে। আধুনিক বিজ্ঞানের তথ্যের সঙ্গে মিলানোর প্রচেষ্টা এগুলো নয়, কারণ উভয় মতবাদের মূল থাকে প্রাচীনকাল লেখকদের লেখাতে, যারা আজকাল দীর্ঘস্থায়ী পৃথিবী তথ্য আবিষ্কারের বহুদিন আগে এই ধরনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

পয়দায়েশের প্রথম ব্যাখ্যা : দিন-যুগ ব্যাখ্যাটি

পয়দায়েশের প্রথম অধ্যায়ে “দিনের” মূল হিব্রু শব্দ হল ইয়ম (হিব্রু יום), যেমন করে কোরআনেও একই “দিন” শব্দ (يَوْم ইয়োম ) ব্যবহার হয়েছে। উভয় ভাষায়ই, এই ইয়ম শব্দ দিয়ে বোঝানো হয় ১২ ঘন্টা, ২৪ ঘন্টা, অথবা একটা অনির্দিষ্ট মেয়াদ বা যুগ। আবার কিতাবুল মোকাদ্দসে আমরা পরি যে “প্রভুর কাছে এক দিন এক হাজার বছরের সমান এবং এক হাজার বছর এক দিনের সমান” (ইঞ্জিল ২ পিতর ৩:৮ এবং জবুর শরীফ ৯০:৪)। আবারও তৌরাতে যে শব্দগুলো অনুবাদ হয় “সকাল” (בקר) ও “সন্ধ্যা” (ערב) দিয়ে, সেগুলোর আবার শুধু বোঝায় “ইয়মের শুরু” এবং “ইয়মের শেষ”, যেমন করে বলা হয় ‘the dawn of world history’ [বিশ্ব-ইতিহাসের ভোর] অথবা the sunset years of one’s life’ [একজনের জীবনের সূর্যাস্ত বছরগুলো]। লেখক যে আক্ষরিক সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত বুঝাতে চাননি তা অতি পরিষ্কার, কারণ চতুর্থ দিনে সূর্য দেখা দেওয়ার আগেও তিনি এই בקרערב শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন।

তৌরাতের সৃষ্টির এই দিন-যুগ ব্যাখ্যার সবচেয়ে মজবুত প্রমাণ হল যে ঈসায়ী ইতিহাসের প্রথম ৪০০ বছর ধরে অধিকাংশ তৌরাত-তাফসীরকারীগণ সুনির্দিষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতেন যে সৃষ্টির এই ‘দিন’ বা ‘ইয়ম’গুলো দীর্ঘ সময়ের মেয়াদ ছিল (যেমন প্রতি ইয়মের কাল ১০০০ বছর)। এসব দুই হাজার পৃষ্টার তাফসীর লেখা হয়েছে আধুনিক বিজ্ঞানের তথ্যের হাজার বছর আগে, যখন সৃষ্টিতে দিনের দীর্ঘতা বিশ্বাস করার কোনো দ্বিতীয় কারণ ছিল না।

কিন্তু সহীহ হাদিস অনুযায়ী, কোরআনের সৃষ্টি-দিনগুলোর সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ব্যাখ্যা ছিল আক্ষরিক- ‘শনিবার, রবিবার, সোমবার’, ইত্যাদি হিসেবে ধরে নিয়েছেন:

আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (ছ) আমার হাত ধরে বললেন, আল্লাহ্‌ তা’আলা শনিবার দিন মাটি সৃষ্টি করেন। রোববার দিন তিনি এতে পর্বত স্থাপন করেন। সোমবার দিন তিনি বৃক্ষরাজি পয়দা করেন। মঙ্গলবার দিন তিনি আপদ বিপদ সৃষ্টি করেন। বুধবার দিন তিনি নূর পয়দা করেন। বৃহস্পতিবার দিন তিনি যমীনে পশু-পাখি ছড়িয়ে দেন এবং জুম’আর দিন আসরের পর তিনি আদম (আ) কে সৃষ্টি করেন। অর্থাৎ জুম’আর দিনের সময়সমূহের শেষ মুহূর্তে সর্বশেষ মাখলুক আসর থেকে রাত পর্যন্ত সময়ের মধ্যবর্তী সময়ে তিনি সৃষ্টি করেছেন। (সহীহ মুসলিম #৬৮৮৭)

প্রথম তাফসীরকারীগণ একই ব্যাখ্যা দিলেন; আল-তাবারীতে ইবন আব্বাসের এই কথা আছে—

ইহুদীগণ নবীজীর কাছে এসে তাঁকে জিজ্ঞেস করেন আসমান ও জমীনের সৃষ্টির সম্পর্কে। তিনি বলেন, “রবিবার ও শোমবারে আল্লাহ্‌ তা’আলা দুনিয়া সৃষ্টি করেন। মঙ্গলবারে তিনি পাহাড়পর্বত এবং এদের ব্যবহার সৃষ্টি করেন। বুধবারে তিনি গাছ, পানি, শহর এবং চাষের অনুর্বর জমি সৃষ্টি করেন। এগুলো চার (দিন)। তিনি আবার বললেন (কোরআন উদ্ধৃতি করে): “বল, তোমরা কি তাঁকে অস্বীকার করবেই, যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দুই দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষে দাঁড় করাইতেছ?

নাবিল কুরেশির সাক্ষ্য

ছোটবেলায় আমি নিয়মিতভাবে কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করতাম, ধর্মের সম্পর্কে আমার বাবা-মা যা যা বলতেন আমি সবকিছু মনপ্রাণে বিশ্বাস করতাম, ইসলামের সম্পর্কে সবকিছু আমি বিশ্বাস করতাম, আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তাম, নিয়মিতভাবে মসজিদে যেতাম, এবং তারপর, আমি প্রশ্ন করতে শুরু করি, চিন্তা করতে লাগি যে, হযরত ঈসা সম্পর্কে যা যা শুনতাম, তা কতটুকু ঠিক এবং হয়ত এমন কিছু শিখেছি,

ফাওজি আর্জুনির সাক্ষ্য

আমি কীভাবে ঈসা আল-মাসীহ্‌র একজন অনুসারী হলাম? আমার সফর হচ্ছে মূলতঃ বাহ্যিক ধর্ম থেকে পুনরুদ্ধারের কাছে একটি সফর। ঈমানে ঈসা মসীহ্‌র অনুসারি হতে আমার এই সফরকে আমি বর্ণনা করতে পারি, বাহ্যিক রীতি থেকে পুনর্মিলনের একটি সফর। এবং এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমি ইসলাম ধর্মের সমস্ত বিধানের মধ্যে মানুষ হয়েছি। আমি বড় হয়ে ইসলামকে সমস্ত প্রাণ দিয়ে গ্রহন করেছি, যতদূর মুসলমান বাড়িতে তা করা সম্ভব।

হযরত ঈসা মসীহের পরিচয়

ঈসা মসীহ্‌ কে?

আহল-ই-কিতাব-বিশ্বাসীদের মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় হল মরিয়ম-তনয় ঈসা মসীহ্‌ (আঃ)-কে নিয়ে এবং তার সঠিক পরিচয়। যেমন ধরেন, জাকির নায়েক এবং আহ্‌মেদ দীদাতের মত কিছু মুসলমান সহজে ঈসাকে কুমারী-মেয়ে জন্মিত ‘মসীহ্‌’ হিসেবে গ্রহণ করে। কিন্তু খ্রীষ্টানদের ভুলপ্রমাণ করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে তারা প্রচুর চেষ্টা করে, কারণ তারা মনে করা যে খ্রীষ্টানরা ‘তিন আল্লাহ্‌ বিশ্বাস করে’ এবং যে ঈসা মসীহ্‌ ক্রুশে মারা যাননি। আবার ইহুদীগণ সহজে গ্রহণ করে যে মসীহ্‌ ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিল, কিন্তু তিনি যে কুমারী-মেয়ে জন্মিত ‘মাসীহ্‌’ ছিলেন তা এরা গ্রহণ করতে পারে না। এমনকি খ্রীষ্টানদের মধ্যেও ঈসার সঠিক পরিচয় নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক হয়েছিল।

এতো মতের অমিলের স্পষ্ট কারণ হল যে হযরত ঈসা অনন্য, তিনি পৃথিবীর অন্যান্য মানুষদের মত না। তার জন্ম, শিক্ষা, কাজ, অলৌকিক ঘটনা, এবং মৃত্যু—সবই অনন্য। তাই এতো বিস্ময়কর মানুষের পরিচয় নিয়ে বিতর্ক করা স্বাভাবিক।

এই আলোচনায় আমি দার্শনিকদের অর্থহীন তর্কযুদ্ধের ফাঁদ এড়াতে চাই। যেমন ‘ত্রিত্ববাদ’-এর মত শব্দ নিয়ে প্রচণ্ড তর্কাতর্কি হয়েছে, যদিও সেই শব্দ ইঞ্জিলে নাই। কিতাবে অনুপস্থিত শব্দ নিয়ে তর্ক না করে আমি বরং ঈসার বিষয়ে বিভিন্ন কিতাবে যা যা বলা হয় তার উপর লক্ষ্য করব। বিভিন্ন কিতাব থেকে, বিশেষ করে ইঞ্জিল থেকে, আমি ঈসা মসীহের পরিচয় এবং কাজ সম্বন্ধে একটি স্পষ্ট ছবি উপস্থাপন করতে চাই।

আল্লাহ্‌ এক

এই তদন্তের আরম্ভ বা ভিত্তি হল সকল আহলে-কিতাবীদের সেই স্বীকৃত মূল সত্য, আল্লাহ্‌র একতা। সকল কিতাবী লোক একমত যে মাত্র একজন আল্লাহ্‌ আছেন, যিনি সৃষ্টিকর্তা, চিরন্তন, অপরিবর্তনীয়, সর্বশক্তিমান এবং সর্বজ্ঞ। এই হল তৌরাত, জবুর, নবীদের কিতাব, ইঞ্জিল এবং কোরআনের স্পষ্ট সাক্ষ্য এবং আমাদের ঈমানের ভিত্তি।

উদাহরণস্বরূপ, যখন একজন ইহুদী আলেম হযরত ঈসাকে জিজ্ঞাসা করল কোন্‌ হুকুম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তিনি বলেছিলেন:

জবাবে ঈসা বললেন, “সবচেয়ে দরকারী হুকুম হল, ‘বনি-ইসরাইলরা, শোন, আমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌ এক। তোমরা প্রত্যেকে তোমাদের সমস্ত দিল, সমস্ত প্রাণ, সমস্ত মন এবং সমস্ত শক্তি দিয়ে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌কে মহব্বত করবে।’ (মার্ক ১২:২৯,৩০)

তাঁর স্পষ্ট সাক্ষ্য হল যে আল্লাহ্‌ এক। অথবা ইঞ্জিলের অন্য জায়গায় এই ভাবে লেখা আছে—

আল্লাহ্ মাত্র একজনই আছেন এবং আল্লাহ্ ও মানুষের মধ্যে মধ্যস্থও মাত্র একজন আছেন। সেই মধ্যস্থ হলেন মানুষ মসীহ্ ঈসা। (১ তীমথিয় ২:৫)

একজন অদ্বিতীয় নবী

তাহলে প্রশ্ন উঠে, যদি সকল কিতাবীগণ তাই বিশ্বাস করে, তাহলে হযরত ঈসা মসীহ্‌কে নিয়ে এতো বিতর্ক কেন হয়?…

কোরআন শরীফে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)


কোরআন শরীফ আরবীতে লিখা একটি বিশাল বড় কিতাব, বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষের জন্য বিদেশী ভাষা। সেই কারণে খুব অল্প কিছু মানুষ এর বিভিন্ন বিষয়গুলো সঠিক ভাবে বুঝে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আল্লাহ্‌ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নবী ও রাসূলদের পৃথিবীতে পাঠানো সম্পর্কে। ঐ সব নবী ও রাসূলদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যাঁর কথা কোরআন শরীফে অনেক কিছু বলা হয়েছে।

পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী ও কর্ম সম্পর্ক কম-বেশী কথাও শুনেছে। যাই হোক, কোরআন শরীফের বর্ণনা আনুযায়ি তাঁর অনেক ও বিভিন্ন পথের কথা অনেক মানুষ সঠিকভাবে জানে না। সেইজন্য এই পাঠের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছোট এই পাঠটির উদ্দেশ্য হল পাঠককে কোরআন শরীফ আনুসারে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে সঠিক ও পরিষ্কারভাবে ধারনা দেওয়া। নিচের উক্তিগুলো সরাসরি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ হতে প্রকাশিত আল-কুরআনুল করীম থেকে নেওয়া হয়েছে। একজন পাঠক এই বইটি পড়ে নিজে আরো সঠিক ও ভাল ভাবে জানতে সক্ষম হবে, কিভাবে কোরআন শরীফে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে বর্ণনা করা হয়েছে। তা ছাড়া, যারা আরো জানতে আগ্রহী, তাদেরকে আমরা উৎসাহ দিব তারা যেন কোরআন শরীফের একটা বাংলা তরজমা সংগ্রহ করে নিজে পড়তে শুরু করে।


একজন রাসূল (رَّسُول)
مَّا أَصَابَكَ مِنْ حَسَنَةٍ فَمِنَ اللّهِ وَمَا أَصَابَكَ مِن سَيِّئَةٍ فَمِن نَّفْسِكَ وَأَرْسَلْنَاكَ لِلنَّاسِ رَسُولاً وَكَفَى بِاللّهِ شَهِيدًا۝

কল্যাণ যাহা তোমার হয় তাহা আল্লাহ্‌র নিকট হইতে এবং অকল্যাণ যাহা তোমার হয় তাহা তোমার কাজের কারণে এবং তোমাকে মানুষের জন্য রাসূলরূপে প্রেরণ করিয়াছি; সাক্ষী হিসাবে আল্লাহ্‌ই যথেষ্ট। (সূরা নিসা ৪:৭৯)

وَمَا مُحَمَّدٌ إِلاَّ رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِن مَّاتَ أَوْ قُتِلَ انقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ وَمَن يَنقَلِبْ عَلَىَ عَقِبَيْهِ فَلَن يَضُرَّ اللّهَ شَيْئًا وَسَيَجْزِي اللّهُ الشَّاكِرِينَ۝

মুহাম্মদ একজন রাসূল মাত্র; তাহার পূর্বে বহু রাসূল গত হইয়াছে। সুতরাং যদি সে মারা যায় অথবা সে নিহত হয় তবে তোমরা কি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করিবে?

কোর’আন শরীফে হযরত ঈসা মসীহের নাম ও উপাধী

কোর’আন শরীফে হযরত ঈসা মসীহের নাম ও উপাধী

কোর’আন শরীফ আরবীতে লেখা একটি বিশাল বড় বই, বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের জন্য বিদেশী ভাষায়। সেই কারণে খুব অল্প কিছু মানুষ এর বিভিন্ন বিষয়গুলো সিঠিকভাবে বুঝে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আল্লাহ্‌ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নবী ও রাসূলদের পৃথিবীতে পাঠানো সম্পর্কে। ঐ সব নবী ও রাসূলদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন বিবি মারইয়ামের পুত্র ঈসা নবী যাঁর কথা কোর’আনে অনেক কিছু বলা হয়েছে।
পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষ হযরত ঈসার নাম জানে এবং তাঁর জীবনী ও কর্ম সম্পর্ক অল্প কিছু কথাও শুনেছে। যাই হোক, কোরআনের বর্ণনা আনুযায়ী তাঁর অনেক ও বিভিন্ন পথের কথা খুব অল্প কিছু মানুষ সঠিকভাবে জানে। সেইজন্য এই পাঠের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছোট এই পাঠটির উদ্দেশ্য হল পাঠককে কোর’আন আনুসারে ঈসা নবী সম্পর্কে সঠিক ও পরিষ্কারভাবে ধারণা দেওয়া। নিচের উক্তিগুলো সরাসরি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ হতে প্রকাশিত আল-কুরআনুল করীম থেকে নেওয়া হয়েছে। একজন পাঠক এই বইটি পড়ে নিজে আরো সঠিক ও ভালভাবে জানতে সক্ষম হবে, কিভাবে কোরআন ঈসা নবীকে নবুয়তের মর্যাদা দিয়েছে।


’ঈসা (নাজাতদাতা)

’ঈসা (নাজাতদাতা)

فَلَمَّا أَحَسَّ عِيسَى مِنْهُمُ الْكُفْرَ قَالَ مَنْ أَنصَارِي إِلَى اللّهِ قَالَ الْحَوَارِيُّونَ نَحْنُ أَنصَارُ اللّهِ آمَنَّا بِاللّهِ وَاشْهَدْ بِأَنَّا مُسْلِمُونَ۝

“যখন ‘ঈসা তাহাদের অবিশ্বাস উপলব্ধি করিল তখন সে বলিল, ‘আল্লাহ্‌র পথে কাহারা আমার সাহায্যকারী?’